পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रटघम ब्रक्रमाबलाँ খং অব্দে তোরণদগের কিল্লাদারকে কোনরপে বশবত্তী করিয়া শিবজী সেই দাগ হস্তগত করলেন। এই আখ্যায়িকার প্রারম্ভেই তোরণদগের বণনা করা হইয়াছে, এই প্রথম বিজয়ের সময় শিবজীর বয়ঃক্রম উনবিংশ বর্ষ মাত্র। ইহারই পরবৎসর তোরণদগের দেড় ক্রোশ দক্ষিণপবে একটী তুঙ্গগিরিশাঙ্গের উপর শিবজী একটী নতন দাগ নিম্মাণ করাইয়া তাহার নাম রাজগড় রাখিলেন। m বিজয়পরের সুলতান এই সমস্ত বিষয়ের সমাচার প্রাপ্ত হইয়া শিবজাঁর পিতা শাহজাঁকে তিরস্কার করিয়া পাঠাইলেন ও এই সমস্ত উপদ্রবের কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন । বিশ্বস্ত কর্মচারী শাহজী এ সমস্ত বিষয়ের বিন্দবিসগও জানিতেন না, তিনি দাদাজীকে ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। দাদাজী কানাইদেব শিবজীকে পুনরায় ডাকাইলেন। এইরুপ আচরণে সব্বনাশ হইবার সম্ভাবনা, তাহা অনেক বুঝাইলেন। তাঁহার পিতা বিজয়পরের অধীনে কাষ" করিয়া কিরুপ বিপলে অর্থ, জায়গীর, ক্ষমতা ও সম্মান লাভ করিয়াছেন, তাহাও বাঝাইলেন। শিবজী পিতৃসদশ দাদাজীকে আর কি বলিবেন, মিস্টবাক্য দ্বারা উত্তর দান করিলেন, কিন্তু আপন কাষ্যে নিরস্ত হইলেন না। ইহার কিছুদিন পরেই দাদাজীর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর প্রাক্কালেই দাদাজী শিবজীকে আর একবার ডাকাইয়া নিকটে আনেন। বদ্ধ পুনরায় ভৎসনা করিবেন এই বিবেচনা করিয়া শিবজী তথায় যাইলেন, কিন্তু যাহা শুনিলেন তাহাতে । বিস্মিত হইলেম । মৃত্যুশয্যায় যেন দাদাজীর দিব্যচক্ষ উল্মীলিত হইল, তিনি শিবজীকে সস্নেহে বলিলেন—“বৎস, তুমি ষে চেষ্টা করিতেছ, তাহা হইতে মহত্তর চেষ্টা আর নাই। এই উন্নত পথ অনুসরণ কর, দেশের স্বাধীনতা রক্ষা কর, ব্রাহ্মণ, গোবৎসাদি এবং কৃষকগণকে রক্ষা কর, দেবালয় কলুষিতকারীদিগকে শাস্তি প্রদান কর, ঈশানী যে উন্নত পথ তোমাকে দেখাইয়া দিয়াছেন, সেই পথ অনুসরণ কর।” এই বলিয়া বদ্ধ চিরনিদ্রায় নিদ্রিত হইলেন। শিবজীর হৃদয় এই দিব্য উপদেশ পাইয়া উৎসাহ ও সাহসে দশগণ সফীত হইয়া উঠিল। তখন শিবজাঁর বয়ঃক্রম বিংশ বর্ষ মাত্র। সেই বৎসরেই চাকন ও কান্দানা দাগের কিল্লাদারগণকে অথে বশীভূত করিয়া শিবজী উভয় দগে হস্তগত করেন ও কান্দানার নাম পরিবত্তিত করিয়া সিংহগড় নাম রাখেন। আখ্যায়িকার চাকন ও সিংহগড়ের কথা পাবেই লিখিত হইয়াছে। শিবজীর বিমাতা টকাবাইয়ের ভ্রাতা বাজী, সোপা দগের ভার প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। একদিন স্বিপ্রহর রজনীতে আপন মাউলী সৈন্য লইয়া শিবজী এই দাগ সহসা আক্রমণ করিয়া হস্তগত করেন। মাতুলের প্রতি কোনও অত্যাচার না করিয়া তাঁহাকে কণাটে পিতার নিকট পাঠাইয়া দেন। তৎপরেই পরন্দর দগের অধীশ্বরের মৃত্যু হওয়ায় তাহার পত্রদিগের মধ্যে ভ্রাতৃকলহ হয়, শিবজী কনিষ্ঠ দুই ভ্রাতার সহায়তা করিবার ছলে আপনি সেই দাগ হস্তগত করেন। এই আচরণে তিন ভ্রাতাই শিবজীর উপর বিরক্ত হইলেন, কিন্তু শিবজী যখন দেশের স্বাধীনতারক্ষারপে আপন মহৎ উদ্দেশ্য তাঁহাদিগকে ব্যক্ত করিলেন, যখন সেই উদ্দেশ্যসাধন-জন্য ভ্রাতৃগণ হইতে সহায়তা যাদ্ধা করিলেন, তখন তাঁহাদিগের ক্রোধ রহিল না। শিবজীর মহৎ উদ্দেশ্য সম্যক বঝিতে পারিয়া তিন ভ্রাতাই শিবজীর অধীনে কাৰ্য্য করিতে স্বীকৃত হইলেন। এইরপে শিবজী একে একে অনেক দলগ হস্তগত করেন, তাহাদিগের নাম লিখিয়া এই আখ্যায়িকা পণ করিবার আবশ্যক নাই। ১৬৪৮ খঃ অব্দে শিবজীর কৰ্ম্মচারী আবাজী স্বর্ণদেব কল্যাণদাগ ও সমস্ত কল্যাণী প্রদেশ জয় করিলেন। তখন বিজয়পরের সালতান কুদ্ধ হইয়া শিবজীর পিতা শাহজাঁকে কারারুদ্ধ করিলেন ও আদেশ করিলেন যে, নিয়মিত সময়ের মধ্যে শিবজী অধীনতা স্বীকার না করিলে সেই কারাগাহের স্বার প্রস্তর দ্বারা একেবারে রদ্ধে হইবে। শিবজী দিল্লীশ্বরের নিকট আবেদন করিয়া পিতার প্রাণ বাঁচাইলেন, কিন্তু চারিবৎসর কাল শাহজী বিজয়পরে বন্দীশ্বরপে রহিলেন। জৌলীর রাজা চন্দ্ররাওকে শিবজী বপক্ষে আনিবার জন্য ও মসলমানের অধীনতা-শঙ্খল চণে করিবার জন্য অনেক পরামর্শ দেন। চন্দ্ররাও যখন তাহা একেবারে অস্বীকার করিলেন, তখন শিবজী নিজ লোক স্বারা সেই রাজা ও তাঁহার ভ্রাতাকে হত্যা করাইয়া, সহসা রাত্ৰিযোগে আক্রমণ করতঃ সেই দগে হস্তগত করেন। তিনি সমস্ত জোঁলীপ্রদেশ অধিকার করিলেন এবং ঐ বৎসরেই প্রতাপগড় নামক একটী মতন দগে" নিশ্চমাণ করাইলেন। ইহার দুই বৎসর পর শিবঞ্জী