পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रटअश्व ब्रझनाबलौ । নবম পরিচ্ছেদ : শঙ্কাৰ সম্পাদন । যুগে যাগে কম্পে কলেপ নিত্য নিরস্তর, জলকে গগনব্যাপী অনন্ত বহিতে । জম্বলকে সে দেবতেজে বগ সংবেটিয়া, অহোরাত্রি অবিশ্রাস্ত প্রদীপ্ত শিখায়, দহকে দানবকুল দেবের বিক্রমে । পত্র-পরম্পরা দন্ধ চির শোকানলে। —হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় সন্য অস্তাচল-চড়া অবলম্ববন করিয়াছেন, সিংহগড় দগের ভিতর সৈন্যগণ নিঃশব্দে সজিত হইতেছে, এরপ নিঃশব্দে ষে দগের বাহিরের লোকও দাগের ভিতর কি হইতেছে, তাহা জানিতে পারে নাই। . দগের একটী উন্নত স্থানে কয়েকজন মহাযোদ্ধা দণ্ডায়মান রহিয়াছেন, সেই দগে"চড়া হইতে দশ্য অতি মনোহর। পবেদিকে সন্দের নীরানদী প্রবাহিত হইয়াছে, সেই নদীর । উপত্যকা বসন্তকালের নব পাপপত্র ও দক্ৰেবাদলে সশোভিত হইয়া মনোহর রপে ধারণ করিয়াছে। উত্তরদিকে বহুবিস্তত ক্ষেত্র, বহৃদরে পয্যন্ত সন্দের হরিস্বণ ক্ষেত্র সৰ্য্যোকরণে উত্তজবল দেখা যাইতেছে। বহৃদরে বিস্তীর্ণ পনানগরী সন্দের শোভা পাইতেছে, যোদ্ধাগণ প্রায় সেই দিকে চাহিয়া রহিয়াছেন, আদ্য রজনীতে সেই নগরীতে কি বিষম ঘটনা সংঘটিত হইবে তাহাই চিন্তা করিতেছিলেন। দক্ষিণ ও পশ্চিমদিকে পব্বতের পর পন্বত, যতদরে দেখা যায়, অনন্ত পৰ্বত অস্তাচলচড়াবলম্বী সৰ্য্যেকিরণে অপব্ব শোভা পাইতেছে। কিন্তু বোধ করি যোদ্ধগণ এই চমৎকার পর্বতদশ্যের বিষয় ভাবিতেছিলেন না, অন্য চিন্তায় অভিভূত ছেন । যে যুদ্ধে বা যে অসমসাহসিক কায্যে একেবারে বহনকালের বাঞ্ছিত ফললাভ হইতে পারে, বা এককালে সব্বনাশ হইতে পারে, তাহার প্রাক্কালে মহেত্তের জন্য অতিশয় সাহসিক হৃদয়ও চিন্তাপণ হয়। অদ্য সায়েস্তাখাঁ ও মোগল-সৈন্য ছিন্নভিন্ন ও পরাভূত হইবে, অথবা অসমসাহসে মহারাষ্ট্র-সষে একেবারে চির অন্ধকারে অস্ত যাইবে, এইরুপ চিন্তা অগত্যা যোদ্ধাদিগের হৃদয়ে উদ্রেক হইতে লাগিল। কেহ এ চিন্তা ব্যক্ত করিলেন না, তথাপি যখন নিঃশব্দে যোদ্ধা যোদ্ধার দিকে নিরীক্ষণ করিলেন, তখন কাহারও মনোগত ভাব লক্কোয়িত রহিল না। কেবল বিংশ বা পশ্চবিংশ মাত্র সেনা লইয়া শিবজী শত্র সেনার মধ্যে যাইয়া আক্রমণ করিবেন, এরপে ভীষণ কায্যে শিবজী কখনও লিপ্ত হইয়াছেন কি না সন্দেহ। কেনই বা যোদ্ধাদিগের ললাট মহমত্তের জন্য চিন্তা-মেঘাচ্ছন্ন না হইবে ? সেই বীরমণ্ডলীর মধ্যে বহদেশী পেশোয়া মরেশ্বর ত্রিমাল ছিলেন। অলপ বয়সে তিনি শিবজীর পিতা শাহজীর অধীনে যুদ্ধ-ব্যবসায়ে লিপ্ত ছিলেন, পরে শিবজীর অধীনে আসিয়া প্রতাপগড়ের চমৎকার দাগ তিনিই নিম্মাণ করেন।. চারি বৎসরাবধি পেশোয়াপদ প্রাপ্ত হইয়া তিনি সেই পদের যোগ্যতা বিশেষরাপে প্রদর্শন করিয়াছিলেন। আবল ফাজেলকে শিবজী হত্যা করিলে পর মরেশ্বরই তাঁহার সেনাকে আক্রমণ করিয়া পরাস্ত করিয়াছিলেন, পরে মোগলদিগের সহিত যাদ্ধারম্ভ হওয়াবধি তিনিই পদাতিক সৈন্যের সরনৌবং অর্থাৎ সেনাধ্যক্ষ ছিলেন। যুদ্ধকালে সাহসী, বিপদকালে স্থির ও অবিচলিত, পরামশে বৃদ্ধিমান ও দরদশ", মরেশ্বর অপেক্ষা কাৰ্য্যদক্ষ কর্মচারী ও প্রকৃত বন্ধ শিবজীর আর কেহ ছিল না। আবাজী সবণদেব নামে তথায় দ্বিতীয় একজন দরদশী ও যুদ্ধপট ব্রাহ্মণ ছিলেন। তাঁহার প্রকৃত নাম নীলপত্ত সবণ দেব, কিন্তু আবাজী নামেই তিনি খ্যাত ছিলেন। তিনিই ১৬৪৮ খঃ অব্দে কল্যাণদগে ও সমস্ত কল্যাণী প্রদেশ হস্তগত করেন, এবং সম্প্রতি রায়গড়ের প্রসিদ্ধ দুগ নিৰ্ম্মাণ আরম্ভ করিয়াছিলেন। প্রসিদ্ধনামা অন্নজীদত্তও অদ্য সিংহগড়ে উপস্থিত ছিলেন। চারি বৎসর পাবে তিনি পবনগড় হস্তগত করেন, এবং শিবজীর কমচারী মধ্যে একজন প্রধান ও অতিশয় কাৰ্য্যদক্ষ ছিলেন। ১৭৪