পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नक्षभ नब्रिटऋग : ब्राछा बटणाबखानरए কোন ধৰ্ম্মমতে, কহ দাসে, শনি, জলাঞ্জলি ? শাস্ত্রে বলে গণবান যদি পরজন, গণহীন স্বজন, তথাপি নিগণে স্বজন শ্রেয়ঃ পর পর সদা। —মধ্যসদন দত্ত । রজনী দ্বিপ্রহরের সময় রাজপত রাজা যশোবন্তসিংহ একাকী শিবিরে বসিয়া রহিয়াছেন। হস্তে গণ্ডস্থল স্থাপন করিয়া এই গভীর নিশীথেও তিনি কি চিন্তা করিতেছেন। সম্মখে কেবল একটী মাত্র দীপ জলিতেছে, শিবিরে অন্য লোকমাত্র নাই। সংবাদ আসিল মহারাষ্ট্ৰীয় দত সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছেন। যশোবন্ত তাঁহাকে আনয়ন করিতে কহিলেন, তাঁহারই জন্য তিনি প্রতীক্ষা করিতেছিলেন । মহাদেওজী ন্যায়শাস্ত্রী শিবিরে আসিলেন, যশোবন্ত তাঁহাকে সাদরে আহবান করিয়া উপবেশন করিতে বলিলেন। উভয়ে উপবেশন করিলেন। ক্ষণেক যশোবন্ত নিস্তন্ধ হইয়া রহিলেন, কি চিন্তা করিতেছিলেন। মহাদেও নিঃশব্দে রাজপতের দিকে সতীক্ষা দণ্টি করিতেছিলেন। পরে যশোবন্ত বলিলেন,—আমি আপনার প্রভুর পর পাইয়াছি। তাহাতে যাহা লিখিত আছে অবগত হইয়াছি, তাহা ভিন্ন অন্য কোন প্রস্তাব আছে ? মহাদেও। প্রভু আমাকে কোন প্রস্তাব করিতে পাঠান নাই, খেদ করিতে পাঠাইয়াছেন। যশোবন্ত । কেবল পনা ও চাকন দাগ আমাদিগের হস্তগত হইয়াছে মাত্র, এইজন্য খেদ ? মহাদেও। দগনাশে তিনি ক্ষুব্ধ নহেন, তাঁহার অসংখ্য দাগ আছে। যশোবন্ত। মোগল-যুদ্ধস্বরপ বিপদে পড়িয়া তিনি খেদ করিতেছেন ? মহাদেও ! বিপদে পড়িলে খেদ করা তাঁহার অভ্যাস নাই। যশোবন্ত । তবে কি জন্য খেদ করিতেছেন ? মহাদেও ! যিনি হিন্দরোজ-তিলক, যিনি ক্ষত্রিয়কুলাবতংস, যিনি সনাতন ধমের রক্ষাকত্তা, তাঁহাকে অদ্য লেচ্ছের দাস দেখিয়া প্রভু ক্ষন্ধে হইয়াছেন। যশোবস্তের মুখমণ্ডল ঈষৎ আরক্ত হইল। মহাদেও তাহা দেখিয়াও দেখিলেন না, গম্ভীরস্বরে বলিতে লাগিলেন,—উদয়পুরের রাণার বংশে যিনি বিবাহ করিয়াছেন, মাড়ওয়ারের রাজচ্ছত্র যাঁহার মস্তকের উপর ধত হইয়াছে, রাজস্থান যাঁহার সংখ্যাতিতে পরিপণে রহিয়াছে, সিপ্রাতীরে যাঁহার বাহ-বিক্রম দেখিয়া আরংজীব ভীত ও বিস্মিত হইয়াছিলেন, সমগ্র ভারতবর্ষ যাঁহার জয়ের জন্য হিন্দমাত্রেই, ব্রাহ্মণমাত্রেই জগদীশ্বরের নিকট প্রাথনা করে, অদ্য তাঁহাকে মসলমানের পক্ষ হইয়া হিন্দরে বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে দেখিয়া প্রভু ক্ষন্ধে হইয়াছেন। রাজন ! আমি সামান্য দতমার, আমি কি বলিতেছি জানি না, অপরাধ হইলে মাজ’না করিবেন, কিন্তু এ যুদ্ধসজা কেন ? এ সৈন্যসামন্ত কেন ? এ সমস্ত বিজয়পতাকা কি জন্য উত্তীন হইতেছে ? স্বাধিকার বদ্ধি করিবার জন্য ? হিন্দস্বাধীনতা স্থাপন করিবার জন্য? ক্ষত্রিয়োচিত যশোলাভের জন্য ? আপনি ক্ষত্ৰকুলষভ! আপনি বিবেচনা করন, আমি জানি না। যশোবন্ত অধোবদনে রহিলেন। মহাদেও আরও বলিতে লাগিলেন,—আপনি রাজপত, মহারাষ্ট্ৰীয়েরা রাজপতে-পত্র, পিতাপত্রে যন্ধে সম্ভবে না, স্বয়ং ভবানী এ যন্ধে নিষেধ করিয়াছেন। আপনি আজ্ঞা করন আমরা পালন করিব। রাজপতের গৌরবই অনাথ ভারতবর্ষের একমাত্র গৌরব, রাজপতের যশোগীত আমাদিগের রমণীগণ এখনও গাইয়া থাকে, রাজুপতদিগের উদাহরণ দেখিয়া আমাদিগের বালকগণ শিক্ষিত হয়। ক্ষত্ৰকুলতিলক রাজুপতশোণিতে আমাদিগের খবর্ণরঞ্জিত হইবার পাবে যেন মহারাষ্ট্র নাম বিলুপ্ত হয়, রাজ্য বিলুপ্ত হয়, আমরা যেন বশ ও খকা ত্যাগ করিরা পনরায় লাঙ্গল ধারণ করিতে শিখি। _ ১৬৫