পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবজী । অদাই । o , মরেশ্বর। সায়েস্তাখাঁ কিছ জানেন না ? তীক্ষাবৃদ্ধি চাঁদখাঁ কিছ জানেন না ? শিবজী। সায়েন্তাখাঁ ভীত শিবজীর নিকট হইতে সন্ধিপ্রাথ না প্রতীক্ষা করিতেছেন; যোদ্ধা চাঁদখাঁ চিরনিদায় নিদ্রিত, তিনি আর যাদ্ধ করিবেন না। মরেশ্বর। রাজা যশোবস্ত ? শিবজী। আপনি পত্রে যে সমস্ত যুক্তি দেখাইয়াছিলেন, তাহাতেই তাঁহার মন বিচলিত হইয়াছিল। আমি যাইয়াই দেখিলাম, তিনি কিংকৰ্ত্তব্যবিমঢ় হইয়া রহিয়াছেন, সতরাং অনায়াসেই আমার কায্য সিদ্ধ হইল। মরেশ্বর । ভবানীর জয় হউক! আপনি এক রাল্লিতে একাকী যে কাৰ্য্যসাধন করিলেন, তাহা সহস্ত্রের অসাধ্য। যে অসমসাহসী কায্যে প্রবত্ত হইয়াছিলেন, ভাবিলে এখনও হৃৎকম্প হয়। প্রভো, এরপে কাষে আর প্রবত্ত হইবেন না, আপনার অমঙ্গল হইলে মহারাষ্ট্রের কি থাকিবে ? শিবজী। মরেশ্বর! বিপদ ভয় করিলে অদ্যাবধি জায়গীরদার মাত্র থাকিতাম, বিপদে ভয় করিলে এ মহৎ উদ্দেশ্য কিরাপে সাধন হইবে ? চিরজীবন বিপদে আচ্ছন্ন থাকি ক্ষতি নাই, কিন্তু ভবানী করন যেন মহারাষ্ট্র দেশ স্বাধীন হয়। মরেশ্বর। বীরশ্রেষ্ঠ ! আপনার জয় অনিবাৰ্য্য, স্বয়ং ভবানী সহায়তা করবেন। কিন্তু শ্বিপ্রহর রজনীতে, শত্রশিবিরে, একাকী ছদ্মবেশে ? শিবজী। এ ত শিবজীর অভ্যস্ত কাৰ্য্য! কিন্তু অদ্য সত্যই অন্য একটী মহাবিপদে পতিত হইয়াছিলাম। মরেশ্বর। কি ? : শিবজাঁ। এমন মর্থকেও আপনি সংস্কৃত শ্লোক শিখাইয়াছিলেন ? যে আপনার নাম স্বাক্ষর করিতে পারে না, সে শ্লোক সমরণ রাখিবে ? মরেশ্বর। কেন, কি হইয়াছিল ? শিবজী। আর কিছু নহে, সায়েস্তাখাঁর সভায় যাইয়া ন্যায়শাস্ত্রী মহাশয় প্রায় সমস্ত শ্লোকগুলি ভুলিয়া গিয়াছিলেন। মরেশ্বর। তাহার পর ? শিবজী। দুই একটী মনে ছিল। তন্দ্বারাই কাষ্যসিদ্ধি হইল। শিবজীর সহিত আমাদিগের এই প্রথম পরিচয় : এই স্থলে তাঁহার পর্বে বক্তাস্ত আমরা কিছল বলিতে চাই। ইতিহাসজ্ঞ পাঠক ইচ্ছা করিলে এই পরিচ্ছেদের অবশিস্ট অংশ পরিত্যাগ করিয়া যাইতে পারেন। শিবজী ১৬২৭ খঃ অব্দে জন্মগ্রহণ করেন, সতরাং আখ্যায়িকা বিবত সময়ে তাঁহার বয়স ৩৬ বৎসর হইয়াছিল। তাঁহার পিতার নাম শাহজী; পিতামহের নাম মল্লজী। আমরা প্রথম অধ্যায়ে ফলতন দেশের দেশমুখ প্রসিদ্ধ নিম্বলকর বংশের কথা বলিয়াছি, সেই বংশের যোগপাল রাওনায়কের ভগিনী দীপাবাইকে মল্লজী বিবাহ করিয়াছিলেন। অনেক দিন অবধি সন্তানাদি না হওয়ায় আহমদনগরনিবাসী শাহশরীফ নামক একজন মুসলমান পীরের নিকট মল্লজী অনেক অনুরোধ করেন, এবং পীরও মল্লজীর সস্তানাথে প্রাথনোদি করেন। তাহারই কিছু পরে দীপাবাইয়ের গভে একটী সন্তান হওয়াতে মল্লজী সেই পীরের নামানসারে পত্রের নাম শাহজী রাখিলেন। সে সময়ে যাদবরাও নামক আহম্মদনগরে প্রসিদ্ধনামা একজন সেনাপতি ছিলেন ; তিনি দশ সহস্ৰ অশ্বারোহীর নেতা, এবং প্রশস্ত জায়গীর ভোগ করতেন। ১৫৯৯ খঃ অব্দে হলেীর দিনে মল্লজী আপন সস্তান শাহজীকে লইয়া যাদবরাওয়ের বাড়ী গিয়াছিলেন। শাহজীর বয়স তখন পাঁচ বৎসর মাত্র, যাদবরাওয়ের কন্যা জাঁজীর বয়স তিন কি চারি বৎসর, সতরাং বালকবালিকা বড় আনন্দে একত্রে ক্রীড়া করিতে লাগিল। তদশনে যাদবরাও সতুষ্ট হইয়া আপন কন্যাকে ডাকিয়া বলিলেন,-“কেমন, তুই এই বালকটীকে বিবাহ করিবি?” পরে অন্যান্য লোকদিগকে লক্ষ্য করিয়া" বলিলেন,—“দইজনে কি সন্দের যোড় মিলিয়াছে!” এই সময়েই শাহজী ও জীজী পরস্পরের দিকে ফাগ নিক্ষেপ করায় সকলেই হাস্য করিয়া উঠিল; কিন্তু ఫి$ఫి