পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২১২

अशाब्राच्घै छौबन-ट्छाङ জাঁজীবাইয়ের গভে শম্ভুঞ্জী ও শিবজী নামে দুই পত্র হয়। পাবেই লিখিত হইয়াছে যে, জাঁজীর পিতা যাদবরাও পরাতন দেবগড়ের হিন্দরোজার বংশ হইতে অবতীর্ণ, এরপ জনশ্রুতি আছে। একথা যদি যথার্থ হয়, তবে শিবজী সেই পরোতম রাজবংশোদ্ভূত সন্দেহ নাই। ১৬৩০ খঃ অব্দে শাহজী টকাবাই নাম্নী আর একটী কন্যার পাণিগ্রহণ করেন। uBB BBu BBB BBBB BBBB DB BBB BB BBuB পনার জায়গীরে আসিয়া অবস্থিতি করিতেন। শাহজী টকাবাইকে লইয়া কণাটেই থাকিতেন ও তাহার গভে বেনকাজী নামে একটী পত্র হইল। শাহজীর দুইজন অতি বিশ্বস্ত ব্রাহ্মণ মন্ত্রী ও কর্মচারী ছিলেন। তন্মধ্যে দাদাজী কানাইদেব পনার জায়গীর এবং জাঁজী ও শিশু শিৰজীর রক্ষণাবেক্ষণ করিতেন। ১৬২৭ খঃ অব্দে সবণীদগে শিবজীর জন্ম হয়। এই দগে পনো হইতে অনুমান ২৫ ক্রোশ উত্তরে অবস্থিত। শিবজাঁর তিন বৎসর বয়সের সময় শাহজী টকাবাইকে বিবাহ করিলেন, সতরাং জাঁজীর সহিত তাঁহার বিচ্ছেদ জন্মিল। জাঁজী সপত্র পনায় আসিয়া দাদাজী কানাইদেবের রক্ষণাবেক্ষণে বাস করিতে লাগিলেন। শিবজীর বাসাথে দাদাজী §§ একটী বহৎ গহ নিশ্চমৰ্পণ করাইলেন, আমরা ইতিপবে সেই গহে সায়েস্তাখাকে | شـ মাতাপত্রে সেই স্থানে বাস করিতে লাগিলেন, ও বাল্যকালাবধি শিবজী দাদাজীর নিকট শিক্ষা প্রাপ্ত হইতে লাগিলেন। শিবজী কখনও নাম লিখিতেও শিখেন নাই, কিন্তু অলপ বয়সেই ধন্যবাণ ব্যবহার, বশ নিক্ষেপ, নানারাপ মহারাষ্ট্ৰীয় খড়া ও ছরিকা চালন, এবং অশ্বারোহণে বিশেষ প্রতিপত্তি লাভ করিলেন। মহারাষ্ট্ৰীয় মাত্রেই অশ্বচালনায় তৎপর, কিন্তু তাহাদিগের মধ্যেও শিবজী বিশেষ সংখ্যাতি লাভ করিলেন। এইরুপ ব্যায়াম ও যুদ্ধশিক্ষায় বালকের দেহ শীঘ্রই সদঢ় ও বলিষ্ঠ হইয়া উঠিল। কিন্তু কেবল অস্ত্রবিদ্যায় শিবজী কাল অতিবাহিত করিতেন না, যখন অবসর পাইতেন, দাদাজীর চরণোপাস্তে বসিয়া মহাভারত ও রামায়ণের অনন্ত বীরত্বের গল্প শ্রবণ করিতে বড়ই ভালবাসিতেন। শনিতে শুনিতে বালকের হৃদয়ে সাহসের উদ্রেক হইত, হিন্দধমে আস্থা ধৰ্ম্মবিদ্বেষী মুসলমানদিগের প্রতি বিদ্বেষ জমিত। এইরুপ কথা শুনিতে শিবজীর এরপে আগ্রহ ছিল যে, অনেক বৎসর পর যখন দেশে খ্যাতি ও রাজ্য লাভ করিলেন, তখন পৰ্য্যন্ত কুসুম ইল দল, বহর বিপদ ও বহন কস্ট সহ্য করিয়াও তথায় উপস্থিত হইবার 蟲 | এইরুপে দাদাজীর যত্নে শিবজী অলপকালমধ্যে সবধমানরক্ত ও অতিশয় মসলমানবিদ্বেষী হইয়া উঠিলেন। তিনি ষোড়শ বষ বয়ঃক্রমে স্বাধীন পলীগার হইবার জন্য নানারপে সংকলপ করিতে লাগিলেন। আপনার ন্যায় উৎসাহী যুবকদিগকে চারিদিকে জড় করিতে লাগিলেন। তিনি পৰ্বতপরিপণ কঙ্কণদেশে তাহাদিগের সহিত সব্বদাই যাতায়াত করিতেন। সেই পব্বত কিরাপে উল্লঙ্ঘন করা যায়, কোথায় পথ আছে, কোন পথে কোন দাগে যাওয়া যায়, কোন কোন দাগ অতিশয় দগম, কিরাপে দাগ আক্রমণ বা রক্ষা করা যায়, এ সকল চিন্তায় বালকের দিন অতিবাহিত হইত। কখন কখন কয়েকদিন ক্রমাগত এই পন্বত ও উপত্যকার মধ্যে যাপন করিতেন, কোনও দাগ, কোনও পথ, কোনও উপত্যকা শিবজাঁর অজ্ঞাত ছিল না। শেষে কিরাপে দলই একটা দাগ হস্তগত করবেন এই চিন্তা করিতে লাগিলেন। o বালকের এইরুপ কথা শুনিয়া ও আচরণ দেখিয়া বদ্ধ দাদাজী ভীত হইতে লাগিলেন । তিনি অনেক প্রবোধবাক্য দ্বারা বালককে সে পথ হইতে আনয়ন করিয়া যাহাতে জায়গীর সচাররপে রক্ষিত হয়, তাহাই শিখাইবার চেষ্টা করিলেন। শিবজীর হৃদয়ে ষে বীরত্বের অঙ্কুর স্থাপিত হইয়াছিল, তাহা আর উৎপাটিত হইল না। দাদাজীকে পিতৃতুল্য সম্মান করিতেন, কিন্তু ষে পথে প্রবত্তিত হইয়াছিলেন, তাহা পরিত্যাগ করিলেন না। মাউলী জাতীয়দিগের কষ্টসহিষ্ণতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য শিবজী তাহাদিগকে বড় ভালবাসিতেন। তাঁহার বেৰিনসহেদগণের মধ্যে যশজী-কওক, তন্নজী মালী ও বাজী-ফাসলকর নামক তিন জন মাউলীই প্রিয়তম ও অগ্রগণ্য ছিলেন। পরিশেষে ইহাদের সহায়তায় ১৬৪৬ $oልb