পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫి}ణ industries in which the Indian Government has always professed the greatest interest. It will relieve millions of weavers and other artisans from a state of semi-starvation in which they have lived, will bring them back to their hand-loom and other industries, and will minimise the terrible effects of famines... It will give a new impetus to our manufactures which necd such impetus; and it will see us, in the near future, largely dependent on articles of daily use prepared at home, rather than on articles imported from abroad.” সবদেশী আন্দোলনের ফলে যে বস্ত্রশিপের প্রভূত উন্নতি হইবে সে সম্বন্ধে রমেশচন্দ্রের দঢ় ধারণা ছিল। এই উন্নতির দরুণ শধে তন্তুবায় এবং বসন্ত্রশিল্প সংক্রাস্ত অন্যান্য কারিগর শ্রেণীরই আর্থিক সচ্ছলতা হইবে না, সমগ্র দেশের অর্থনৈতিক সবাচ্ছন্দ্যও ফিরিয়া আসিবে এবং ইহার ফলে দভিক্ষের তীব্রতাও বিশেষভাবে হ্রাস পাইবে। ১৯o৭ সনে সরাটে অনুষ্ঠিত ভারতীয় শিল্প-সম্মেলনেও রমেশচন্দ্র সভাপতিত্ব করিয়াছিলেন। ক্ৰমাগত তিন বৎসর কঠোর পরিশ্রমান্তে বিশ্রাম লাভের আশায় বরোদার কার্য্য হইতে ছয়টি লইয়া ১৯o৬, ৯ই জন রমেশচন্দ্র বিলাত যাত্রা করেন। প্রায় সাত মাস পরে ঐ সনের r১৭ই নবেম্বর তিনি ভারতে প্রত্যাবৰ্ত্ত হন। এই সময়ে বাংলাদেশে তুমলে স্বদেশী আন্দোলন উপস্থিত হইয়াছিল। সবদেশগত-প্রাণ রমেশচন্দ্র বিশ্রামলাভের আশায় বিলাত গেলেও স্থির থাকিতে পারলেন না। তিনি সাধারণভাবে ভারতবষের বিবিধ সমস্যা সম্পকে এবং বিশেষভাবে বঙ্গ ব্যবচ্ছেদ লইয়া নানারপে আলাপ-আলোচনা ও বক্তৃতাদি করিতে থাকেন। এই সময়ে কংগ্রেসের প্রতিনিধিরপে গোখলে বিলাতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি তাঁহার সঙ্গে একযোগে সবদেশের কাম্যে ব্ৰতী হন । রয়্যাল (ডি-সেন্ট্রালাইজেশন) কমিশন : রাষ্ট্ৰীয় চিন্তা : রমেশচন্দ্র ১৯০৭ সনের জুলাই মাসে পুনরায় ছয়টি গ্রহণ করেন। গবর্ণমেণ্ট এই সময়ে তাঁহাকে সেপ্টেম্বর মাস হইতে রয়্যাল ডি-সেন্ট্রালাইজেশন) কমিশনের অন্যতম সদস্য-পদে নিয়োগ করিলেন । বরোদার রাজস্ব সচিবের বেতন বাবদ রমেশচন্দ্র প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করিয়া পাইতেন। সরকার তাহাকে মাসিক দক্ষিণা এই হারেই দিতে লাগিলেন। ১৯০৯, ফেব্রুয়ারী মাস পৰ্য্যন্ত তিনি এই পদে লিপ্ত রহিলেন। ভারতবর্ষের কায্য সমাপনান্তর কমিশনের সঙ্গে তাঁহাকেও বিলাতে কিছুকালের জন্য অবস্থান করিতে হয়। সরকারী শাসন-কাঠামোর সংস্কার ও উন্নতি-সাধনে পরামর্শ দানই মাত্র ছিল কমিশনের অন্তভূক্ত বিষয়। শাসন-ব্যবস্থার মৌলিক সংস্কার ইহার উদ্দেশ্যমধ্যে গণ্য করা হয় নাই। কিন্তু রমেশচন্দ্র সরদেশের উন্নতির সম্ভাবনা যেখানেই যতটুকু দেখিতেন তাহার সদ্ব্যবহার করিতে চেন্টা পাইতেন। তাই তিনি ভারত-সচিব মলেকে কমিশনের সদস্য নিয়োগের সংবাদ পাইয়া লিখিয়াছিলেন : “But I am one of those who think half a loaf is better than no bread, and I am grateful for the inquiry which has been permitted.” শাসন-ব্যবস্থার মৌলিক সংস্কার কিরপে হওয়া উচিত সে সম্বন্ধে রমেশচন্দ্রের মতামত আমরা জানিতে পারি ভারত-সচিব মলে’কে লিখিত এ সময়কার কয়েকখানি পত্র হইতে। তখন সবদেশী আন্দোলনের মরশুম। বঙ্গদেশে তখন এমন একদল প্রগতিশীল রাজনৈতিকের উদ্ভব হইয়াছে যাহারা শাসন-বাবস্থায় মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করিতে সাতিশয় উন্মুখ। এই নতন ভাবনাকে ঐ সময়েই "New spirit” বলিয়া আখ্যা দেওয়া হয় এবং যাহারা এই ভাবনার ধারক তাহাদিগকে বলা হয় “Exrremist বা উগ্ৰপন্থী"। রমেশচন্দ্ৰ মলেকে লিখিত পত্রে এই নতন দল ও নপভাবনার দিকে তাঁহার দটি বিশেষভাবে আকর্ষণ করিলেন, এবং তাঁহাদের দাবী যে মোটেই অযৌক্তিক বা ভিত্তিহীন নয় তাহাও তাঁহাকে বিশেষ করিয়া বঝাইয়া দিলেন । ধীরপন্থী বা Moderate Party দেশ-শাসনে যতটুকু অধিকার চাহিয়াছেন তাহা তখনই পরণ না করিলে অনতিবিলম্বে ভীষণ অনথের সচিট হইতে পারে। তিনি একখানি পত্রে সরকার কত্ত্বক হিন্দমসলমানে ভেদ-বৈষ্ণমোর আসকারা দেওয়াকে সবদেশের উন্নতির পক্ষে বিশেষ ক্ষতিকারক বলিয়া উল্লেখ করিয়াছিলেন। মুসলমানদের হিন্দ হইতে আলাদা হইয়া পৃথক নিব্বাচনের সযোগ দিলে জাতীয় ঐক্যের মলে কুঠারাঘাত করা হইবে। যে ঐক্য-বুদ্ধি উভয়ের ভিতরে