পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रट्धश्च ब्रकनाबळनै সহসা তাঁহার পাশ্বাস্থ একজন সেনা পতিত হইল, শিবজী দেখিলেন তাহার বক্ষঃস্থলে তাঁর লাগিয়াছে! আর একটা তাঁর, আর একট, আরও বহুসংখ্যক তাঁর শত্ৰুগণ জাগরিত হইয়া রহিয়াছে, শিবজীর সৈন্য প্রণালী দিয়া আরোহণ করিবার সময় তাহারা দেখিতে পাইয়াছে, এবং সেইদিকে তাঁর নিক্ষেপ করিয়াছে। & শিবজীর সমস্ত সৈন্য বক্ষের অন্তরালে দণ্ডায়মান হইল, তাঁর নিক্ষেপ থামিয়া গেল, কিন্তু শিবজী বুঝিলেন শত্ররা তাঁহার আগমন জানিতে পারিয়াছে। তিনি দাগ দিকে চাহিয়া দেখিলেন, এখন অনেকগুলি আলোক প্রজবলিত হইয়াছে, সময়ে সময়ে প্রহরিগণ এদিক ওদিক যাইতেছে। তখন তিনি দগে প্রাচীর হইতে কেবলমাত্র পঞ্চাশ হস্ত দরে। বঝিলেন সৈন্যগণ সতক হইয়াছে, ভীষণ যন্ধে বিনা অদ্য দলগ হস্তগত হইবার নহে! শিবজীর চিরসহচর তন্নজী এ সমস্ত দেখিল ; ধীরে ধীরে বলিল,-রাজন। এখনও নামিয়া যাইবার:সময় আছে, অদ্য দাগ হস্তগত না হয় কল্য হইবে, কিন্তু অদ্য চেষ্টা করিলে সকলের বিনাশ হইবার সম্ভাবনা। রন্দ্রমণ্ডল লইব অথবা এই যুদ্ধে প্রাণত্যাগ করিব । শিবজী নিস্তন্ধে সেই বক্ষশ্রেণীর ভিতর দিয়া অগ্রসর হইতে লাগিলেন। শত্রকে ভুলাইবার জন্য একশত সৈন্যকে দগের অপর পাশ্বে যাইয়া গোল করিতে আদেশ করিলেন। অপেক্ষণের মধ্যে দগের অপর পাশ্বে বন্দকের শব্দ শনা গেল, সেই দিক হইতে শিবজী দগে আক্রমণ করিয়াছেন বিবেচনা করিয়া দগে"স্থ প্রহরী ও সৈন্যসকল সেই দিকে ধাবমান হইল, এদিকে প্রাচীরোপার যে আলোক জব তাহা নিবিয়া যাইল। তখন শিবজী বলিলেন,— মহারাষ্ট্ৰীয়গণ! শত যুদ্ধে তোমরা আপন বিক্রমের পরিচয় দিয়াছ, শিবজীর নাম রাখিয়াছ, অদ্য আর একবার সেই পরিচয় দাও । তন্নজী! বাল্যকালের সৌহৃদ্যের পরিচয় অদ্য প্রদান কর । প্রভুবাক্যে সকলের হৃদয় সাহসে পরিপরিত হইল, নিঃশব্দে সেই গভীর অন্ধকারে সকলে অগ্রসর হইল, অচিরে দাগ প্রাচীরের নিকট পেশছিল। রজনী দ্বিপ্রহর অতীত হইয়াছে, আকাশে আলোক নাই, জগতে শব্দ নাই, কেবল রহিয়া রহিয়া নৈশ বায় সেই পৰ্বত-বক্ষের ভিতর দিয়া মমরশব্দে প্রবাহিত হইতেছে। রন্দ্রমণ্ডলের প্রাচীর হইতে শিবজী বিংশ হস্ত দরে আছেন, এমন সময় দেখিলেন প্রাচীরের উপর একজন প্রহরী, বক্ষের ভিতর শব্দ শ্রবণ করিয়া প্রহরী পনরায় এইদিকে আসিয়াছে। একজন মাউলী নিঃশব্দে একটী তাঁর নিক্ষেপ করিল, হতভাগ্য প্রহরীর মত শরীর প্রাচীরের বাহিরে পতিত হইল । , সেই শব্দ শুনিয়া আর এক জন, দুই জন, দশ জন, শত জন, ক্রমে দুই তিন শত জন সৈনিক প্রাচীরের উপর ও নীচে জড় হইল। শিবজী রোষে ওঠের উপর দন্তস্থাপন করিলেন, আর লক্কোয়িত থাকিবার উপায় দেখিলেন না, সৈন্যকে অগ্রসর হইবার আদেশ দিলেন। তৎক্ষণাৎ মহারাষ্ট্ৰীয়দিগের “হর হর মহাদেও" যুদ্ধনাদ গগনে উত্থিত হইল, একদল প্রাচীর উল্লঙঘন করিবার জন্য দোঁড়িয়া গেল, আর একদল বক্ষের ভিতর থাকিয়াই ক্ষিপ্রহস্তে প্রাচীরারোহী মসলমানদিগকে তাঁর দ্বারা বিদ্ধ করিতে লাগিল। মুসলমানেরাও শত্রর আগমনে কিছুমাত্র ভীত না হইয়া “আল্লাহ আকবর" শব্দে আকাশ ও মেদিনী কম্পিত করিল, কেহ বা প্রাচীরের উপর হইতে তাঁর নিক্ষেপ করিতে লাগিল, কেহ বা উৎসাহ পরিপন্ণ হইয়া প্রাচীর হইতে লম্ফ দিয়া আসিয়াই ব্যক্ষমধ্যেই মহারাষ্ট্ৰীয়দিগকে আক্রমণ করিল। শীঘ্রই সেই প্রাচীরতলে ও ব্যক্ষমধ্যে যন্ধে আরম্ভ হইল। প্রাচীরের উপরিস্থ মুসলমানেরা বশাচালনে আক্রমণকারী:দিগকে হত করিতে লাগিল, তাহারাও অব্যথ তীরসঞ্চালনে মসলমানদিগকে বিনাশ করিতে লাগিল। রাশি রাশি মন্তদেহে প্রাচীরপাশ্ব পরিপন্ণ হইল, যোদ্ধাগণ সেই মতদেহের উপর দণ্ডায়মান হইয়াই খড়া বা বশাচালন করিতে লাগিল। শত শত মসলমান বক্ষের ভিতর পর্যন্ত আসিয়াছিল, শিবজাঁর মাউলীগণ একেবারে ব্যাঘের ন্যায় লাফ . দিয়া তাহাদিগকে আক্রমণ করিল। প্রবলপ্রতাপ আফগানেরাও যুদ্ধ অপটু নহে, রক্তস্রোত সেই পৰ্ব"ত দিয়া বহিয়া পড়িতে লাগিল। বক্ষের অন্তরালে, ঝোপের ভিতর, শিলারাশির పిసి0