পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भाथबौकष्कण ক্ষণেক পর গজপতিসিংহ আসিয়া বলিলেন,-মহারাজ ! বঙ্গদেশের একজন হিন্দ বন্দী হইয়াছে, সে আহত । তাহার নিকট হইতে বঙ্গদেশীয় অনেক সংবাদ পাওয়া যাইতে পারে। রাজা কিঞ্চিৎ চিন্তা করিয়া বলিলেন,—আপাততঃ আমার শিবিরে থাকিতে দাও । নরেন্দ্রনাথকে অচেতন অবস্থায় শিবিরে লইয়া যাওয়া হইল। পরে জয়সিংহ গজপতিকে সবোধন করিয়া বলিলেন,-গজপতি, অদ্য তুমি যুদ্ধে আমার বিশেষ সহায়তা করিয়াছ, সেজন্য তোমাকে ও তোমার প্রভু যশোবন্তসিংহকে আমি ধন্যবাদ দিতেছি। এক্ষণে কি কথা বলিবার জন্য যশোবস্ত তোমাকে আমার নিকট পাঠাইয়াছেন নিবেদন কর। উভয়ে গুপ্ত কথোপকথনে প্রবত্ত হইলেন। একাদশ পরিচ্ছেদ ঃ জেলেখা MY heart is sair, I dare na tell My heart is sair for somebody, I could range the world around For the sake o somebody. —Burns. তাহার পর কয়েকদিন নরেন্দ্রনাথ জবরে অচেতন অবস্থায় থাকিতেন। মধ্যে মধ্যে সংজ্ঞা হইত, বোধ হইত যেন তরীতে অতি দ্রুতবেগে গঙ্গার উপর দিয়া যাইতেছেন, পনরায় কি দেশে ফিরিয়া যাইতেছেন ? বোধ হইত যেন এক অল্পবয়স্কা রমণী তাঁহার শশ্রেুষা করিতেছে, আবার কি হেমলতাকে ফিরিয়া পাইলেন : রোগীর চক্ষে জল আসিল । কয়েক দিন এইরপে অতিবাহিত হইল। রোগের ক্রমশঃ উপশম হইল। যখন সম্পণে চৈতন্য হইল, দেখিলেন এক অপবে ঘরে একটী দীপ জলিতেছে, তিনি একটী শয্যায় শুইয়া রহিয়াছেন, এরপে সরম্য ঘর তিনি কখনও দেখেন নাই। সমস্ত ঘর সন্দের শ্বেত প্রস্তর দ্বারা নিমিত ! রৌপ্যের শামাদানে দীপ জনলিতেছে ও সমস্ত গহে সুগন্ধে আমোদিত করিতেছে। তাঁহার পালঙ্ক দ্বিরদরদ-খচিত, সবেণ ও রৌপ্য দ্বারা বিভূষিত। সম্মখে একটী রৌপ্য আধারের উপর এক রৌপ্য পাত্রে জল রহিয়াছে, নীচে শয্যা হইতে কিঞ্চিৎ দরে একটী বিচিত্র গালিচার উপর এক যবনকন্যা ও এক খোজা বসিয়া অতি মদ বরে কথোপকথন করিতেছে। যবনকন্যা যাবতী, তবেঙ্গী এবং সন্দেরী। মুখে সৌন্দৰ্য্য ঝলমল করিতেছে, নয়ন হইতে সৌন্দযর্ণ বিকীর্ণ হইতেছে, ললিত বাহুলতা ও কমনীয় দেহলতায় সৌন্দৰ্য্য প্রবাহিত হইতেছে। হেমলতার অবয়ব নরেন্দ্রের হৃদয়ে অঙ্কিত ছিল, কিন্তু এরপে উত্তজবল সৌন্দৰ্য্য নরেন্দ্র কোথাও দেখেন নাই, এরাপ সবগীয় পরীর ন্যায় অবয়ব কখন দেখেন নাই। যবনকন্যার দটিতে ও অঙ্গভঙ্গিতে যেন তেজ ও দপের পরিচয় দিতেছে। যবনকন্যা এক একবার পীড়িত হিন্দরে দিকে চাহিতেছে, এক একবার বিষন্নভাবে ভূমির দিকে চাহিতেছে, আবার মন্দস্বেরে খোজার সহিত কথা কহিতেছে। খোজা কৃষ্ণবণ ও বলবান। তাহাদের কি কথা হইতেছিল নরেন্দ্রনাথ কিছুই বুঝিতে পারলেন না, কেবল দলই একটা কথা শুনিতে পাইলেন। যবনকনা বলিতেছিল—মসরর, কেন এ হিন্দরে ও আমার সব্বনাশ করিবে ? নিন্দোষী নিরাশ্রয় ব্যক্তির জীবননাশে কি তোমার আমোদ ? মসররে। জেলেখা, তবে তুমি কাফেরকে এস্থলে আনিলে কেন ? জেলেখা। সে আমার দোষ; ইহার কি দোষ ? ইনিত নিন্দোষী। মসররে। কেন, এত মায়া কিসের জন্য? এ কাফের কি তোমার আসেক ? জেলেখা যোদ্ধকেন্যা; সহসা তাহার বদনে পৈতৃক ক্রোধ ও তেজের আবিভাব হইল; বক্তোচ্ছাসে মুখমণ্ডল" আরক্ত হইয়া যাইল। সক্রোধে বলিল,—মসররে! যদি তুমি সন্ত্রীলোক হইতে তাহা হইলে মায়ার কাতরতা বুঝিতে, যদি পর্ষ হইতে তথাপি হৃদয়ে দয়া থাকিত। సిసి