পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अङ्गब्राध्यै छबित्र-टाछाङ मभम अब्रिटन्छ्न ? आमा মদি পোড়া আখি বসি রসালের তলে, ' ভ্রান্তিমদে মাতি ভাবি পাইব সত্বরে পাদপদ্ম কাঁপে হিয়া দরে দরে করি শুনি যদি পদশব্দ। —মধ্যসদন দত্ত । যেদিন রঘুনাথ তোরণদগে আসিয়াছিলেন, যেদিন তাঁহার হৃদয় উৎক্ষিপ্ত হয়, সেই দিন প্রথম-প্রেমের আনন্দময়ী লহরীতে একটী বালিকা-হৃদয় ভাসিয়া গিয়াছিল। উদ্যানে সন্ধ্যার সময় সরযর দটি সহসা সেই স্বদেশীয় যোদ্ধার উপর পতিত হইল, বালিকা সহসা চমকিত হইলেন। আবার চাহিলেন, আবার সেই উদার বদনমণ্ডল, সেই উন্নত তরুণ যন্ধবেশধারী অবয়ব দেখিলেন, পরে ধীরে ধীরে গহের ভিতর যাইলেন। m রজনীতে সরয সেই সবদেশীয় তরণে যোদ্ধাকে ভোজন করাইতে যাইলেন। পাশ্বে দণ্ডায়মান হইয়া দেব-বিনন্দিত অবয়বের দিকে চাহিয়া রহিলেন। যখন চারি চক্ষর মিলন হইল, তখন লন্জাবতবদনা ধীরে ধীরে সরিয়া আসিলেন। সরিয়া আসিলেন, কিন্তু হৃদয়ে একটী নতন ভাব উদয় হইল। রঘুনাথ তাঁহার দিকে সোম্বেগে দটি করিলেন কেন ? রঘুনাথ কি স্বদেশীয় বালিকার প্রতি একটা স্নেহের সহিত নয়নক্ষেপ করিয়াছেন? তরণে যোদ্ধার কি সরযর প্রতি একটা মমতা জমিয়াছে ? পরদিন আবার সেই তরণে যোদ্ধাকে দেখিলেন, আবার হৃদয় একটু উদ্বিগ্ন হইল। পরে যখন রঘুনাথের আনন্দনীয় বাক্যগুলি শুনিলেন, রঘুনাথ যখন সরয়ার গলায় কাঠমালা পরাইয়া দিলেন, বালিকার শরীর শিহরিয়া উঠিল, হৃদয় আনন্দ ও উদ্বেগে প্লাবিত হইল। যখন বিদায় লইয়া যোদ্ধা অশ্বারাঢ় হইয়া চলিয়া গেলেন, সরয গবাক্ষপাশ্বে দাঁড়াইয়া সেই দিকে চাহিয়া রহিলেন। অনেকক্ষণ পৰ্য্যস্ত বালিকা গবাক্ষপাশ্বে দন্ডায়মান রহিলেন । অশ্ব ও অশ্বারোহী অনেকক্ষণ চলিয়া গিয়াছে, কিন্তু বালিকা নিঃপদে সেই দিকে চাহিয়া রহিয়াছেন। দিবালোকে পর্বতমালা অনেকদরে পয্যন্ত দেখা যাইতেছে, তাহার উপর যতদরে দেখা যায়, পৰ্বতবক্ষ সমাদের লহরীর মত বায়তে দলিতেছে। উপরে পন্বতশৃঙ্গ হইতে স্থানে স্থানে জলপ্রপাত পতিত হইতেছে, সেই সবচ্ছ জল একটী নদীরপে বহিয়া যাইতেছে। নীচে সন্দের উপত্যকায় গ্রামের কুটীর দেখা যাইতেছে, সন্দের হরিদ্বণ ক্ষেত্র সকল দেখা যাইতেছে, তাহার মধ্য দিয়া পৰ্বতকন্যা তরঙ্গিণী ধীরে ধীরে বহিয়া যাইতেছে ও মেঘবিবজিত সৰ্য্যে এই সন্দের দশ্যের উপর দিয়া আপন আলোকহিল্লোল আনন্দে গড়াইয়া দিতেছে। কিন্তু সরয এ সমস্ত দেখিতেছিলেন না, তাঁহার মন এ সমস্ত দশ্যে ন্যস্ত ছিল না। সরয আদ্য সমস্ত দিন একটা অন্যমনস্কা রহিলেন। সায়ংকালে পিতার ভোজনের সময় নিকটে বসিলেন, স্বহস্তে পিতার শয্যা রচনা করিয়া দিলেন, পরে ধীরে ধীরে আপন শয়নাগারে যাইলেন। নিস্তন্ধ রজনীতে সরয়া উঠিয়া ধীরে ধীরে সেই গবাক্ষপাশ্বে যাইয়া নিঃশব্দে উপবেশন করিয়া চন্দ্রালোক দেখিতে লাগিলেন। একাদশ পরিচ্ছেদ : চিন্তা এস তুমি, এস নাথ, রণ পরিহার ফেলি দরে বাম, চাম, অসি, তাণ, ধনঃ, তাজি রথ পদব্রজে এস মোর পাশে । —মধসদন দত্ত। জনান্দন স্বভাবতঃই সরলস্বভাব লোক ছিলেন, সারাদিন শাস্তানশীলন বা দেবপজায় রত থাকিতেন; প্রভাতে, সায়ংকালে কিল্লাদারের নিকট সাক্ষাৎ করিতে ঘাইতেন, কদাচ বাটীতে ֆԶ ծ