পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A NObr রবীন্দ্র-রচনাবলী ভোর হতে নীলাকাশ ঢাকে কালো মেঘে, ভিজে ভিজে এলোমেলো বায়ু বহে বেগে । কিছুই নাহি যে হায় এ বুকের কাছে— যা-কিছু আকাশে আর বাতাসেতে আছে। আবার বললেম, শাবাশ। হৃদয়ের ভিতরকার শূন্যতা বাইরের আকাশ-বাতাস পরিপূর্ণ করে হাহাকার করে উঠছে। এ কথাটা এত সহজে এমন সম্পূর্ণ করে বাংলা সাহিত্যে আর কে বলেছে ? ওর উপরে আর একটি কথাও যোগ করবার জো নেই। ক্ষীণদৃষ্টি পাঠক এতটুকু ছােটাে কবিতার সৌন্দর্য দেখতে পাবে না জেনেও আমি যে নিজের লেখনীকে সংযত করেছিলেম। এজন্যে নিজেকে মনে মনে বলতে হল ধন্য । আকাশে গহন মেঘে গভীর গর্জন, শ্রাবণের ধারাপাতে প্লাবিত ভুবন । কেন এতটুকু নামে সোহাগের ভরে ডাকিলে আমারে তুমি ? পূর্ণ নাম ধরে আজি ডাকিবার দিন, এ হেন সময় শরম সোহাগ হাসি কৌতুকের নয়। আঁধার অম্বর পৃথ্বী পথচিহ্নহীন, এল চিরজীবনের পরিচয়-দিন । ‘মানসী" লেখবার যুগে- সে আজকের কথা নয়— এই ভাবের দুই-একটা কবিতা লিখেছিলেম বলে মনে পড়ে। কিন্তু কোন অণিমাসিদ্ধি দ্বারা ভাবটি তনু আকারেই সম্পূর্ণ হয়ে প্ৰকাশ পেয়েছে । প্ৰভু, তুমি দিয়েছ যে-ভার যদি তাহা মাথা হতে এই জীবনের পথে নামাইয়া রাখি বার বার জেনো তা বিদ্রোহ নয়, ক্ষীণ শ্ৰান্ত এ হৃদয়, বলহীন পরান আমার ৷ ভূর্বােহে লােভল হতে এর ভিতরকার কােন নেবুচান্ত দুইটি হতে আমি বিশেষ তৃপ্তি এবং গর্বের সঙ্গেই এই কবিতা কয়টি এলুমিনিয়মের পাতের উপর স্বহস্তে নকল করে নিলেম । যথাসময়ে আমার অন্যান্য কবিতিকার সঙ্গে এ-কয়টিও আমার লেখন-নামধারী গ্রন্থে প্রকাশিত হয়ে গেল । . আজ প্রায় মাসখানেক পূর্বে কল্যাণীয়া শ্ৰীমতী প্রিয়ম্বদা দেবীর কাছে 'লেখনী একখণ্ড পাঠিয়ে দিয়েছিলেম। তিনি যে-পত্র লিখেছেন সেটা উদ্ধৃত করে দিই। : লেখন পড়লাম। এর কতকগুলি ছােটাে ছােটাে কবিতা বড়ো চমৎকার- দু-চার ছত্রে সম্পূর্ণ। কিন্তু যেন এক-একটি সু-সংস্কৃত মণি, আলো ঠিকরে পড়ছে। লেখনে দেখলাম ২৩-এর পৃষ্ঠায় আমার চারটি কবিতা সম্পূর্ণ গেছে, আর একটির প্রথম দু লাইন। যথা :