পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रटभश ब्रफ़नाबजौ বিজয়পুর ও গলখন্দের অধীনে হিন্দুদিগের অবস্থা নিতান্ত মন্দ ছিল না। বস্তুতঃ মুসলমানদিগের দেশশাসন-কাৰ্য্য অনেকটা মহারাষ্ট্ৰীয় বৃদ্ধিবলেই পরিচালিত হইত। প্রত্যেক রাজ্য কতকগুলি সরকারে, ও প্রত্যেক সরকার কতকগুলি পরগণায় বিভক্তি ছিল। সেই সমস্ত সরকার ও পরগণায় কখন কখন মুসলমান শাসনকৰ্ত্তা নিযুক্ত হইতেন, কিন্তু অধিক সময়ে মহারাষ্ট্ৰীয় কর্মচারিগণই কর আদায় করিয়া রাজকোষে প্রেরণ করিতেন। মহারাষ্ট্ৰদেশ পৰ্বত-সঙ্কুল এবং পৰ্বতচড়ায় অসংখ্য দগ নিমিত ছিল। মুসলমান সুলতানগণ সেই সকল পাবত্য-দগাঁও মহারাষ্ট্ৰীয়দিগের হস্তে রাখিতে সঙ্কুচিত হইতেন না, এবং মহারাষ্ট্ৰীয় কিল্লাদারগণ প্রায়ই জায়গীর প্রাপ্ত হইয়া তাহারই আয় হইতে দগরক্ষার জন্য আবশ্যকীয় ব্যয় করিতেন। এই সমস্ত কিল্লাদার ও দেশমুখ ভিন্ন অনেক হিন্দু-মনসবদার রাজদরবারে নিয়োজিত থাকিতেন, তাঁহারা শত কি দ্বিশত কি পঞ্চশত কি সহস্র কি তদধিক অশ্বারোহীর সেনাপতি, সুলতানের আদেশ মতে সেই সেই পরিমাণ সৈন্য লইয়া যুদ্ধসময়ে উপস্থিত হইতে বাধ্য ছিলেন। তাঁহারাও সৈন্যের বেতন ও আবশ্যকীয় ব্যয়ের জন্য এক একটী জায়গীর ভোগ করিতেন। বিজয়পুরের সুলতানের অধীনে চন্দ্ররাও মোড়ে দ্বাদশ সহস্র পদাতিকের সেনাপতি ছিলেন । তিনি সুলতানের আদেশে নীরা ও বাণানদীর মধ্যবত্তী সমস্ত প্রদেশ জয় করিয়াছিলেন; সুলতান পরিতুস্ট হইয়া সেই দেশ চন্দ্ররাওকে অলপমাত্র কর ধাৰ্য্য করিয়া জায়গীর স্বরুপ দান করেন ; এবং চন্দ্ররাওয়ের সন্তানসন্ততিগণ সপ্তম পরষে পয্যন্ত রাজা, খেতাবে সেই প্রদেশ স্বচ্ছন্দে সশাসন করেন। এইরুপ রাওনায়েক নিম্ববালকরবংশীয়েরা পরাষানক্রেমে ফলতন দেশের দেশমুখ হইয়া সেই দেশ শাসন করেন। এইরুপে মল্লরী প্রদেশে, মর্শ্বের প্রদেশে, কাপসী ও মাধোল দেশে, ঝট্র প্রদেশে ও ওয়ারিপ্রদেশে ভিন্ন ভিন্ন পরাক্রান্ত মহারাষ্ট্ৰীয় বংশ অবস্থান করিতেন। তাঁহারা ঐ সকল প্রদেশে পরিষোনুক্রমে বিজয়পরের সরলতানের কায্যসাধন করিতে থাকেন, ও সময়ে সময়ে আপনাদিগের মধ্যেও তুমুল সংগ্রাম করিতেন। জ্ঞাতি-বিরোধের ন্যায় আর বিরোধ নাই, সতরাং পৰ্বতসঙ্কুল কঙ্কণ ও মহারাষ্ট্র প্রদেশে সব্বস্থানে ও সব্বকালেই স্থানীয় বড় বড় বংশীয়দিগের মধ্যে আত্মবিরোধ দম্পট হইত। বহর শোণিতপাত হইলেও সেগুলি কুলক্ষণ নহে, সেগুলি সুলক্ষণ। পরিচালনার দ্বারা আমাদের শরীর যেরপে সবদ্ধ ও দৃঢ়ীকৃত হয়, কাৰ্য্য, উপদ্রব ও বিপৰ্য্যয় দ্বারা জাতীয় বল ও " জাতীয় জীবন সেইরুপ রক্ষিত ও পরিপকস্ট হয়। এইরুপে মহারাষ্ট্ৰীয় জীবন-উষার প্রথম রক্তিমচ্ছটা শিবজীর আবিভাবের অনেক পর্বেই ভারত-আকাশ রঞ্জিত করিয়াছিল। * আহম্মদনগরের সুলতানের অধীনে যাদবরাও ও ভ’সলা নামক দুইটী পরাক্রান্ত বংশ ছিল । সিন্ধক্ষেীরের যাদবরাওয়ের ন্যায় পরাক্রান্ত মহারাষ্ট্রবংশ সমস্ত মহারাষ্ট্র প্রদেশে আর কোথাও ছিল না, এবং অনেকে বিবেচনা করেন দেবগড়ের প্রাচীন হিন্দুরাজবংশ হইতেই এই l বংশ সমস্তৃেত। ভ’সলাবংশ যাদবরাওয়ের ন্যায় উন্নত না হইলেও একটী প্রধান ক্ষমতাশাল্পী বংশ ছিল তাহার সন্দেহ নাই। এই স্থানে এই মাত্র বলা আবশ্যক যে, যাদবরাওয়ের বংশ হইতে শিবজীর মাতা ও ভ’সলাবংশ হইতে তাঁহার পিতা সমস্তৃেত হইয়াছিলেন। " ; দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ঃ রঘনাথজী হাবিলদার কাঞ্চন জিনিয়া তার অঙ্গের বরণ। শ্রবণ তাঁহার দিব্য পঙ্কজ-নয়ন ॥ শ্রবণে কুণ্ডলয়াম দীপ্ত দিনকর। অভেদ্য কবচে আবরিল কলেবর ॥ দুইদিকে দই তণ বামে ধরে ধন । আজানুলম্বিত ভুজ আনন্দিত তন ॥ --কাশীরাম দাস । কঙ্কণ প্রদেশে বর্ষাকালে প্রকৃতি অতি ভীষণ রূপ ধারণ করে; ১৬৬৩ খঃ অব্দের বসন্তকালেই একদিন সায়ংকালে সেইরপে ঘোর ঘটা দন্ট হইয়াছিল। সদ্য" এখনও অন্ত যায় ఫిగ్లఫి.