পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৬

\SV মারা যাবে শেষে !" “কী করি ভাই, খাটতে কি হয় সাধে । একটু যদি ঢ়িল দিয়েছি আমনি গলদ বাধে, কাজ বেড়ে যায় আরো বিশ্বকর্মর সদর আপিস ছিল যেন আমার ”পরেই ন্যস্ত, অহােরাত্রি এমনি আমার ভাবটা ব্যতিব্যস্ত । সেদিন তখন দু-তিন রাত্রি ধরে গত সনের রিপোর্টখানা লিখেছি খুব জোরে । বাছাই হবে নতুন সনের সেক্রেটারি, হাপ্ত তিনেক মরতে হবে ভোট কুড়োতে তারই । খসিয়ে ফেলে গাছগুলো সব কেবল শাখা-সার, আমার হল তেমনি দশা ; সকাল হতে সন্ধা-নাগাদ এক টেবিলেই বাসা : কেবল পত্র রওনা করা, কেবল শুকিয়ে মরা । খবর আসে “খাবার তৈরি”, নিই নে কথা কানে, আবার যদি খবর আনে, বলি ক্রোধের ভরে “মরি এমন নেই অবসর, খাওয়া তো থাক পরে ।” বেলা যখন আড়াইটে প্রায়, নিঝুম হল পাড়া, আর সকলে স্তব্ধ কেবল গোটাপাচেক চড়ুই পাখি ছাড়া ; এমন সময় বেহারিাটা ডাকের পত্র নিয়ে হাতে গেল দিয়ে । খুলে দেখি বাক লাইন, কঁচা আখির চলছে উঠে নেবে, শেষ লাইনে নাম লেখা তার মনোরম ৷ আর হল না পড়া, ' মনে হল, কোন বিধবার ভিক্ষাপত্র মিথ্যা কথায় গড়া, চিঠিখানা ছিড়ে ফেলে আবার লাগি কাজে । এমনি করে কোন অতলের মাঝে হাপ্ত তিনেক গেল ডুবে । সূর্য ওঠে। পশ্চিমে কি পুবে, সেই কথাটাই ভুলে গেছি, চলছি। এমন চোটে । এমন সময় ভোটে