পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

درخه প্রকটিত হইতেছিল। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পর্বে রপে ত্যাগ করিয়া যখন নতনভাবে গঠিত তুয় তখন রমেশচন্দ্র ইহার সভাপতি-পদ গ্রহণ করেন ১৮৯৪ সনের এপ্রিল মাসে। তিনি দেড় বৎসরকাল পরিষদের সভাপতি থাকিয়া ইহার আদশ এবং কমপদ্ধতি নিণয়ে সবিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। ইহার পর কক্ষেমাপলক্ষে অন্যত্র যাইতে হওয়ায় রমেশচন্দ্র সভাপতির পদ ত্যাগ করিতে বাধ্য হন। পরিষদ তাঁহাকে ১৩o৫ বঙ্গাব্দে বিশিস্ট সদস্য করিয়া লন। ১৩o৯ সালে (১৯o২-০৩) রমেশচন্দ্র এক বৎসরকাল সবদেশে অবস্থান করেন। পরিষদ সেই সময়ে একবৎসরের জন্য তাঁহাকে দ্বিতীয়বার সভাপতির পদে বত করিয়াছিলেন। রমেশচন্দ্র বিস্তর পরিশ্রমে ও বহলে অথব্যয়ে সঞ্চিত সংস্কৃত গ্রন্থরাজি পরিষদকে দান করিয়া পরিষদের প্রতি তাঁহার অকৃত্রিম অনরোগ প্রকাশ করেন। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ রমেশচন্দ্রের আন্তরিক সহযোগিতার কথা কখনও ভুলেন নাই। কলিকাতার আপার সাকুলার রোডস্থিত নবনিমিত ভবনে পরিষদ চলিয়া আসিলে রমেশচন্দ্রকে ১৯o৯ সনের ১৫ই এপ্রিল বিশেষভাবে সম্প্রবদ্ধিত করা হইয়াছিল। তবে ইহা খানিকটা পরবত্তীর্ণ কালের কথা। পালিশ কমিশন : ভারতবর্ষে অবস্থিতির সযোগ লইয়া সরকার রমেশচন্দ্রকে পুলিশ কমিশনে সাক্ষ্য দিতে আহবান করেন। তিনি ইহাতে যে লিখিত সাক্ষ্য পেশ করেন তাহা ছিল খুবই গুরুত্বপণ । তিনি এই সাক্ষ্যে পুলিশ বিভাগের যে দোষত্রটি সংশোধনের নিন্দেশ দেন তাহা ভবিষ্যৎ শাসনের দিগদর্শন হইয়া আছে। রমেশচন্দ্র সাক্ষ্যে বলেন: "I have seen it stated that the police in India are of the people, and that the police is dishonest because the people are so. Those who make such sweeping charges do not know, or do not consider, that by the inadequate scale of pay we have fixed for the police service, we draw to that service, by a natural selection, a class of men not fit for their high responsibilities, and that we train them in dishonesty by giving them ample powers, and an undue degree of protection when they are detected in wrong doing.” (The Bengalee, 25 Dec, 1902) দক্ষিণ-ভারত পরিক্রমা : রমেশচন্দ্র ভারতবষের ভিক্টোরিয়া যাগের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্বন্ধে পাব হইতেই অধ্যয়ন ও অনুসন্ধানে বিশেষভাবে মনোনিবেশ করিয়াছিলেন। ১৯০৩ সনের প্রথমে তিনি দক্ষিণ-ভারতের জনসাধারণের আর্থিক অবস্থা পৰ্য্যবেক্ষণকল্পে সেখানে দি পলি ন হার পর এই করে এপ্রিল মাল তিনি না聯 যান । বরোদায় : দীঘ-প্রবাস জীবনের পর রমেশচন্দ্র বরোদা গাইকোয়াড়ের আহবানে তাঁহার রাজস্ব সচিবের পদ গ্রহণ করিয়া ১৯০৪ সনের মাঝামাঝি ভারতে ফিরিয়া আসিলেন। এই বৎসরের আগস্ট মাস হইতে ১৯o৭ সনের জুলাই পৰ্য্যন্ত একাদিক্ৰমে তিন বৎসরকাল তিনি এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এই দায়িত্বপণ পদ গ্রহণ করিয়া তিনি বরোদার সামগ্রিক, এবং বিশেষ করিয়া অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে মনোনিবেশ করিলেন। তাঁহার পরিকল্পিত এবং কতকাংশে আরব্ধ কমপদ্ধতির একটি সসপস্ট আভাস পাই সিস্টার নিবেদিতাকে লিখিত একখানি পত্র হইতে । রমেশচন্দ্রকে নিবেদিতা “God-father" এবং রমেশচন্দ্র নিবেদিতাকে "Goddaughter" বলিয়া সম্বোধন করিতেন। উভয়ের গণপনায় উভয়ই সবিশেষ মন্ধে ছিলেন। রমেশচন্দ্রের মৃত্যুর পর নিবেদিতা তাঁহার সম্বন্ধে যে নিবন্ধ লেখেন তাহাতে তাঁহার অকৃত্রিম শ্রদ্ধা-প্রীতিই সপরিসফট হইয়াছে। এবিষয়ে একট পরে জানা যাইবে। নিবেদিতাকে লিখিত রমেশচন্দ্রের পত্রখানি এই : MY DEAR NIVEDITA, I am trying to strike out new lines of progress, to develop new policies and reforms, and am determined to move forward and to carry the State forward. I am trying to gather the scattered forces which were present here, to encourage enterprise and talent in younger men, to welcome new ideas and new schemes, to initiate progress in all lines, and to make Baroda a richer and a happier State. I go among the people, print and publish my schemes,