পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e/o با বদ্ধমান ম্যাজিলেট ও কলেক্টর ২৬ নবেম্বর ১৮৯৩

  • -ঐ কমিশনর, বদ্ধমান বিভাগ (অস্থায়ী) ১৬ এপ্রিল ১৮৯৪ । হগেলী ম্যাজিস্ট্রেট ও কলেক্টর ১৭ এপ্রিল ১৮৯৫ উড়িষ্যা কমিশনর ও করদমহলের

সুপারিস্টেডেণ্ট (অস্থায়ী) ৬ অক্টোবর ১৮৯৫ (ছয়টি : ১৭ জানুয়ারী ১৮৯৭ হইতে। ২৬-১-৯৭ হইতে ১০ মাস) রমেশচন্দ্রের সাহিত্য-সাধনা শরদ হয় তাঁহার কম জীবনের প্রথম দিকেই। কিরাপে তিনি বাঙ্গালা সাহিত্যের অনুশীলনে রত হন সে এক বিচিত্র কাহিনী । প্রতিটি সিবিল সাবিস কলমী স্বদেশ-সেবায় কতখানি কৃতিত্ব দেখাইতে পারেন রমেশচন্দ্র তাহার একটি উজল দষ্টান্ত । তিনি বাঙ্গালাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কম্মোপলক্ষে অবস্থান করিয়াছেন এবং নিয়ত জনসাধারণের মঙ্গল-কমে নিজেকে লিপ্ত রাখিয়াছেন। প্রজার কল্যাণ ছিল তাঁহার সকল কমের মল তন্ত্র। ১৮৭৩-৭৪ সনে পাবনায় যখন তথাকথিত প্রজাবিদ্রোহ উপস্থিত হয় তখন তিনি ভূমিতে প্রজার স্বত্ব নিরুপণ কলেপ 'ARCYDE ছদ্মনামে বহর ইংরেজী প্রবন্ধ প্রকাশিত করিয়াছিলেন রেভাঃ লালবিহারী দে সম্পাদিত ‘বেঙ্গল ম্যাগাজিন পত্রিকায়। দক্ষিণ শাহাবাজপুরের (বরিশাল) অ্যাসিস্টাণ্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও কলেক্টর থাকাকালে ১৮৭৬ খ্রীস্টাব্দে ভীষণ ঝড় ও প্লাবন হয়। ইহাতে নর-নারী, শিশু গহপালিত গো-মহিষ এবং অসংখ্য জীবজন্তুর প্রাণহানি ঘটে। রোহিণীকুমার সেনের বাকলা’ শীর্ষক বাখরগঞ্জের ইতিহাসে এই মমতুদ প্লাবনের বিস্তত বিবরণ দেওয়া হইয়াছে। আমি ঐ সময়কার ‘অমতবাজার পত্রিকার স্তম্ভে এই আকস্মিক বিপর্যায়ের বিস্তারিত বর্ণনা বহন সংখ্যায় পরপর দেখিয়াছি। এ সময় রমেশচন্দ্র যাবজনোচিত আগ্রহে দগত জনসাধারণের দুঃখকষ্টে লাঘবের সেবা-পরায়ণতার কথা অতীব কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করিয়াছেন। রমেশচন্দ্রের মত বিদ্যোৎসাহী প্রশাসক সে যুগেও খুব কমই দেখা যাইত। তিনি যখনই যেখানে গিয়াছেন সে সব স্থলের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান এবং ছাত্রসমাজকেও নিজ অকৃত্রিম উৎসাহউদ্দীপনায় অনুপ্রাণিত করিয়াছেন। পিতৃদেবের মুখে শনিয়াছি বাখরগঞ্জের জিলাশাসকরপে অবস্থান কালে তিনি ইহার অন্যতম মহকুমা পিরোজপরে গিয়াছেন এবং সকুল পরিদর্শন করিয়া তরুণ ছাত্রগণকে বিশেষ উৎসাহ এবং বিদ্যাভ্যাসে অধিকতর মনোযোগী হইতে উপদেশ দিয়াছেন। “প্রবাসী” ও “মডান রিভিয়া"র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় একদা আমাদিগকে রমেশচন্দ্রের কথাপ্রসঙ্গে বলিয়াছেন, তিনি বাঁকুড়া জেলা স্কুলে ছাত্রাবস্থায় ম্যাজিস্ট্রেট রমেশচন্দ্রের হস্ত হইতে পরীক্ষায় কৃতিত্ব প্রদর্শন-হেতু পরস্কার লাভ করিয়াছিলেন। সেই সময়ে প্রদত্ত মধর উপদেশ এখনও তাঁহার পল্ট মনে আছে। এইরকম ঘটনা বা দন্টান্ত বিভিন্ন জেলার প্রাচীন লোকেরা এখনও হয়ত দিতে পারবেন। সবদেশের অর্থনীতি ও শিল্পোন্নতির চিন্তাও রমেশচন্দ্রের মনের অনেকখানি জড়িয়া ছিল। সরকারী কম্পমকালে তাঁহার বিশেষ পরিচয় না পাইলেও ইহার আভাস আমরা ঐ সময়েই পাইয়া থাকি। বিশেষতঃ সাহিত্যানুশীলন এবং বিবিধ উপায়ে সবদেশের উন্নতিসাধনই যে | ff fశా శా 5 శాణాళా శా ఆ శాఖా శా রব | রমেশচন্দ্র কলমাকালেই ১৮৯২ খ্রীস্টাব্দে সরকার হইতে সি. আই. ই. উপাধি লাভ করেন। নতন ভারত সংস্কার আইন প্রবত্তিত হইলে ১৮৯৫ সনে তিনি বঙ্গীয় আইন-সভায় সরকার কত্ত্বক সদস্য মনোনীত হইয়াছিলেন। এই সময় তাঁহার বন্ধ সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আনন্দমোহন বস নিৰ্বাচিত সদস্যরাপে আইন-সভায় তাঁহার সহকমী হন। অবসর গ্রহণ : লন্ডন য়ুনিভাসিটির অধ্যাপক ; রমেশচন্দ্র ১৮৯৭, ২৬শে জানুয়ারী হইতে দশ মাসের ছুটি লইয়া বিলাত গমন করেন। তিনি ইহার পর সরকারী কক্ষো আর ফিরিয়া আসেন নাই। বাৎসরিক এক হাজার পাউন্ড পেন্সনে কাৰ্য্যকাল পণ্যে হইবার আট নয় বৎসর পবেই অবসর গ্রহণ করিলেন। তিনি যে মনে মনে স্বদেশ-সেবার উচ্চতর আদশ এবং