পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रटयश्च ब्रकनाबजौ (t হইলেন। কিন্তু ক্ষণমাত্র চিন্তা করিয়া উত্তর করিলেন-দেবি ক্ষমা করন, আমি আপনাকে বিপদে ফেলিয়া পলায়ন করিতে ইচ্ছক নহি। আপনি এইরপে আমার উদ্ধার করিয়াছেন জানিলে নশংস শত্রগণ আপনাকে প্রাণে বধ করিবে। বিমলা বলিলেন,—আমার জন্য চিন্তা করবেন না, আমার উদ্ধারের উপায় আছে, উদ্ধার না হইলেও অধিক ক্ষতি নাই। আমার জন্য চিন্তা করিবে, আমার জন্য শোক করিবে, জগতে এরপ অধিক লোক নাই। অনন্ত সাগরের মধ্যে একটী জলবিম্বব যেরপে লীন হইয়া যায়, তদুপ এই জগৎসংসারে একজন হতভাগিনীর মৃত্যু আশ্রতে, অলক্ষিত থাকিবে। আপনি যশস্বী, ক্ষমতাশালী, বীরপরষে, আপনি সখে থাকিলে অনেকে সনখে থাকিবে। ইন্দ্রনাথ বিমলার প্রতি তীব্রদটি করিতে লাগিলেন। অবশেষে বীরভাবে বলিলেন,— দেবি । আপনি আমার উদ্ধারে যত্নবতী হইয়াছেন, তাহার জন্য আমি আজন্মকাল আপনার নিকট বাধিত রহিলাম; কিন্তু আপনাকে এই স্থানে রাখিয়া আমি কারাগার ত্যাগ করিব না, উপরোধ করবেন না। এবার বিমলা পরাস্ত হইলেন। অনেক অনুরোধ করিলেন, অনেক কারণ দশাইতে লাগিলেন, কিছতেই বীরপরবের প্রতিজ্ঞ বিচলিত করিতে পারলেন না। ইন্দ্রনাথের একই উত্তরযিনি আমাকে একবার প্রাণদান করিয়াছেন, পনরায় আমার উদ্ধারের জন্য এত কস্ট স্বীকার করিয়াছেন, তাঁহাকে বিপদগ্রস্ত করিয়া আমি উদ্ধার প্রাথনা করি না, এরুপ উদ্ধারে, এরপ জীবনে আমার কাজ নাই। অবশেষে বিমলা অতি কস্টে বলিলেন,—বীরপর্য! আপনি বোধ হয় জানেন না যে, আপনার প্রেমাকাঙিক্ষণী সরলা আজি চতুবেষ্টিত দলগে আবদ্ধ রহিয়াছেন। আপনি যদি শীঘ্ন তাঁহার উদ্ধার না করেন, পামর শকুনি নিজের একজন ভূত্যের সহিত সরলার বিবাহ দিবে স্থির করিয়াছে ! ইন্দ্রনাথ সহসা বজ্রাহতের ন্যায় নিপদ হইয়া রহিলেন । তাঁহার সমস্ত শরীর কম্পিত হইতে লাগিল। ললাট হইতে বেদবিন্দ নিগত হইতে লাগিল। বিমলা তাঁহাকে সমস্ত বাত্তান্ত বলিলেন, ইন্দ্রনাথ নীরবে শুনিলেন, নীরবে হস্তের উপর ললাট ন্যস্ত করিয়া অধোবদনে রহিলেন। মস্তকে শিরা সফীত হইতেছিল, নয়ন হইতে অগ্নিকণা বহিগতি হইতেছিল। অনেকক্ষণ পর ইন্দ্রনাথ ধীরে ধীরে মস্তকোত্তোলন করিয়া বলিলেন,—ভদ্ৰে ! আপনার কথাই থাকিবে, আমি পলায়ন করিব, কিন্তু একটী প্রতিজ্ঞা করন। বিমলা। কি প্রতিজ্ঞা ? ইন্দ্রনাথ। যদি কল্য আপনার উদ্ধারের উপায় না হয়, যদি নশংস শত্ররা আপনার বধের আজ্ঞা দেয়, অঙ্গীকার করন মাসমীর নিকট তিন দিবসের সময় প্রার্থনা করিবেন! আমি মাসমীকে বিলক্ষণ জানি, অবলার এ যাদ্ধার কখনই অস্বীকৃত হইবেন না। তিন দিনের মধ্যে অনেক ঘটনা ঘটিতে পারে। বিমলা তাহাই প্রতিশ্রত হইলেন। তখন বিমলা ইন্দ্রনাথকে সন্ত্রীবেশে সজিত করিয়া দিলেন। ইন্দ্রনাথ আপনার নতন রপে দেখিয়া হাসিলেন। আবার বিমলার দিকে চাহিলেন, উদ্বেগের সহিত বিমলার হস্ত দুইটী আপনার দুই হস্তে ধারণ করিয়া বলিলেন-- ভদ্রে। দুইবার আপনি আমার প্রাণরক্ষা করিলেন, জগদীশ্বর আমার সহায় হউন, আমি আপনার এ ঋণ পরিশোধ করিতে চেস্টা করিব। এই কথা কহিতে কহিতে ইন্দ্রনাথের উষ্ণ নিশ্বাস বিমলার বাহতলতার উপর পড়িল, ইন্দ্রনাথের ওঠস্বয় বিমলার করপল্লব সপশ করিল। বাতাহত পরের ন্যায় বিমলার গাত্র কপিতে লাগিল, শরীর অবসন্ন হইল। মহত্তমধ্যে ইন্দ্রনাথ অদৃশ্য হইলেন, বিমলা ললাটের বেদ মোচন করিয়া সেই অন্ধকারময় কুটীরে বসিয়া পড়িলেন। নৈশ জগৎ দভেদ্য অন্ধকারে আচ্ছন্ন, বিমলার নারী-হৃদয়ও দাভেদ্য অন্ধকারে আচ্ছন্ন! ●影f