পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अशाब्रा-स्ने छौबम-चङाप्ङ সেই কুনিনের মধ্যে মন্মর শব্দ করিতে লুগিল। সন্ধ্যার পথিক একে একে সেই কাননের পাশ্ব দিয়া পনোভিমুখে চলিয়া যাইল, নিবিড় অন্ধকার ভিন্ন আর কিছ দেখিল না, পত্রের মন্মর শব্দ ভিন্ন আর কিছল শ্রবণ করিল না। ক্রমে পনার গোলমাল নিস্তন্ধ হইল, দীপাবলী নিৰ্বাণ হইল, নিস্তন্ধ নগরে কেবল প্রহরিগণ এক একবার উচ্চ শব্দ করিতে লাগিল, ও সময়ে সময়ে শগালের বর বায়াপথে আসিতে লাগিল। টং ঢং ঢং সহসা শব্দ হইয়া উঠিল, শিবজীর হৃদয় চমকিত হইল। সেই দিকে চাহিয়া দেখিলেন, গলির মধ্যে শব্দ হইতেছিল, নগরের বাহির হইতে দেখা যায় না। ঢং ঢং ঢং পনরায় শব্দ হইল, আবার শিবজী চাহিয়া দেখিলেন। বহুলোকে দীপাবলী হইয়া বাদ্য করিতে করিতে প্রশস্ত পথ দিয়া আসিতেছে;—এই বরষাত্ৰা ! বরষাল্লা নিকটে আসিল। পনার চারিদিকে প্রাচীর নাই, পাট দেখা যাইতেছে। পথ লোকে সমাকীর্ণ, ও নানা বাদ্যযন্ত্র দ্বারা অতি উচ্চ রব হইতেছে। অনেক অশ্বারোহী, অধিকাংশ পদাতিক। শিবজী নিঃশব্দে বাল্যসহৃদ তন্নজী ও যশজীকে আলিঙ্গন করিলেন। পরস্পরে পরস্পরের দিকে চাহিলেন মাত্র। “হয়ত এই শেষ বিদায়”—এই ভাব সকলের মনে জাগরিত হইল ও নয়নে ব্যক্ত হইল, কিন্তু বাক্য অনাবশ্যক। নিঃশব্দে শিবজী ও তাঁহার লোক সেই যাত্রীদিগের সহিত মিশিয়া গেলেন। যাত্রিগণ সায়েস্তাখাঁর বাটীর নিকট দিয়া যাইল, বাটীর কামিনীগণ গবাক্ষে আসিয়া সেই বহলোকসমারোহ দেখিতে লাগিলেন। ক্রমে যাত্ৰিগণ চলিয়া গেল, কামিনীগণও শয়ন করিতে গেলেন, যাত্রীদিগের মধ্যে প্রায় ত্রিংশৎ জন খসিাহেবের গহের নিকট লক্কোয়িত রহিল, তাহা কেহ দেখিতে পাইল না। ক্রমে বরযাত্রার গোল থামিয়া গেল । রজনী আরও গভীর হইল। সায়েস্তাখরি রন্ধনগহের উপর একটী গবাক্ষ ছিল, তথায় অলপ অলপ শব্দ হইতে লাগিল। খসিাহেবের পরিবারের কামিনীগণ সকলে নিদ্রিত অথবা নিদ্রাল, সে শব্দ শুনিয়াও গ্রাহ্য করিলেন না। একখানি ইন্টকের পর আর একখানি, পরে আর একখানি সরিল, ঝর ঝর করিয়া বালকো পড়িল। নারীগণ তখন সন্দিন্ধ হইয়া সেই স্থান দেখিতে আসিলেন, ছিদ্রের ভিতর দিয়া একজন, পরে আর একজন, পরে আর একজন ষোদ্ধা পিপীলিকা-সারের ন্যায় গহে প্রবেশ করিতেছে! তখন চীৎকার-শব্দ করিয়া যাইয়া সায়েস্তাখাঁর নিদ্রাভঙ্গ করিয়া তাঁহাকে সমৃদয় অবগত করিলেন। শিবজী সন্ধিপ্রাথ’নার মিনতি করিতেছেন, খসিাহেব এইরুপ স্বপ্ন দেখিতেছিলেন। সহসা জাগরিত হইয়া শুনিলেন, শিবজী পনা হস্তগত করিয়া তাঁহার প্রাসাদ আক্রমণ করিয়াছেন। পলায়নাথে খসিাহেব এক দ্বারে আসিলেন, দেখিলেন, বাম ধারী মহারাষ্ট্ৰীয় যোদ্ধা ! অন্য দ্বারে আসিলেন, তাহাই দেখিলেন। সভয়ে সমস্ত দ্বার রুদ্ধ করিলেন, গবাক্ষ দিয়া পলাইবার উপক্রম করিতেছিলেন, এমত সময়ে সভয়ে শুনিলেন, “হর হর মহাদেও” বলিয়া মহারাষ্ট্ৰীয়গণ পাশ্বের গহ পরিপণ করিল। তখন রাজপরেী আক্রান্ত হইয়াছে বলিয়া চারিদিকে গোল হইল। প্রাসাদের রক্ষকগণ সহসা আক্রান্ত হইয়া হতজ্ঞান হইয়াছিল, অনেকেই হত ও আহত হইয়াছিল। তথাপি অবশিস্ট লোক প্রভুর রক্ষাথ দৌড়িয়া আসিল ও সেই পঞ্চবিংশ জন মাউলীকে চারিদিকে বেস্টন করিল। শীঘ্রই ভীষণরবে সেই প্রাসাদ পরিপরিত হইল। প্রাসাদের আলোক নিব্বাণ হইয়াছে, অন্ধকারে মাউলীগণ চীৎকার করিয়া যুদ্ধ করিতে লাগিল, অন্ধকারে হিন্দ ও মসলমান যুদ্ধ করিতেছে। কবাটের ঝনঝনা শব্দ, আক্রমণকারীদিগের মহামহের উল্লাসরব, এবং আক্রান্ত ও আহতদিগের আত্তনাদে প্রাসাদ পরিপরিত হইল। সেই সময়ে শিবজী বশী-হস্তে লম্ফ দিয়া যোদ্ধাদিগের মধ্যে পড়িলেন, “হর হর মহাদেও” বলিয়া চীৎকার করিয়া উঠিলেন। মাউলীগণ সঙ্গে সঙ্গে হতেকার করিয়া উঠিল, মোগল প্রহরিগণ পলায়ন করিল, অথবা সমস্ত হত ও আহত হইল। শিবজী ভীষণ বশাঘাতে দ্বার ভগ্ন করিয়া সায়েস্তাখাঁর শয়নঘরে আসিয়া পড়িলেন। সেনাপতির রক্ষাথে তৎক্ষণাৎ কয়েকজন মোগল সেই ঘরে ধাবমান হইল। শিবজী দেখিলেন, সম্মুখে মত চাঁদখাঁর বিক্রমশালী পত্র শমশেরখাঁ। পিতা অপমানিত হইয়া প্রাণ হারাইয়াছে, তথাপি পত্র সেই প্রভুর জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত ও অগ্রগণ্য। শিবজী এক মহত্তে দণ্ডায়মান SR이 ১২