পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|ান্তিনিকেত N (\) আমাদের হওয়ার পূর্ণতা কিসে ? না, পাপশূন্য বিশুদ্ধতায় । বৈরাগ্যদ্বারা আসক্তিবন্ধন থেকে মুক্ত হও— পবিত্র হও, নির্বিকার হও । সেই ব্ৰহ্মচৰ্যসাধনায় তোমার হওয়া যেমন সম্পূর্ণ হতে থাকবে, যতই তুমি তোমার বাধামুক্ত নিষ্পাপ চিত্তের দ্বারা সর্বত্র ব্যাপ্ত হতে থাকবে, যতই সকলের মধ্যে প্রবেশের অধিকার লাভ করবে- ততই তুমি সংসারকে কাব্য করে তুলবে, মনকে রাজ্য করে তুলবে, বাহিরে এবং অন্তরে প্রভুত্ব লাভ করবে। অর্থাৎ আত্মার স্বয়ম্ভুত্ব সুস্পষ্ট হবে, অনুভব করবে তোমার মধ্যে একটি মুক্তির অধিষ্ঠান আছে। একই অনন্তচক্ৰে ভাব এবং কর্ম কেমন মিলিত হয়েছে, হওয়া থেকে করা স্বতই নিজের স্বয়ত্ত্ব আনন্দে কেমন করে সৌন্দর্যে ও ঐশ্বর্যে বহুধা হয়ে উঠেছে, বিশুদ্ধ-নির্বিশেষ বিচিত্র-বিশেষের মধ্যে কেমন ধরা দিয়েছেন, যিনি অকায় তিনি কায়ের কাব্যরচনা করছেন, যিনি অপাপবিদ্ধ তিনি পাপপুণ্যময় মনের অধিপতি হয়েছেন— কোনোখানে এর আর ছেদ পাওয়া যায় না- উপনিষদের ঐ একটি ছোটো মন্ত্রে সে কথা সমস্তটা বলা হয়েছে । ৪ মাঘ । কলিকাতা বিশ্বব্যাপী যো দেবোহন্ত্রেী যোহপসু যো বিশ্বং ভূবনমাবিবেশ য ওষুধিষু যে বনস্পত্তিষু তস্মৈ দেবায় নমোনমঃ । যে দেবতা অগ্নিতে, যিনি জলে, যিনি বিশ্বভুবনে প্রবিষ্ট হয়ে আছেন, যিনি ওষধিতে, যিনি বনস্পতিতে সেই দেবতাকে বার বার নমস্কার করি । ঈশ্বর সর্বত্র আছেন এ কথাটা আমাদের কাছে অত্যন্ত অভ্যস্ত হয়ে গেছে | এইজন্য এই মন্ত্র আমাদের কাছে অনাবশ্যক ঠেকে। অর্থাৎ, এই মন্ত্রে আমাদের মনের মধ্যে কোনো চিন্তা জাগ্রত হয় না। অথচ এ কথাও সত্য যে ঈশ্বরের সর্বব্যাপিতৃ সম্বন্ধে আমরা যতই নিশ্চিন্ত হয়ে থাকি না কেন, তস্মৈ দেবায় নমোনমঃ- এ আমাদের অভিজ্ঞতার কথা নয়, আমরা সেই দেবতাকে নমস্কার করতে পারি নে। ঈশ্বর সর্বব্যাপী এ আমাদের শোনা কথা মাত্র। শোনা কথা পুরাতন হয়ে যায়, মৃত হয়ে যায় । এ কথাও আমাদের পক্ষে মৃত । -- কিন্তু এ কথা র্যারা কানে শুনে বলেন নি— যারা মন্ত্রদ্রষ্টা, মন্ত্রটিকে র্যারা দেখেছেন। তবে বলতে পেরেছেন— তাদের সেই প্ৰত্যক্ষ উপলব্ধির বাণীকে অন্যমনস্ক হয়ে শুনলে চলে না । এ বাক্য যে কতখানি সত্য তা আমরা যেন সম্পূর্ণ সচেতন ভাবে গ্রহণ করি । যে জিনিসকে আমরা সর্বদাই ব্যবহার করি, যাতে আমাদের প্রয়োজনসাধন হয়, আমাদের কাছে তার তাৎপর্য অত্যন্ত সংকীর্ণ হয়ে যায় । স্বাৰ্থ জিনিসটা যে কেবল নিজে ক্ষুদ্র তা নয়, যার প্রতি সে হস্তক্ষেপ করে তাকেও ক্ষুদ্র করে তোলে। এমন-কি, যে মানুষকে আমরা বিশেষভাবে প্রয়োজনে লাগাই, সে আমাদের কাছে তার মানবত্ব পরিহার করে বিশেষ যন্ত্রের শামিল হয়ে ওঠে । কেরানি তার আপিসের মনিবের কাছে প্রধানত যন্ত্র, রাজার কাছে সৈন্যরা যন্ত্র, যে চাষা আমাদের অন্নের সংস্থান করে দেয় সে সজীব লাঙল বললেই হয় । কোনো দেশের অধিপতি যদি এ কথা অত্যন্ত করে জানেন যে সেই দেশ থেকে তঁদের নানাপ্রকার সুবিধা ঘটছে, তবে সেই দেশকে তারা সুবিহার কঠিন জড় আবরণে বেষ্টিত করে দেখোন— প্রয়োজন সম্বন্ধের অতীত যে চিত্ত তাকে তঁরা দেখতে পারেন না । জগৎকে আমরা অত্যন্ত ব্যবহারের সামগ্ৰী করে তুলেছি। এইজন্য তার জলস্থল-বাতাসকে আমরা अल-उल माइक्टश श्री हुए अलग लो व श 6)