পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भाथबौकथ्कण শুনিতে শুনিতে নরেন্দ্র মদিরাপ্রভাবে নিদ্রায় অভিভূত হইলেন, পরে কি হইল স্মরণ রহিল না। . কিন্তু সে নিদ্রা গভীর নহে। নরেন্দ্র সমস্ত রজনী স্বপ্ন দেখিতে লাগিলেন, কখন স্বপ্ন দেখেন কখন অন্ধেক জাগ্রৎ হইয়া থাকেন। কখন স্বপ্ন দেখেন, কখন জাগ্রৎ থাকেন, মত্ততাপ্রযুক্ত কিছুই স্থির করিতে পারিলেন না। অনেকক্ষণ পর বোধ হইল, যেন পবেকার একদিনের ন্যায় আবার অন্ধকার হইতে আলোকচ্ছটা প্রকাশ হইতে লাগিল, আবার যেন প্রস্তরভিত্তি সরিয়া গেল, মেঘ সরিয়া গেলে যেন চন্দ্রালোক প্রকাশিত হইল। সেই আলোকে সেই উজদল রমণী; কিন্তু জেলেখা অদ্য গান গাইতেছে না, আদ্য বীণাহস্তে আইসে নাই, আদ্য খড়গ্ৰহস্তে ! কি ভয়ঙ্করী মাত্তি নয়ন হইতে অগ্নিসফলিঙ্গ বাহির হইতেছে, সক্ষম রক্তবর্ণ ওঠের উপর দন্ত চাপিয়া রহিয়াছে, সমস্ত বদনমণ্ডল ক্রোধপ্রজবলিত ও রক্তবণ", বামার করে সেই শৈবের দীঘ খড়া, বামার বক্ষে একখানি তীক্ষ ছুরিকা! নরেন্দ্র বিস্মিত হইলেন, তাঁহার ললাট হইতে বেদ বহির্গত হইতে লাগিল ; তিনি উঠিবার উদ্যম করিলেন, কিন্তু স্বপ্নে বিপদাপন্ন ব্যক্তির ন্যায় পলাইতে অক্ষম, উঠিতে অক্ষম! বামা মণাল-করে দীঘ"খড়শ ধারণ করিয়া গহবরে প্রবেশ করিল। একবার দণ্ডায়মানা হইল, একবার নরেন্দ্রের মুখের দিকে চাহিল। হস্ত হইতে খড়া পড়িয়া গেল। এবার সেই তীক্ষ ছুরিকা বাহির করিল, এবার অকম্পিত হস্তে সে ছুরিকা নরেন্দ্রের বক্ষঃস্থলের উপর ধরিল। আবার কি চিন্তা আসিল, ছুরিকা হস্তভ্রষ্ট হইয়া পতিত হইল, বামা ধীরে ধীরে চলিয়া গেল । নরেন্দ্র চীৎকার শব্দ করিয়া উঠিয়া বসিলেন, তাঁহার নিদ্রা ভঙ্গ হইল। তিনি দেখিলেন ঘমে তাঁহার সমস্ত শরীর আপ্লুত হইয়াছে, উন্মত্ততা গিয়াছে, গহবর অন্ধকার ও নিস্তব্ধ। ধীরে ধীরে তিনি গহবরের বাহিরে আসিলেন। রজনী অবসানপ্রায়, পবেদিকে রক্তিমাছটায় আকাশ রঞ্জিত হইয়াছে। নিব্বাণপ্রায় প্রদীপের ন্যায় দুই একটী তারা এখনও দেখা যাইতেছে, প্রত্যুষের শীতল বায়ু সেই পৰ্বতশ্রেণী ও শিব-মন্দিরের উপর বহিয়া যাইতেছে ও নবজাত পাপপরিমল বহিয়া নিদ্রোথিত জগৎকে আমোদিত করিতেছে। দুই একটী নিকুঞ্জবন হইতে দুই একটী পক্ষী সন্দের গীত করিতেছে। ষড়বিংশ পরিচ্ছেদ ঃ শ্যামনগরের যুদ্ধ LIKE fabled gods, their mighty war Shook realms and nations in its jar. —Scott. উপরিউক্ত-ঘটনার কিছ পর যোধপরাধিপতি রাজা যশোবন্তসিংহ পুনরায় সৈন্য-সামন্ত লইয়া আরংজীবের বিরাদ্ধাচরণ করণাভিলাষে আগ্রাভিমুখে যাত্রা করিলেন। নরেন্দ্রনাথও সেই সৈন্যের সহিত রাজস্থান ত্যাগ করিলেন। যে কয়েক মাস নরেন্দ্রনাথ উদয়পুরে ছিলেন তাহার মধ্যে আগ্রায় একটী রাজবিপ্লব ঘটিয়াছিল, আগ্রায় এক্ষণে সে সম্রাট নাই, সে রাজত্ব নাই। সে বিপ্লবের কথা সংক্ষেপে বলা আবশ্যক, ইতিহাসজ্ঞ পাঠক ইচ্ছা করিলে এ পরিচ্ছেদ ছাড়িয়া যাইতে পারেন। এই ভীষণ ভ্রাতৃযুদ্ধ আরম্ভ হইয়া অবধি প্রথমে বারাণসীতে সুলতান সজা ও তৎপরে উজয়িনীতে যশোবন্তসিংহ পরাস্ত হইয়াছিলেন তাহা পাবে বিবত হইয়াছে। এই শেষ ঘটনার বিষয় শনিয়া সমাট শাজিহানের জ্যেষ্ঠ পত্র দারা যৎপরোনাস্তি ক্রুদ্ধ হইয়া এক লক্ষের অধিক সেনা লইয়া স্বয়ং যাদ্ধযাত্রা করিলেন, ও চাবল নদীতীরে শিবির সংস্থাপন করিয়া মোরাদ ও আরংজীবের আগমন প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন। অচিরাৎ তাঁহারা ঐ নদীর অপর পাশ্বে" আসিয়া উপস্থিত হইলেন। মোরাদ যেরপে সাহসী সেইরপে যুদ্ধকৌশলে অভিজ্ঞ, তিনি নদী পার হইয়া সংগ্রাম করিবার পরামর্শ দিলেন। কিন্তু কৌশলপট আরংজীব তাহা না করিয়া দারাকে ভুলাইবার জন্য শিবির সেই স্থানে ত্যাগ করিয়া গোপনে সৈন্যশদ্ধে নদীর অপর এক షిళి