পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চার অধ্যায় \OSS দ্বিতীয় অধ্যায় লো বসে আছে কেদারায়, পিঠে বালিশ গীেজ। লিখছে একমনে ; পায়ের উপর পা তোলা । দেশবন্ধুর মুর্তি-আঁকা খাত কাঠের বাের্ডে কোলের উপর আড় করে ধরা ! দিন ফুরোতে দেরি নেই, কিন্তু তখনো চুল রয়েছে অযত্নে | বেগনি রঙের খন্দরের শাড়ি গায়ে, সেটাতে মলিনতা অব্যক্ত থাকে, দুই নিভৃতে ব্যবহারে তার অনাদৃত প্রয়োজন | এলাব হাতে একজোড়া লাল রঙ-করা শাখা, গলায় কিছুড়া সোনার হার । হাতির দাঁতের মতো গীেরবর্ণ শবীরটি আঁটিস্যুট ; মনে হয় বয়স খুব কম কিন্তু খ পরিণত বুদ্ধির গাম্ভীৰ্য । খন্দরের সবুজ রঙের চাদরে ঢাকা’ সংকীর্ণ লোহার খািট ঘরের প্রান্তে দয়াল-ঘেঁষা । নারায়ণী স্কুলের তীতে-বোন শতরঞ্চ মেঝের উপর পাতা । একাধারে লেখবার ছোটাে বিলে ব্লটিং প্যাড ; তার একপাশে কলম পেনসিল সাজানো দোয়াত-দান, অন্যধারে পিতলের পৃষ্টিতে গন্ধরাজ ফুল। দেয়ালে ঝুলছে কোনো একটি দূরবতী কালের ফোটােগ্রাফের প্রেতাত্মা, ক্ষীণ হলদে রেখায় বিলীনপ্রায় । অন্ধকার হল, আলো জ্বালবার সময় এসেছে । উঠি-উঠি করছে এমন সময় :দরের পর্দাটা সরিয়ে দিয়ে অতীন্দ্র দমকা হাওয়ার মতো ঘরে ঢুকেই ডাক দিলে, “এলী।” এলা খুশিতে চমকে উঠে বললে, “আসভা, জানান না দিয়ে এ ঘরে আসতে সাহস কর।” এলার পায়ের কাছে ধাপ করে মেঝের উপর বসে অতীন বললে, “জীবনটা অতি ছোটো, কায়দাকানুন অতি দীর্ঘ নিয়ম বাঁচিয়ে চলবার উপযুক্ত পরমায়ু ছিল সনাতন যুগে মান্ধাতার } “ আমার কাপড় ছাড়া হয় নি এখনো ?” “ভালোই । তা হলে আমার সঙ্গে মিশ খাবে ; তুমি থাকবে ব্রািথ, আমি থাকিব পদাতিক হয়ে- এ কর্ম দ্বন্দু মনুর নিয়মে অধৰ্ম । এককালে আমি ছিলম নিখুঁত ভদ্রলোক, খোলসটা তুমিই দিয়োড় দুষ্ঠায় । বর্তমান বেশভূষােটা দেখছি কী রকম ?”

  • অভিধানে ওকে বেশভূষা বলে না ।”

SkBS gDuz SS S DBDB SB D BBuBB SS0SS S 0SDDD KuBTrJ0S S0S DD BBBL00DB STDD দ%, ও কি তোমার স্বকৃত সেলাইয়ের লম্বা বিজ্ঞাপন ?” "ভাগের আঘাত দারুণ হলেও বুক পেতেই নিয়ে থাকি।-- ওটা তারই পরিচয় । ৫ জাম! দরজাকৈ দিতে সাহস হয় না, তার তো আত্মসম্মানবোধ আছে ?” ”আমাকে দিলে না কেন ?” "নব যুগের সংস্কারভার নিয়েছ, তার উপরে পূরেনো জামার সংস্কার % "ওটাকে সহ্য করবার এমনই কী দরকার ছিল ?” "যে দরকারে ভদ্রলোক তার স্ত্রীকে সহ্য করে ." "তার অর্থ ?” “তার অর্থ একটির বেশি নেই বলে ।” "কী বল তুমি অন্তু! বিশ্বসংসাবে তোমার ঐ একটি লৈ জাম" আর নেই ? ‘বড়িয়ে বলা অন্যায়, তাই কমিয়ে বললাম ; পর্দ আশ্রমে শ্ৰীসূক্ত অতীন্দ্রবাবুর জ্ঞাম ছিল বহুসংখ্যক ও বহুবিধ ! এমন সময়ে দেশে, এল বন্যা ! তুমি বক্তৃতায় বললে, যে অশ্রুপ্রাবিত দুদিনে { মনে আছে আশ্রশ্লাবিত বিশেষণটি %) বহু নরনারীর লজ্জােরক্ষার মতো কাপড় জুটছে না, সে সময়ে অবশ্যকের অতিরিক্ত কাপড় যার আছে লজ্জ তারই । বেশ গুছিয়ে বলেছিলে । তখনো তোমার সম্বন্ধে প্রকাশ্যে হাসতে সাহস ছিল না । মনে মনে হেসেছিলুম। নিশ্চিত জানতুম আবশ্যকের বেশি জামা ছিল তোমার বাক্সে। কিন্তু মেয়েদের পঞ্চাশ রঙের পঞ্চাশটা জামা থাকলেও পঞ্চাশটাই আঁত্যাবশ্যক | সেদিন দেশহিতৈষিণীদের মধ্যে রেষারেষি চলছিল- কে কত দান সংগ্রহ করতে " أن پع у t