পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भशब्राष्ट्ठे कौबन-थस्राङ নাই, অথচ সমস্ত আকাশ দীঘবিলম্বী অতি কৃষ্ণ মেঘরাশিতে অবত ও চারিদিকে পর্বতশ্রেণী ও অরণ্য অন্ধকারে আচ্ছন্ন রহিয়াছে। পন্বতে, উপত্যকায়, অরণ্যমধ্যে, প্রান্তরে, আকাশ বা মেদিনীতে শব্দমাত্র নাই, যেন অচিরে প্রচন্ড বাত্যা আসিবে জানিয়া সমস্ত জগৎ ভয়ে স্তন্ধ হইয়া রহিয়াছে। নিকটস্থ পৰ্বতের উপর দিয়া গমনাগমনের পথগুলি ঈষৎ দেখা যাইতেছে, দীরস্থ বিশাল পাদপাবত পন্বতগুলি গাঢ়তর কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করিয়াছে, আর নীচে উপত্যকা অন্ধকারে আচ্ছন্ন রহিয়াছে। পৰ্বত-প্রবাহিণী জলপ্রপাতগুলি কোথাও রৌপ্যগুচ্ছের ন্যায় দেখা যাইতেছে, কোথাও অন্ধকারে লীন হইয়া কেবল শব্দমাত্রে আপন পরিচয় দিতেছে। সেই পন্বতপথের উপর দিয়া এক মাত্র অশ্বারোহী বেগে অশ্বচালন করিয়া যাইতেছিলেন। অশ্বের সমস্ত শরীর ফেনপুণ ও ঘন্মাক্ত। অশ্বারোহীর বেশ কদমময়, দেখিলেই বোধ হয় তিনি অনেক দর হইতে আসিতেছেন। তাঁহার দক্ষিণ হস্তে বশা, কোষে অসি, বামহস্তে বলগা ও বাম বাহতে ঢাল, পরিচ্ছদ ও উষ্ণীষ রাজস্থানদেশীয়। অশ্বারোহীর বয়ঃক্রম অস্টাদশবষ* হইবে, অবয়ব উন্নত ও গৌরবণ, কিন্তু পরিশ্রমে বা রৌদ্রোত্তাপে এই বয়সেই তাঁহার মুখমণ্ডলের উত্তজবল বর্ণ কিঞ্চিৎ কৃষ্ণ হইয়াছে। শরীর সবদ্ধ ও দঢ়ীকৃত, ললাট উন্নত, চক্ষদ্বীয় জ্যোতিঃপণ", মুখমণ্ডল “ঔদার্য্যব্যঞ্জক ও অতিশয় তেজঃপণ । যবেক অশ্বকে অলপ বিশ্রাম দেবার জন্য লম্ফ দিয়া ভূমিত্বে অবতীণ হইলেন, বগা বক্ষোপরি নিক্ষেপ করিলেন, বশী বক্ষশাখায় হেলাইয়া রাখিলেন, ও হস্ত দ্বারা ললাটের ঘন্ম মোচন করিয়া নিবিড় কৃষ্ণ কেশগুচ্ছ পশ্চাৎ দিকে সরাইয়া ক্ষণেক আকাশের দিকে নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন। আকাশের আকৃতি অতি ভয়ানক, অচিরাং তুমুল বাত্যা আসিবে তাহার সংশয় নাই। মন্দ মন্দ বায় বহিতে আরম্ভ হইতেছে এবং অনন্ত পন্বত ও পাদপশ্রেণী হইতে গভীর শব্দ উত্থিত হইতেছে। দই একটী স্তিমিত মেঘগম্ভজন শনা যাইতেছে, এবং যুবকের শক্ৰক ওঠে দুই এক বিন্দ বন্টিজলও পতিত হইল। এখন যাইবার সময় নহে, আকাশ পরিকার হওয়া পৰ্য্যন্ত কোথাও অপেক্ষা করা উচিত, কিন্তু যুবকের চিন্তা করিবার সময় ছিল না। তিনি যে কায্যে আসিয়াছিলেন তাহাতে বিলম্ব সহে না: তিনি যে প্রভুর কায্য করিতেছেন তিনি কোন আপত্তি শানেন না ; যবেকেরও আপত্তি করার অভ্যাস নাই। পুনরায় বশৰ্ণ হস্তে লইয়া লম্মফ দিয়া তিনি অশ্বপঠে উঠিলেন। আর এক মহত্তে আকাশের দিকে নিরীক্ষণ করিলেন, পরে পুনরায় বেগে অশ্বচালন করিয়া সেই নিঃশব্দ পাবত-প্রদেশের সপ্ত প্রতিধৰনি জাগরিত করিয়া চলিলেন। অপেক্ষণ মধ্যেই ভয়ামক বাত্যা আরম্ভ হইল। আকাশের এক প্রাস্ত হইতে অন্য প্রান্ত পয্যন্ত বিদাল্লতা চমকিত হইল। মেঘের গজানে সেই অনন্ত পাবত-প্রদেশ যেন শতবার শদিত হইল। অচিরাং কোটী-রাক্ষসবল বিদ্রপ করিয়া ভীষণ গজানে পবন প্রবাহিত হইয়া যেন সেই অনন্ত পর্বতকেও সমালে আলোড়িত করিতে লাগিল। শত পৰ্বতের অসংখ্য পাদপশ্রেণী হইতে কশ্বভেদী শব্দ উত্থিত হইতে লাগিল, জলপ্রপাত ও পব্বত-তরঙ্গিণীর জল উৎক্ষিপ্ত হইয়া চারিদিকে বিকীর্ণ হইতে লাগিল, ঘন ঘন বিদ্যুৎ-আলোকে বহদের পয্যন্ত প্রকৃতির এই ঘোর বিপ্লব দম্পট হইতে লাগিল, ও মধ্যে মধ্যে বজ্রশব্দে জগৎ কম্পিত ও স্তব্ধ হইতে লাগিল । ত্বরায় মনুষলধারায় বটি পড়িয়া পৰ্বত, অরণ্য ও উপত্যকা প্লাবিত করিল, জলপ্রপাত ও তরঙ্গিণী সমুদয়কে সফীতকায় ও উচ্ছলিত করিয়া তুলিল। অশ্বারোহী কিছুতেই প্রতিরন্দ্ব না হইয়া সাবধানে চলিতে লাগিলেন। সময়ে সময়ে বোধ হইল যেন অশ্ব ও অশ্বারোহী বায়বেগে পর্বত হইতে সজোরে নীচে নিক্ষিপ্ত হইবে। রায়াপীড়িত বাক্ষশাখার সজোর আঘাতে অশ্বারোহীর উষ্ণীষ ছিন্ন হইল, তাঁহার ললাট হইতে দই-এক বিন্দ রধির পড়িতে লাগিল। তথাপি যে কায্যে ব্ৰতী হইয়াছেন তাহাতে অপেক্ষা করা দুঃসাধ্য, সতরাং যবেক মহত্তেমাত্রও চিন্তা না করিয়া যতদর সাধ্য সতকভাবে অশ্বচালনা করিতে লাগিলেন। দই-তিন দণ্ড মনুষলধারায় বাটি হওয়াতে ক্রমে আকাশ পরিকার হইতে লাগিল, অচিরাং বটি থামিয়া গেল। অস্তাচলচড়াবলম্বী সষ্যের আলোকে সেই পৰ্বতরাশি ও নবপ্লাত ব্যক্ষ সমহের চমৎকার শোভা দন্ট হইল। যবেক দাগে উপস্থিত হইয়া একবার অশ্ব থামাইলেন ও সিক্ত কেশগুচ্ছ পনরায় সন্দের, প্রশস্ত ললাট হইতে অপসত করিয়া নিম্নদিকে দণ্টিপাত করিলেন। যতদর দেখা যায়, দুই >& ○