পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छाक्कि९ण अब्रिटझ्न ३ हेक्राणुटब्र अज्राणबन WHEN wild war's deadly blast was blown, And gentle peace returning, With many a sweet babe fatherless, And many a widow mourning, I left the lines and tented field, Where long I'd been a lodger. —Burns. বহনকালের পর আত্মীয় স্বজনের পরপর মিলনে যে অপৰ্য্যাপ্ত সংখলাভ করিলেন, তাহা বর্ণনা করিয়া শেষ করা যায় না। নগেন্দ্রনাথ বহনকাল পরে পত্রকে পাইয়া অপার আনন্দ-সাগরে ভাসিতে লাগিলেন। পত্রকে বার বার আলিঙ্গন করিয়া সহস্ৰ আশীবাদ করিতে লাগিলেন। বনগ্রাম হইতে চন্দ্রশেখর কমলাকে সঙ্গে করিয়া ইচ্ছাপারে আসিলেন। রন্দ্রপরে হইতে অমলা স্বামীকে সঙ্গে করিয়া আনিল। রাজা টোডরমল্প আসিবেন শুনিয়া সকলেই সকল দিক হইতে ইচ্ছাপারে আসিতে লাগিল। ইন্দ্রনাথ যে জমীদার নগেন্দ্রনাথের পত্র তাহা সকলেই জানিতে পারিল। সরলা একদিন গোপনে ইন্দ্রনাথকে কহিল,—আমি তোমাকে দরিদ্র ভদ্রসস্তান জানিয়া কথা কাঁহতাম, জমাদারপত্র জানিলে ভয়ে কথা কহিতাম না। ইন্দ্রনাথ সহাস্যবদনে উত্তর করিলেন,—সেজন্য এখন যেন পরোতন ভালবাসা ভুলিও না। সরলা মনে মনে ভাবিল,—পারিব কেন? লজাবনতমখী বেগে পলায়ন করিল। অমলা রন্দ্রপরে ইন্দ্রনাথকে সামান্য কায়স্থপত্র বলিয়া কত তামাসা করিত, এক্ষণে তাঁহাকে জমীদারপত্র জানিয়া লজ্জায় কথা কহিতে পারিল না, কিন্তু ইন্দ্রনাথ অলেপ ছাড়িবার লোক নহেন। একদিন কাহাকেও কিছ না বলিয়া নবীন দাসের বাড়ীর ভিতর প্রবেশ করিলেন। অমলা তাঁহাকে দেখিয়া দেড় হাত ঘোমটা টানিল । ইন্দ্রনাথ হাসিতে হাসিতে বলিলেন,—বটে, এই বুঝি পরাতন ভালবাসা ? অমলা লজিত হইল, অথচ তামাসা ছাড়িল না, অবগাষ্ঠনের ভিতর হইতে বলিল-আপনি পরের বাড়ীর ভিতর গিয়া এইরুপ মেয়েদের সঙ্গে আলাপ করেন, আমি সরলাকে বলিয়া দিব। Si नी । অমলা এবার অপ্রতিভ হইল। অবগঠেন খুলিয়া বলিল,—আমায় ক্ষমা কর, আর আমি তোমার নিকট লডজা করিব না। সেই অবধি অমলার লজা ভঙ্গ হইল । মহাশ্বেতা ষে রাজা সমরসিংহের বিধবা তাহা জানিয়া লোকে অধিকতর বিস্মিত হইল । এখন আর মহাশ্বেতা দরিদ্রা নহেন, রাজা টোডরমল্পের আজ্ঞানসারে সমরসিংহের বিস্তীর্ণ অধিকার তাঁহার বিধবা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। সকলের সখ দেখিয়া বিমলাও আপনার দুঃখ কিয়দংশ বিস্মত হইলেন। সরলার প্রতি তাঁহার প্রগাঢ় স্নেহ হইয়াছিল। সরলা আজি পিতার বিস্তীণ জমীদারীর উত্তরাধিকারিণী, পাপাত্মা শকুনি এক্ষণে বন্দী, এ সকল বিষয় আলোচনা করিয়া বিমলা মনের ক্লেশ কথঞ্চিৎ বিস্মত হইয়াছিলেন। চিস্তাশীলা কমলাও তাঁহাদিগের সহিত থাকিতেন। তিনি এক্ষণে নগেন্দ্রনাথের গহে বাস করেন, এবং প্রত্যহ নিজহস্তে পাক করিয়া নগেন্দ্রনাথকে খাওয়ান। নগেন্দ্রনাথ কমলার কন্যাতুল্য যত্নে প্রীত হইলেন। ইচ্ছাপারে আনন্দের উৎস বহিতে লাগিল; রাজা টোডরমল্প আসিবেন বলিয়া বড় ধমেধাম ও আয়োজন হইতে লাগিল । “ገ6