পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छेर्नाछरण गिब्रटन्छक : ऋब्रट्षब्र बौब्रङ्ग ..HEARD ye the din of battle bray, Lance to lance and horse to horse. o —Grey. ইন্দ্রনাথকে সহসা শিবিরে দেখিয়া তাঁহার অধীনস্থ সেনাদিগের বিস্ময় ও আহমাদের সীমা ছিল না। কিন্তু ইন্দ্রনাথ গম্ভীর স্বরে বলিলেন,-কোন কথা জিজ্ঞাসা করিও না, আমার ཙཱ་ཧཱ་ཧཱ། ཨ་ཝ་ར་ལ་ཝ་༡༥ অস্ত্ৰ-শস্ত্র লইয়া প্রস্তুত হও, এইক্ষণেই নিঃশব্দে শত্রুশিবির আক্রমণ | সৈন্যেরা বিস্ময়াপন্ন হইল, কিন্তু আর কোন কথা জিজ্ঞাসা না করিয়া করিতে লাগিল। ইন্দ্রনাথ এই অবসরে ভগবানের নাম লইলেন। দণ্ডবৎ প্ৰণিপাত করিয়া ,-- ভগবন! আদ্যকার মত অসমসাহসী কায্যে আমি কখনও লিপ্ত হই নাই, আদ্য প্রসন্ন হইয়া সুতুলি তিনি আমার গালিদ জন মান দি দি তলত ই | রজনী তিন প্রহর অতীত হইয়াছে, চন্দ্র অস্ত গিয়াছে, চারিদিকে গভীর অন্ধকার। আকাশে দুই একটী তারা দেখা যাইতেছে, আবার মেঘরাশিতে আবত হইতেছে। মধ্যে মধ্যে পেচকের ভীষণ শব্দ শুনা যাইতেছে, নিকটস্থ গঙ্গার ভীম কল্লোল শ্রুতিগোচর হইতেছে। সে গভীর অন্ধকারে ইন্দ্রনাথের সেনা নিঃশব্দে শত্রশিবিরাভিমুখে চলিল। ক্ষণেক যাইতে যাইতে দরে হইতে একটা আলোক দণ্টিগোচর হইল, সে আলোক একবার দেখা যায়, অন্যবার নিব্বাণপ্রাপ্ত হয়। ইন্দ্রনাথ দাঁড়াইলেন, একজন দতকে অগ্রে প্রেরণ করিলেন। দত নিঃশব্দে যাইয়া নিঃশব্দে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিল, বলিল, শত্রুপক্ষের চরিজন শিবিররক্ষক ঐ স্থানে পাহারা দিতেছে। ইন্দ্রনাথ দশ জন তীরন্দাজকে আগ্রে যাইতে বলিলেন ও আদেশ করিলেন,—যদি ঐ চারিজনের মধ্যে একজন পলাইয়া যাইয়া শিবিরে সংবাদ দেয়, তবে তোমাদের দশ জনের প্রাণ সংহার কারব! তীরন্দাজগণ ধীরে ধীরে যাইয়া মহত্তমধ্যে চারি জনকেই ভূতলশায়ী করিল। ইন্দ্রনাথের সেনা অগ্রসর হইতে লাগিল। আরও দুই তিন স্থানে ঐরপে পাহারা ছিল, রক্ষকগণ ঐরাপে নিহত হইল। অচিরে i D Be BBBS BB BBB ie আদেশ | পরিখার অপর পাশ্বের মসলমানগণ সহসা শত্রর আগমন দেখিয়া রণসজা করিতে লাগিল, কিন্তু তাহারা সজিত হইবার পবেই ইন্দ্রনাথ সসৈন্যে পরিখা পার হইয়া তাহাদিগকে ছিন্ন ভিন্ন করিয়া দরে তাড়াইয়া দিলেন। ইন্দ্রনাথ তখন সৈন্যগণকে সেই পরিখা রক্ষা করিবার জন্য রাখিয়া কেবল পঞ্চাশ জন মাত্র সঙ্গে লইয়া উদ্ধৰ স্বাসে কারাগারের দিকে যাইলেন। কারাগাহের বাহিরে সৈনিকগণ দ্বার রক্ষা করিতেছে। ইন্দ্রনাথ এখনও কারাগাহে বদ্ধ আছে, তাহারা এইরুপ বিবেচনা করিতেছিল; সহসা ইন্দ্রনাথের বজ্রনাদ শুনিয়া, এবং ইন্দ্রনাথ দ্বারা আক্রান্ত হইয়া বেগে পলায়ন করিল। ঘরের নিকটে যাইয়া ইন্দ্রনাথ দেখিলেন, তাঁহার ঘরের রক্ষকদ্বয় এখনও সরোয় অচেতন, নিকটে একটী দীপ জলিতেছে। ইন্দ্রনাথ দীপটী হাতে লইয়া ঘরের ভিতর যাইলেন, দেখিলেন সেই অন্ধকারময় কারাগাহের তৃণশয্যায় বিমলার শ্রান্ত শীর্ণ দেহলতা পড়িয়া রহিয়াছে। চক্ষ মাদিত, নিশ্বাস প্রশ্বাসে বক্ষঃস্থল ধীরে ধীরে সফীত হইতেছে। ইন্দ্রনাথ এক মহন্তকাল সজল নয়নে ভগবানকে শত শত ধন্যবাদ দিলেন। তৎপর মহেত্তে মধ্যে সেই ক্ষীণ দেহলতা তৃণশয্যা হইতে উঠাইয়া ঘর হইতে নিম্ফাস্ত হইলেন। ক্ষণেক পর বিমলার যেন চেতনা হইল, ইন্দ্রনাথকে চিনিতে পারিলেন, বলিলেন,—সেনাপতি ইন্দ্রনাথ আমার উদ্ধারের জন্য আসিয়াছেন ? ভগবান আপনার উপকার কারবেন। আমি মৃত্যুই স্থির করিয়াছিলাম, কেবল মাতুর সময় পিতাকে দেখিলাম না, এই জন্য মনে বড় ক্লেশ হইতেছিল। সেনাপতি আমার উদ্ধার সাধন করুন, আমি পিতাকে আর একবার দেখিব। ఆసి