পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रटप्रश्न ब्रफ़नाबवणौ কন্যার মুখ রঞ্জিত হইল, তিনি মুখ অবনত করিলেন। আবার চাহিয়া দেখিলেন, যবেক তখনও দন্ডায়মান রহিয়াছেন, গুচ্ছ গুচ্ছ কৃষ্ণকেশ যুবকের উন্নত ললাট ও জ্যোতিঃপণ নয়নঞ্জয় আবত করিয়াছে, কোষে খড়গ, দক্ষিণ হস্তে দীঘ বশী। যবেক অনিমেষলোচনে তখনও তাঁহারই দিকে চাহিয়া রহিয়াছেন। বহুদিন পরে একজন দেশীয় যোদ্ধাকে এই মহারাষ্ট্র দাগে দেখিয়া রাজপতবালা প্রথমে বিস্মিত হইলেন, যুবকের আকৃতি ও উত্তজবল সৌন্দৰ্য্য দেখিয়া তিনি চকিত হইলেন, মুখমণ্ডল নত করিয়া ফলের সাজি লইয়া গৃহমধ্যে প্রবেশ করিলেন। তখন রঘুনাথ যেন চৈতন্য প্রাপ্ত হইলেন। মন্দিরের পরোহিতের সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য ধীরে ধীরে চিন্তিতভাবে মন্দিরমধ্যে প্রবেশ করিলেন, ও পরোহিতের জন্য অপেক্ষা করিতে লাগিলেন। এই অবসরে আমরা পাঠককে পরোহিতের পরিচয় দিব। পবেই বলিয়াছি, পরোহিত অস্বরদেশীয় উচ্চকুলোস্তব রাজপত ব্রাহ্মণ, তাঁহার নাম জনাদন দেব। তিনি অম্ববরের প্রসিদ্ধ রাজা জয়সিংহের একজন সভাসদ ছিলেন, পরে শিবজীর বহন অনুরোধে, জয়সিংহের অনন্মত্যনুসারে শিবজীর সব্বপ্রথম বিজিত তোরণদগে" আগমন করেন। তাঁহার পত্রকন্যা কেহই ছিল না, কিন্তু স্বদেশ ত্যাগের অচিরকাল পাবেই তিনি এক ক্ষত্রিয়কন্যার লালনপালনের ভার লইয়াছিলেন। কন্যার পিতা জনান্দনের আশৈশব পরমবন্ধ ছিলেন । কন্যার মাতাও জনাদনের স্ত্রীকে ভগিনী সম্বোধন করিতেন। কন্যার পিতামাতার কাল হওয়ায় নিঃসন্তান জনান্দন ও তাঁহার গহিণী ঐ শিশু ক্ষত্ৰিয়বালার লালন ब्द,"श्या ० टाकाय आशिया है -एक अखनिय भाधान कबाट গলেন। পরে জনান্দনের স্ত্রীর কাল হইলে কন্যা সরয ভিন্ন ব্যুদ্ধের স্নেহের দ্রব্য আর কেহ রহিল না, সরযবালাও জনাদনকে পিতা বলিয়া ডাকিতেন ও ভালবাসিতেন। কালক্রমে সরষবোলা নিরুপমা লাবণ্যবতী হইয়া উঠিলেন, সতরাং দগের সকলে শাস্ত্রজ্ঞ ব্রাহ্মণ জনাদনকে কবমনি ও তাঁহার পালিতা নিরপেমা লাবণ্যময়ী ক্ষত্ৰিয়বালাকে শকুন্তলা বলিয়া পরিহাস করিতেন। জনান্দনও কন্যার সৌন্দয্য ও স্নেহে পরিতুষ্ট হইয়া রাজস্থান হইতে নিশ্বাসনের দুঃখ বিস্মত হইলেন। দেবালয়ে রঘুনাথ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করিলে পর জনাদন দেবমন্দিরে প্রবেশ করিলেন। তাঁহার বয়স পঞ্চাশত বৎসর হইয়াছে, অবয়ব দীঘ ও এখনও বলিষ্ঠ, চক্ষদ্বীয় শাস্তিরসপণে, বক্ষঃস্থল বিশাল, বাহুদ্বয় দীঘ ও বলিষ্ঠ। জনাদনের বর্ণ গেীর, এবং স্কন্ধ হইতে যজ্ঞোপবীত লম্বিত রহিয়াছে। পাজকের পবিত্র মন ও সরল হৃদয় তাঁহার মুখ দেখিলেই বোধগম্য হইত। জনাদন ধীরে ধীরে মন্দিরে প্রবেশ করিলেন, তাঁহাকে দেখিয়া রঘুনাথ সসম্প্রমে আসন ত্যাগ করিয়া গাত্ৰোত্থান করিলেন। সংক্ষেপে মিটালাপ করিয়া উভয়ে আসন গ্রহণ করিলেন ও জনাদন শিবজীর কুশল সংবাদ জিজ্ঞাসা করিলেন । রঘুনাথ যতদরে পারিলেন যুদ্ধের বিবরণ বলিলেন, ও শিবজীর প্রণাম জানাইয়া পজকের হস্তে কয়েকটী সবেণীমন্দ্রা দিয়া বলিলেন,—প্রভুর প্রার্থনা যে তিনি এক্ষণে মোগলদিগের সহিত রণে নিযুক্ত হইয়াছেন, আপনি তাঁহার জয়ের জন্য ভবানীর নিকটে পজা করিবেন। দেবীপ্রসাদ ভিন্ন মনুষ্যচেটা ব্যথা। জনান্দন তাঁহার নৈসগিক স্থির গম্ভীরস্বরে উত্তর করিলেন-সনাতন হিন্দধামরক্ষার জন্য মাদশ লোকের চিরকালই যত্ন করা বিধেয়, সেই ধমের প্রহরিস্বরুপ শিবজীর বিজয়ের জন্য অবশ্যই পজা দিব। মহাত্মাকে জানাইও, সে বিষয়ে ত্রুটি করিব না। রঘুনাথ। দেবীপদে প্রভুর আর একটী আবেদন আছে। তিনি ঘোরতর যুদ্ধে প্রবক্ত হইবেন, তাহার ফলাফল কথঞ্চিৎ পাবে জানিবার আকাঙ্ক্ষা করেন। ভবাদশ দরদশী দৈবজ্ঞ এ বিষয়ে অবশ্যই তাঁহার মনস্কামনা পণ করিতে পারেন। d জনান্দন ক্ষণেক চক্ষু মুদ্রিত করিয়া রহিলেন, পরে পুনরায় গম্ভীর সবরে বলিলেন– রজনীযোগে দেবীপদে শিবজীর বাসনা জানাইব, কলা প্রাতে উত্তর জানিতে পারবে । রঘুনাথ ধন্যবাদ দিয়া বিদায় লইবার উদ্যোগ করিতেছেন, এমন সময়ে জনাদন বলিলেন, --তোমাকে ইতিপবে এই দলগে দেখি নাই, আদ্য কি এই প্রথম এস্থলৈ আসিয়াছ ? রঘুনাথ । অদ্যই আসিয়াছি। S&&