পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रटभय ब्रफ़नाबब्नी s ছিলেন। রাজপতদিগের বাহবেীৰ্য্যেই মোগলগণ সিন্ধ হইতে ব্ৰহ্মপত্র পয্যন্ত সমুদয় ভারতবর্ষ শাসন করিতেন। যেখানে ঘোর বিপদ বা ঘোর সংগ্রাম উপস্থিত, সেই স্থানেই রাজপত সেনাপতি প্রেরিত হইতেন, ও প্রায়ই বিজয় লাভ করিয়া আসিতেন। আখ্যায়িকা বিবতকালে রাজপুতানার রাজাদিগের মধ্যে দুইজন বিশেষ ক্ষমতাশালী ও প্রবল পরাক্রান্ত ছিলেন, রাজা জয়সিংহ ও রাজা যশোবন্তসিংহ। সম্রাট শাজিহান উভয়কেই বিশ্বাস করিতেন ও বিপত্তির সময় ই‘হাদিগকেই রণে প্রেরণ করিতেন। সে সময়ে কি পাঠান, কি মোগল, কোন সেনাপতিরই জয়সিংহের ন্যায় প্রতাপ, ক্ষমতা বা রণকৌশল ছিল না। তাৎকালিক একজন বিচক্ষণ ও প্রসিদ্ধ ফরাসী ভারতবষে অনেকদিন ছিলেন, তিনি মক্তকণ্ঠে বলিয়া গিয়াছেন যে, জয়সিংহের মত কাৰ্য্যদক্ষ লোক সে সময়ে সমস্ত, ভারতবষে বোধ হয় আর কেহই ছিলেন না । শাজিহান ও যবেরাজ দারা যখন সলাইমান শেখকে সুলতান সজোর বিরুদ্ধে পাঠান, সঙ্গে জয়সিংহকে তাঁহার রাজপত সৈন্যের সহিত পাঠাইয়াছিলেন। বারাণসীর যুদ্ধে সজা পরাস্ত হইয়া বঙ্গদেশাভিমুখে পলায়ন করিয়াছিলেন। শিবিরে উক্তজবল দীপাবলী জনলিতেছে, বাহিরে প্রহরী, তাহার চারিদিকে অন্য শিবির। সে সময়ে রাজার শিবিরের মধ্যে আর কেহ ছিলেন না, কেবল রাজা ও তাঁহার সহৃদ দেবেরখা গুপ্ত কথা কহিতেছিলেন। ow দেবেরখাঁ বলিলেন,—যথার্থই জয়সিংহ নাম পাইয়াছিলেন, আপনি যে স্থানে, জয় সে স্থানে । রাজা বলিলেন,—অদ্যকার যুদ্ধের কথা বলিতেছেন? যুদ্ধ কোথায় ? বঙ্গদেশের সেনার সহিত যুদ্ধ কি যুদ্ধ? সালতান সজাও বঙ্গদেশে থাকিয়া বিলাসপ্রিয় হইয়া উঠিয়াছেন। তাঁহার সহিত যুদ্ধ ! দেবের । কিন্তু অদ্য যুদ্ধের সময় সুলতান সজা কি সাহস ও বিক্রম প্রকাশ করেন নাই ? রাজা। তাহা স্বীকার করি। যুদ্ধের সময় তিনি সাহসের পরিচয় দেন, কায্যের সময় বিলাস বিস্মত হয়েন। কিন্তু কেবল সাহসে কি হয়, রণকৌশল জানেন না। দেবের। সমাট-পত্রদিগের মধ্যে কাহার অধিক রণকৌশল আছে? আপনি আরংজীবকে কি মনে করেন ? রাজা। উঃ, তাঁহার নাম করিবেন না, সেরাপ তীক্ষাবৃদ্ধিসম্পন্ন লোক আমি দেখি নাই যেরপে বীরত্ব সেইরপে কৌশল। শুনিয়াছি তাঁহার গতিরোধ করিবার জন্য রাজা যশোবন্তসিংহ নক্ষমাদাতীরে যাইতেছেন। যশোবন্তসিংহ রাণার জামাতাও সেইরূপ যোদ্ধা ও বিক্রমশালী; কিন্তু আরংজীবের সহিত যুদ্ধে কি হয় জানি না। যশোবস্তের সাহস আছে, কৌশল নাই। আমার বোধ হয় এই ভ্রাতৃবিরোধে অবশেষে আরংজীবের জয় হইবে। দেবের। আপনি দারাকে পরিত্যাগ করবেন ? রাজা। ইচ্ছামত কখনই নহে, কিন্তু যুদ্ধে যদি অবশেষে আরংজীবের জয় হয় তাহা হইলে তাঁহাকে সম্রাট বলিয়া মানিতে হইবে। আমরা দিল্লীর সমাটের অধীন, যিনি যখন সম্রাট হইবেন তখন তাঁহার বিরুদ্ধাচরণ করা রাজবিদ্রোহিতা। দেবের। ভাল, আদ্য আপনি ইচ্ছা করিলে অনায়াসে সজোকে বন্দী করিতে পারিতেন। সজা যখন পলায়ন করিলেন আপনি অনায়াসে পশ্চাদ্ধাবন করিয়া ধরিতে পারিতেন, তাহা হইলে যুবরাজ দারাও অতিশয় সস্তুস্ট হইতেন। আপনি সেরাপ না করিলেন কেন ? রাজা। আদ্য সজোকে পলাইতে দিয়াছি তাহার কারণ আছে। ভ্ৰাতায় ভ্ৰাতায় যেরপে বিজাতীয় ক্রোধ, যদি সজাকে দারার সমখে লইয়া যাইতাম, বোধ হয় যুবরাজ তাঁহার প্রাণদণ্ড করিতেন, অথবা যাবতজীবন কারারুদ্ধ রাখিতেন। তাহা কি বিধেয় ? বিশেষ আমি এই যুদ্ধে আসিবার সময় সম্রাট শাজিহান যাহাতে যুদ্ধ না হয়, এরপে চেন্টা করিতে বলিয়া দিয়াছিলেন। সজোর হানি করা তাঁহার ইচ্ছা নহে। সম্রাটের এই কথা অনুসারে আমি সন্ধি স্থাপনের কথা বলিয়া পাঠাইয়াছিলাম, সাজাও একপ্রকার সম্মত হইয়াছিলেন। কিন্তু সলাইমান ষবা পরষ, আপন বিক্রম দেখাইবার জন্য অধৈয্য হইয়া সহসা গঙ্গা পার হইয়া যুদ্ধ আরম্ভ } এইরুপ কথোপকথন হইতেছে, এরপে সময়ে একজন প্রহরী অসিয়া বলিল,—মহারাজ, সেনানী গজপতিসিংহ একবার সাক্ষাৎ করিতে চাহেন । রাজা আসিতে আজ্ঞা দিলেন। సి ty