পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাশ্বে শত শত মহারাষ্ট্ৰীয়গণ দণ্ডায়মান হইয়া অব্যথ তাঁর সঞ্চালন করিতে লাগিল, কক্ষপত্র ও বৃক্ষশাখার ভিতর দিয়া সেই অবারিত তাঁরশ্রেণী মুসলমান-সংখ্যা ক্ষীণতর করিতে লাগিল। BB BBuB u DDB u BD u D BBB BDD uB হইল, মহত্তের জন্য সকলেই সেই দিকে চাহিয়া দেখিল। দেখিল শত্রুসৈন্য ভেদ করিয়া, রক্তাপ্লত বশার উপর ভর দিয়া, একজন রাজপত যোদ্ধা এক লক্ষে রন্দ্রমণ্ডলের প্রাচীরের উপর উঠিয়াছেন। তথায় পাঠানদিগের পতাকা পদাঘাতে ফেলিয়া দিয়াছেন, পতাকাধারণী প্রহরীকে খঙ্গচালনে হত করিয়াছেন, প্রাচীরোপরি দণ্ডায়মান হইয়া সেই অপবে যোদ্ধা বজ্রনাদে “শিবজীকি জয়” শব্দ করিয়াছিলেন। সেই যোদ্ধা রঘুনাথজী হাবিলদার ! হিন্দ ও মুসলমান এক মহেনত্তের জন্য যুদ্ধে ক্ষান্ত হইয়া বিস্ময়োৎফনল্পলোচনে BBBBB B uBBBSu u uS BDD BBBu তারকালোকে চকমক করিতেছে, হস্ত ও বাহুদ্বয় রক্তে আপ্লত, বিশাল বক্ষের উপর দুই একটী তীর লাগিয়া রহিয়াছে, দীঘ হস্তে রক্তাপ্লত দীঘ বশী, উজদল নয়ন গছে গুচ্ছ কৃষ্ণকেশে আবত। পোতের সম্মুখে উলিম রাশির ন্যায় শত্ররা এই যোদ্ধার দই পাশ্বে মহত্তের জন্য সচকিত হইয়া সরিয়া গেল, মহমত্তের জন্য বোধ হইল যেন স্বয়ং রণদেব দীঘ বশ হন্তে আকাশ হইতে প্রাচীরোপরি অবতীর্ণ হইয়াছেন। - ক্ষণকালমাত্র সকলে নিস্তব্ধ রহিল, পরে আফগানগণ শত্র প্রাচীরে উঠিয়াছে দেখিয়া চারিদিক হইতে বেগে আসিতে লাগিল, রঘুনাথকে চারিদিকে শত্রদল কৃষ্ণমেঘের ন্যায় আসিয়া বেস্টন করিল। রঘুনাথ খড়া ও বশ চালনে অদ্বিতীয়, কিন্তু শত লোকের সহিত যুদ্ধ অসম্ভব, রঘুনাথের জীবন সংশয়। তখন মাউলীগণ রঘুনাথের বিক্রম দেখিয়া উৎসাহিত হইয়া সেই প্রাচীরের দিকে ধাবমান হইল, ব্যান্ত্রের ন্যায় লম্ফ দিয়া প্রাচীরে উঠিল, রঘুনাথের চারিদিকে বেস্টন করিয়া যুদ্ধ করিতে লাগিল! দশ, পঞ্চাশ, দই, তিন শত জন সেই প্রাচীরের উপর বা উভয় পাশ্বে আসিয়া জড় হইল, ছুরিকা ও খড়্গাঘাতে পাঠানদিগের সারি ছিন্ন-ভিন্ন করিয়া পথ পরিকার করিল, মহানাদে দগ" পরিপরিত করিল! সহস্র মহারাষ্ট্ৰীয়ের সহিত দুই-তিন শত পাঠানের যন্ধে করা সম্ভব নহে, তাহারা মহারাষ্ট্ৰীয়ের গতিরোধ করিতে পারিল না। তখন শিবজী ও তন্নজী প্রাচীর হইতে লম্বফ দিয়া দগের ভিতরদিকে ধাবমান হইতেছেন; সৈন্যগণ বুঝিল, আর এ স্থানে যুদ্ধের আবশ্যক নাই, সকলেই প্রভুর পশ্চাৎ পশ্চাৎ দনগের ভিতর দিকে ধাবমান হইল । শিবজী বিদ্যুদগতিতে কিল্লাদারের প্রাসাদে উপস্থিত হইলেন, সে প্রাসাদ অতিশয় কঠিন ও সরক্ষিত। শিবজীর আদেশ অনুসারে মহারাষ্ট্ৰীয়েরা সেই প্রাসাদ বেল্টন করিল ও বাহিরের “প্রহরী সকলকে হত করিল। শিবজী তখন বজ্রনাদে কিল্লাদারকে বলিলেন,—স্বার খালিয়া দাও, নচেৎ প্রাসাদ দাহ করিব! নিভীক পাঠান উত্তর করিলেন,—অগ্নিতে দাহ হইব, কিন্তু কাফেরের সম্মুখে দ্বার খলিব না ! তৎক্ষণাৎ মহারাষ্ট্ৰীয়গণ মশাল আনিয়া দ্বারে জানালায় অগ্নিদান করিতে লাগিল। উপর হইতে কিল্লাদার ও তাঁহার সঙ্গিগণ তীর নিক্ষেপ দ্বারা প্রাসাদে অগ্নিদান নিবারণ করিবার চেস্টা পাইলেন। অনেক মহারাষ্ট্ৰীয় মশাল হস্তে ভূতলশায়ী হইল, কিন্তু অগ্নি জনলিল । প্রথমে দ্বার, গবাক্ষ, পরে কাঁড়কাঠ, পরে সেই বিস্তীর্ণ প্রাসাদ সমস্ত অগ্নিতে জনলিয়া উঠিল। সেই প্রচণ্ড আলোক ভীষণনাদে আকাশের দিকে উত্থিত হইল, ও রজনীর অন্ধকারকে আলোকময় করিল। বহদের পয্যন্ত পন্বত ও উপত্যকা হইতে সেই আলোক দটি হইল, সেই দাহের শব্দ শ্রত হইল, সকলে জানিল শিবজীর দমদমনীয় ও অপ্রতিহত সেনা মসলমানদগে জয় করিয়াছে। বীরের যাহা সাধ্য পাঠান কিল্লাদার রহমৎখাঁ তাহা করিয়াছিলেন, এক্ষণে বীরের ন্যায় মরিতে বাকী ছিল। যখন গহে অগ্নিপুণ হইল, রহমৎখাঁ ও সঙ্গিগণ লম্ফ দিয়া ছাদ হইতে . ভূমিতে অবতরণ করিলেন। এক এক জন এক এক মহাবীরের ন্যায় খঙ্গচালনা করিতে লাগিলেন, সেই খঙ্গচালনায় বহল মহারাষ্ট্ৰীয় হত হইল। সকলে সেই মসলমানদিগকে বেস্টন করিল, তাহারা শত্রর মধ্যে একে একে হত হইতে పిసిసి