পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রমেশ রচনাবলী টু সুলিন-ফক নে ফলন তোমার প্রণয়িনী, তুমি কল্য রজনীতে তাহাকে 曾 ! 輯 গজপতি সিংহ হাসিয়া উঠিলেন, সকলে হাসিয়া উঠিল। নরেন্দ্রনাথ হাসিলেন না, তাতারের কথা শুনিয়া তিনি শিহরিয়া উঠিলেন, বিসময়ে স্তন্ধ হইয়া রহিলেন অনেকক্ষণ পর তাতার নরেন্দ্রকে এক দিকে ডাকিয়া ধীরে ধীরে বলিল,—যবেক! দিল্লীতে তোমার মহাবিপদ, তুমি কি তাহা জান না ? দিল্লী ত্যাগ করিয়া আদাই পলায়ন কর, তোমার বন্ধর সহিত অদ্যই নম্মদাতীরে গমন কর। এ দেওয়ানাও সেই দিকে যাইতেছে, যদি অনুমতি তুমুল আহ। দেওয়ানা তোমার অপকার করিবে না, বিপদ হইতে রক্ষা করিবার করবে। নরেন্দ্রনাথ আরও বিসিমত হইলেন। এ বালক কে ? বালক কি যথার্থই অতীত বৰ্ত্তমান ভবিষ্যৎ বলিতে পারে ? বালক কি যথার্থই গত রারির কথা জানে ? দেওয়ানা যেই হউক, নরেন্দ্রনাথের হিতাকাঙক্ষী, সম্ভবতঃ নরেন্দ্রনাথকে বিপদ হইতে রক্ষা করিতে পারে। ভাবিয়া চিন্তিয়া নরেন্দ্রনাথ তাহাকে নিকটে রাখিতে সক্ষমত হইলেন। সেই দিন সন্ধ্যার সময়েই গজপতি, নরেন্দ্র ও তাতার বালক দিল্লী ত্যাগ করিয়া নক্ষমাদাভি মখে চলিলেন। পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ ঃ রাজা যশোবন্তসিংহের শিবির BUT hark the trump ! To-morrow thou, In glory's fires shalt dry thy tears' —Campbell. ১৬৫৮ খৃঃ অব্দে বসন্তকালে প্রাচীন উজয়িনী নগর ও তরঙ্গবাহিনী সিপ্রানদীর অপরাপ দশ্য দশন করিল। চন্দ্র উদিত হইয়াছে, তাহার উক্তজবল কিরণে সিপ্রানদীর উভয় কলে যতদর দেখা যায়, শত্র শিবিরশ্রেণী দেখা যাইতেছে। একদিকে রাজা যশোবন্ত ও তাঁহার সহযোদ্ধা কাসেমখাঁর অসংখ্য সেনা চন্দ্রকরোজল শিবিরশ্রেণীর মধ্যে বিশ্রাম করিতেছে, অপর তীরে এক পববতোপরি আরংজীব ও মোরাদের মোগল সৈন্যদল রহিয়াছে। মধ্যে কলনাদিনী সিপ্রানদী প্রস্তরশয্যার উপর দিয়া বহিয়া যাইতেছে, যেন মোগল ও রাজপতেদিগের যুদ্ধের আয়োজন দেখিয়া ভীত না হইয়া উপহাস করিয়া যাইতেছে। দরে ভারতবর্ষের কটীবন্ধস্বরপ বিন্ধ্যপন্বত চন্দ্রালোকে দেখা যাইতেছে। কল্য ভীষণ যুদ্ধ হইবে, কিন্তু অদ্য সমস্ত জগৎ সপ্ত। কেবল সময়ে সময়ে প্রহরীর সবর নিস্তব্ধ রজনীতে সদরে পয্যন্ত শ্রত হইতেছে, কেবল সিপ্রানদীর তরঙ্গমালা কলকল করিতেছে, কেবল দরে হইতে নৈশ শগালের শব্দ নদীকলে ও পর্বতশ্রেণীতে প্রতিধৰনিত হইতেছে। একটী শিবিরে নরেন্দ্ৰ শয়ন করিয়া নিদ্রিত আছেন, তথাপি যুদ্ধের নানারপে চিন্তা স্বপ্নরাপে তাঁহার হৃদয়ে জাগরিত হইতেছে, তাহার সঙ্গে পুরাতন কথা হৃদয়ে জাগরিত হইতেছে। সিপ্রানদীর কলকল নাদ যেন ভাগীরথীর শব্দ বোধ হইল, সেই ভাগীরথীতীরে সেই কুঞ্জবনবেষ্টিত উচ্চ অট্টালিকা দেখিতে পাইলেন। তীরে বালকোরাশি, বালকোরাশিতে দুই জন বালক ক্রীড়া করিতেছে আর একজন বালিকা দাঁড়াইয়া যেন গান গাইতেছে। সে প্রেমপত্তেলি কে ? সে কোথায় ? ভাগীরথীতীরস্থ কুঞ্জবনে সেই তিনটী শিশ রজনীতে ক্রীড়া করিত সত্য, কিন্তু কালের নিষ্ঠর গতিতে সে চিত্ৰটী বিলুপ্ত হইয়াছে। স্বপ্ন পরিবত্তিত হইল। ভাগীরথীর কল্লোলপ্রবাহ, এ রমণীর গীতধর্মনি, রমণী না অপ্সরা ? উচ্চ প্রাসাদ, তাহার ছাদ ও স্তম্ভ সবেণ ও রৌপ্যমণ্ডিত, তাহার মধ্যে এক অপসরা গান করিতেছে। কেবল একজন অপসরা গান করিতেছে, সে বড় গুদুঃখের গীত, জেলেখা কাঁদিয়া কাঁদিয়া সেই দুঃখের গীত গাইতেছে। ঐ যে জেলেখা দাঁড়াইয়া আছে ; ঐ যে তাহার SObf