পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ç i छ१ 。没 রঘুনাথ নিঃশব্দে ভূমি পৰ্য্যন্ত শিল্প নামাইয়া দুইশত সেনার সহিত বিদ্যুদগড়িতে নয়নের বহির্গত হইলেন। শিবজী তন্নজীর দিকে চাহিয়া বলিলেন,-ঐ হাবিলদার রাজপতজাতীয়, উহার মুখমণ্ডল ও আচরণ দেখিলে কোন উন্নত বীরবংশোস্তব বলিয়া বোধ হয়। কিন্তু হাবিলদার কখনও বংশের বিষয় একটী কথাও বলে না, আপন অসাধারণ সাহস-সম্ববন্ধে একটী গবিত বাক্যও উচ্চারণ করে না। একদিন পনায় রঘুনাথ আমার প্রাণরক্ষা করিয়াছিল, আদ্য রঘুনাথই গেবিজয়ে অগ্রসর হইয়াছিল। আমি এ পৰ্য্যস্ত কোনও পরস্কার দিই নাই, কল্য রাজসভায় রাজা জয়সিংহের সম্মুখে রাজপত হাবিলদারকে উচিত পুরস্কার দিব । রঘুনাথজী যে কায্যের ভার লইলেন, তাহা সম্পন্ন করিলেন। আফগানগণ এখনও পন্বত আরোহণ করিতেছে, এমন সময়ে প্রাচীরের উপর হইতে মহারাষ্ট্ৰীয়গণ বশ নিক্ষেপ করিল;পরে “হর হর মহাদেও” ভীষণনাদে যন্ধের উপক্রম করিল। সে যুদ্ধ হইল না। প্রাচীরের উপর মশালের আলোকে অসংখ্যক শত্রম দেখিয়া আফগানগণ দগে উদ্ধার করা দুঃসাধ্য জানিয়া পনরায় পব্বত অবতরণ করিয়া পলাইল । মাউলীগণ পশ্চাদ্ধাবন করিল, উন্মত্ত মাউলীদিগের অবারিত ছরিকা ও খড়্গাঘাতে আফগানগণ নিপতিত হইতে লাগিল। রঘুনাথ তখন উচ্চৈঃস্বরে আদেশ দিলেন,—পলাতককে যাইতে দাও, হত্যা করিও না, শিবজীর আদেশ পালন কর। ষন্ধে শেষ হইল, আফগানগণ পৰ্বত অবতরণ করিয়া পলাইল । তখন রঘুনাথ দগের প্রাচীরের স্থানে স্থানে প্রহরী সংস্থাপন করিলেন, গোলা বারদ ও অস্ত্রশস্ত্রের ঘরে আপন প্রহরী সন্নিবেশিত করিলেন, দাগের সমস্ত ঘর, সমস্ত স্থান হস্তগত করিয়া সরক্ষার আদেশ দিয়া শিবজীর নিকট যাইয়া শির নামাইয়া সমস্ত সমাচার নিবেদন করিলেন । যখন উষার রক্তিমাচ্ছটা পবেদিকে দন্ট হইল, প্রাতঃকালের সমেন্দ শীতল বায় বহিতে লাগিল, তখন সমস্ত দগ" শব্দশনা নিস্তব্ধ। যেন এই সন্দের শাস্ত পাদপমণ্ডিত পৰ্বত-শেখর যোগী ঋষির আশ্রম, যেন যুদ্ধের পৈশাচিক রব কখনও এস্থানে শ্রত হয় নাই। ষোড়শ পরিচ্ছেদ : বিজেতার পরস্পকার ছিন্ন তুষারের ন্যায় বাল্য বাঞ্ছা দরে যায় তাপদন্ধ জীবনের ঝঞ্জা বায় প্রহারে । পড়ে থাকে দরে গত জীণ অভিলাষ যত ছিন্ন পতাকার মত ভগ্ন দগে প্রাকারে ॥ —হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় পরদিন অপরাহ্লে সেই দগোপরি অপরাপ সভা সন্নিবেশিত হইল। রৌপ্য-বিনিমিতে /চারি স্তম্ভের উপর রক্তবণের চন্দ্ৰাতপ, নীচেওঁ রক্তবর্ণ বলে মণ্ডিত রাজগদির উপর রাজা ੇ জয়সিংহ ও রাজা শিবজী উপবেশন করিয়া আছেন, চারি পাশ্বে সৈন্যগণ বন্দকে লইয়া শ্রেণীবদ্ধ হইয়া দণ্ডায়মান রহিয়াছে, সেই বন্দকের কিরীচ হইতে রক্তবর্ণের পতাকা অপরাহুের বায়হিল্লোলে নত্য করিতেছে। চারিদিকে শত শত লোক দিল্লীশ্বরের, জয়সিংহের ও শিবজীর জয়নাদ করিতেছে। জয়সিংহ সহাস্য বদনে শিবজীকে বলিলেন,--আপনি দিল্লীশ্বরের পক্ষাবলম্বন করিয়া অবধি তাহার দক্ষিণ হস্ত বরপে হইয়াছেন। এ উপকার দিল্লীশ্বর কখনই বিস্মত হইবেন না, আপনার সকল চেন্টায় জয় হইয়াছে। শিবজী। যেখানে জয়সিংহ সেইখানেই জয় ! জয়সিংহ। বোধ করি, আমরা শীঘ্রই বিজয়পরে হস্তগত করিতে পারিব, আপনি এক রাত্রির মধ্যে এই দগে অধিকার কারবেন, তাহা আমি কখনই আশা করি নাই। শিবজী। মহারাজ। দাগ বিজয় বাল্যকাল হইতে শিক্ষা করিয়াছি। তথাপি ষেরপ অনায়াসে দাগ লইব বিবেচনা করিয়াছিলাম, সেরাপ পারি নাই। জয়সিংহ। কেন ? ఫిషిని ఫి రి