পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wo আষাঢ় শ্রাবণ অবশেষে C5G (NeoGP গুরু গুরু মৃদঙ্গ তার বাজিয়ে দিয়ে আমার গানের তালে । শরৎ এল, শরৎ গেল চলে ; নীল আকাশের কোলে রৌদ্রজলের কান্নাহাসি হল সারা ; আমার সুরের থরে থরে ছড়িয়ে গেল শিউলি ফুলের ঝারা । ফাগুন-চৈত্র আম-মউলের সৌরভে আতুর, দখিন হাওয়ায় আঁচল ভরে নিয়ে গেল আমার গানের সুর । কণ্ঠে আমার একে একে সকল ঋতুর গান হল অবসান । তখন রানী আসন হতে উঠে, আমার করপুটে তুলে দিলেন, শূন্য ক’রে থালা, আপন বিজয়মালা । পথে যখন বাহির হলেম মালা মাথায় প’রে মনে হল বিশ্ব আমার চতুর্দিকে ঘোরে ঘূর্ণি ধুলার মতো । মানুষ শত শত ঘিরল আমায় দলে দলে— কেউ বা কৌতুহলে, কেউ বা স্তুতিচ্ছলো, কেউ বা গ্রানির পঙ্ক দিতে গায় । হয় রে হয়। এক নিমেষে স্বচ্ছ আকাশ ধূসর হয়ে যায় । এই ধরণীর লাজুক যত সুখ, নদীচরের ভীরু হংসদলের মতো কোথায় হল গত । আমি মনে মনে ভাবি, “এ কি দহন।জুলা আমার বিজয়মালা ।” ওগো রানী, তোমার হাতে আর কিছু কি নেই। শুধু কেবল বিজয়মালা এই ? জীবন আমার জুড়ায় না যে, বক্ষে বাজে তোমার মালার ভার ; এই যে পুরস্কার