পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रट्धश्च ब्रछनावलौ অসম্পমতি পরে প্রকাশ করিবেন। o 'oï সায়েস্তাখাঁ। ভাল, প্রথম কথা আমি বলিয়াছি, দিল্লীশ্বরের অধীনতা স্বীকার। দ্বিতীয়, দিল্লীশ্বরের সেনা যে যে দলগ হস্তগত করিয়াছে তাহা দিল্লীশ্বরেরই থাকিবে। তৃতীয়, সিংহগড় প্রভৃতি আরও কয়েকটি দাগ তোমরা ছাড়িয়া দিবে। H মহাদেওজী। সে কোন কোনটি ? সায়েস্তাখাঁ। তাহা দই এক দিনের মধ্যে পত্র দ্বারা জানাইব । চতুর্থ অবশিস্ট যে যে দগ" ও দেশ শিবজী আপন অধীনে রাখিবেন তাহাও দিল্লীশ্বরের অধীনে জায়গীরস্বরপে ভোগ করিবেন, তাহার জন্য কর দিতে হইবে। এইগুলি তোমার প্রভুকে জানাইও, ইহাতে তিনি সম্মত কি অসম্মত তাহা যেন আমি দুই চারি দিনের মধ্যে জানিতে পারি। মহাদেওজী। যেরপে আদেশ করিলেন সেইরাপ করিব। এক্ষণে যখন সন্ধির প্রস্তাব হইতেছে, তখন যতদিন সন্ধিস্থাপন না হয় ততদিন যুদ্ধ ক্ষাস্ত থাকিতে পারে ? সায়েস্তাখাঁ। কদাচ নহে। ধত্তে কপটাচারী মহারাষ্ট্ৰীয়দিগকে আমি কদাচ বিশ্বাস করি না, এমত ধত্তেতা নাই যে তাহাদিগের অসাধ্য। যতদিন সন্ধি একেবারে স্থাপন না হয় ততদিন বন্ধ চলিবে, আমরা তোমাদিগের অনিষ্ট করিব, তোমরা পার, আমাদিগের অনিস্ট করিও। “এবমস্তু" বলিয়া ব্রাহ্মণ বিদায় গ্রহণ করিলেন, তাহার চক্ষ হইতে অগ্নিকণা বহির্গত হইতেছিল। তিনি ধীরে ধীরে প্রাসাদ হইতে অবতীর্ণ হইলেন। প্রত্যেক দ্বার, প্রত্যেক ঘর তন্ন তন্ন করিয়া দেখিয়া ধীরে ধীরে বাহির হইলেন। একজন মোগল প্রহরী কিঞ্চিৎ বিসিমত হইয়৷ জিজ্ঞাসা করিল,—দত মহাশয়, কি দেখিতেছেন ? দত উত্তর করিলেন,—এই গহে প্রভু শিবজী বাল্যকালে ক্রীড়া করিতেন তাহাই দেখিতেছি। এটীও তোমাদিগের হস্তগত হইয়াছে, বোধ হয় একে একে সমস্ত দাগগুলিই তোমরা লইবে। হা ভগবান ! প্রহরী হাস্য করিয়া বলিল,—সেজন্য আর ব্যথা খেদ করিলে কি হইবে, আপন কায্যে যাও। ব্রাহ্মণ শীঘ্রই বহল জনাকীর্ণ পনানগরীর লোকের মধ্যে মিশিয়া গেলেন। ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ ; শুভকায্যের পরোহিত অদরে শিবিরে বসি নিশি দ্বিপ্রহরে, কুমন্ত্রণা করিতেছে রাজদ্রোহিগণে । —নবীনচন্দ্র সেন । ব্রাহ্মণ একে একে পনার বহল পথ অতিবাহন করিলেন, যে যে স্থান দিয়া যাইতে লাগিলেন সেই সেই স্থান বিশেষ করিয়া দেখিতে লাগিলেন। দুই একটী দোকানে দ্রব্য ক্রয়ের ছলে প্রবেশ করিয়া কথায় কথায় নানা বিষয় জানিলেন, পরে বাজার পার হইয়া গেলেন। প্রশস্ত রাজপথ হইতে একটী গলিতে প্রবেশ করিলেন, সেখানে রজনীতে দীপ সমস্ত নিৰ্বাণ হইয়াছে, নাগরিক সকলে দ্বার রুদ্ধ করিয়া নিজ নিজ আলয়ে সপ্ত। ব্রাহ্মণ একাকী অনেক দরে যাইলেন। আকাশ অন্ধকারময়, কেবল দলই একটী তারা দেখা যাইতেছে, নাগরিক সকলে সপ্ত, জগৎ নিস্তব্ধ। ব্রাহ্মণের মনে সন্দেহ হইল, তাহার বোধ হইল যেন পশ্চাতে তিনি পদশব্দ শুনিতে পাইলেন। স্থির হইয়া দণ্ডায়মান রহিলেন, কিন্তু সে পদশব্দ আর শুনিতে পাইলেন না। পুনরায় পথ অতিবাহন করিতে লাগিলেন, ক্ষণেক পরে পনরায় বোধ হইল যেন পশ্চাতে কে অনুসরণ করিতেছে। ব্রাহ্মণের হৃদয় ঈষৎ চঞ্চল হইল। এই গভীর নিশীথে কে তাহার অনসরণ করিতেছে ? শত্র না মিত্র ? শত্র হইলে কি তাহাকে চিনিতে পারিয়াছে ? আবেগ- , পরিপণ হৃদয়ে ক্ষণেক চিন্তা করিলেন, পরে নিঃশব্দে তলা-নিমিত কুক্তির আস্তিনের ভিতর হইতে একখানি তীক্ষ ছুরিকা বাহির করিলেন, একটী পথের পাশ্বদেশে দণ্ডায়মান হইলেন। ১৬২