পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᏔᏍᎿᏛ রবীন্দ্র-রচনাবলী নামতটা তার কেবল যেত বোধে, তাই নিয়ে মোর একটু হাসি সইত না সে, উঠত লাজে কেঁদে । আমার হাতে মোটা মোটা ইংরেজি বই দেখে ভাবত মনে, গেছে যেন কোন আকাশে ঠেকে রাশীকৃত মোর বিদ্যার বোঝা । যা-কিছু সব বিষম কঠিন, আমার কাছে যেন নেহাত সোজা । হেনকালে হঠাৎ সেবার, বাকবাকি লাঠালাঠি বেধে গেল গলির মধ্যখানে । তাই নিয়ে শেষ বাবার সঙ্গে মনুর বাবার বাধল। মকদ্দমা, কেউ কাহারে করলে না। আর ক্ষমা । হঠাৎ এল কোন দশমী সঙ্গে নিয়ে ঝঞার গর্জন, মোর প্রতিমার হল বিসর্জন । দেখাশোনা ঘুচল যখন, এলেম যখন দূরে, তখন প্ৰথম শুনতে পেলেম কোন প্রভাতী সুরে প্ৰাণের বীণা বেজেছিল কাহার হাতে । নিবিড় বেদনাতে মুখখানি তার উঠল। ফুটে আঁধার পটে সন্ধ্যাতারার মতো ; একই সঙ্গে জানিয়ে দিলে সে যে আমার কত, সে যে আমার কতখানিই নয় ! প্রেমের শিখা জুলল। তখন, নিবল যখন চোখের পরিচয় । কত বছর গেল চলে, আবার গ্রামে গিয়েছিলেম পরীক্ষা পাস হলে । গিয়ে দেখি, ওদের বাড়ি কিনেছে কোন পাটের কুঠিয়াল, হল অনেক কাল । কোন দেশে যে নিয়ে গেছে, ঠিকানা তার খুঁজে না পাই আমি । সেই মনু আজ এতকালের অজ্ঞাতবাস টুটে কোন কথাটি পাঠাল তার পত্রপুটে । কোন বেদনা দিল তারে নিষ্ঠুর সংসার— মৃত্যু সে কি । ক্ষতি সে কি । সে কি অত্যাচার । কেবল কি তার বাল্যােসখার কাছে হৃদয়ব্যথার সান্তুনা তার আছে । ছিন্ন চিঠির বাকি বিশ্বমাঝে কোথায় আছে খুঁজে পাব না কি ৷