পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अक्षाब्राख्ने छौवन-टाछाएछ অপেক্ষা কর। দুই বৎসর হইল তোমার ঐ কোষের অসি আমিই তোমাকে দিয়াছিলাম, বিদ্রোহীর হস্তে আমার অসির অবমাননা হইবে না, প্রহরিগণ ! আসি কাড়িয়া লও, পরে বিদ্রোহীকে দাগ হইতে নিম্ফাস্ত করিয়া দাও । রঘুনাথের যখন প্রাণদণ্ডের আদেশ হইয়াছিল, রঘুনাথ সে সময় অবিচলিত ছিলেন। কিন্তু প্রহরিগণ যখন অসি কাড়িয়া লইতেছিল তখন তাঁহার শরীর কম্পিত হইল, নয়নদ্বয় আরক্ত হইল। কিন্তু তিনি সে উগে সংযত করিলেন, শিবজীর দিকে একবার চাহিয়া মত্তিকা পৰ্য্যন্ত শির নামাইয়া নিঃশব্দে দাগ হইতে প্রস্থান করিলেন। সন্ধ্যার ছায়া ক্রমে গাঢ়তর হইয়া জগৎ আবত করিতেছে। একজন পথিক একাকী নিঃশব্দে পব্বত হইতে অবতীণ হইয়া প্রাস্তরাভিমুখে গমন করিলেন। প্রান্তর পার হইলেন, একাকী গ্রামে উপস্থিত হইলেন, সেটী পার হইয়া আর একটী প্রাস্তরে আসিলেন। অন্ধকার গভীরতর శా గా శాకా డా శా ? శా డా డా గణాళా व्षा । সপ্তদশ পরিচ্ছেদ ঃ চন্দ্ররাও জমলাদার আমা হইতে অন্য যদি কেহ হৃদে জনলে হলাহল – —হেমচন্দ বলেদ্যাপাধ্যায় । চন্দ্ররাও জমলাদারের সহিত আমাদের এই প্রথম পরিচয়। তাঁহার অসাধারণ ধীশক্তি, অসাধারণ বীৰ্য্য, অসাধারণ দৃঢ়প্রতিজ্ঞা, তাঁহার বয়স রঘুনাথ অপেক্ষা ৫ ৬ বৎসর অধিক মাত্র, কিন্তু দরে হইতে দেখিলে সহসা তাহাকে ৪০ বৎসরের লোক বলিয়া বোধ হয়। প্রশস্ত ললাটে এই বয়সেই দুই একটী চিন্তার গভীর রেখা অঙ্কিত রহিয়াছে, মস্তকের কেশ দুই একটী শুরু। নয়ন ক্ষুদ্র ও অতিশয় উত্তজৰল। চন্দ্ররাওকে যাহারা বিশেষ করিয়া জানিতেন, তাঁহারা বলিতেন যে চন্দ্ররাওয়ের তেজ ও সাহস যেরপে দমদমনীয়, গভীর দরদশী চিন্তা এবং ভীষণ অনিবাৰ্য্য স্থিরপ্রতিজ্ঞাও সেইরাপ। সমস্ত মুখমণ্ডলে এই দুইটী ভাব বিশেষরপে ব্যক্ত হইত। দেহ যেন লৌহনিশ্চিমত। যাঁহারা চন্দ্ররাওয়ের অসীম পরাক্রম, বিজাতীয় ক্রোধ, গভীর বৃদ্ধি ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞার বিষয় জ্ঞাত ছিলেন, তাঁহারা কখনই সে অলপভাষী স্থিরপ্রতিজ্ঞ জমেলাদারের সহিত বিবাদ করিতেন না। এ সমস্ত ভিন্ন চন্দ্ররাওয়ের আর একটী গণে বা দোষ ছিল, তাহা কেহই বিজাতীয় উচ্চাভিলাষে তাঁহার হৃদয় দিবারার জন্বলিত। অসাধারণ বদ্ধিসঞ্চালনে তিনি আত্মোন্নতির পথ আবিস্কার করিতেন, অতুল দৃঢ়প্রতিজ্ঞার সহিত সেই পথ অবলম্ববন করিতেন, খড়শহস্তে সেই পথ পরিকার করিতেন। শত্রম হউক, মিত্র হউক, দোষী হউক, নিন্দোষী হউক, অপরাধী হউক বা পরম উপকারী হউক, সে পথের সম্মুখে যিনি পড়িতেন, উচ্চাভিলাষী চন্দ্ররাও নিঃসন্ডেকাচে প্রতঙ্গবৎ তাঁহাকে পদদলিত করিয়া নিজ পথ পরিকার করিতেন। অদ্য বালক রঘুনাথ ঘটনাবশতঃ সেই পথের সম্মুখে পড়িয়াছিলেন, তাঁহাকে পতঙ্গবং দলিত করিয়া জমেলাদার পথ পরিকার করিলেন। এরপে অসাধারণ পরষের পত্ৰবাবত্তোন্ত জানা আবশ্যক। সঙ্গে সঙ্গে রঘুনাথের বংশ বত্তোন্তও কিছু কিছ জানিতে পারিব। চন্দ্ররাও তাঁহার জন্মবৃত্তান্ত প্রকাশ করিতেন না। রাজা যশোবন্ত সিংহের একজন প্রধান সেনানী গজপতি সিংহ চন্দুরাওকে বাল্যকালে লালন-পালন করিয়াছিলেন ! অনাথ বালক গজপতির গহের কাৰ্য্য করিত, গজপতির পত্র-কন্যাকে যত্ন করিত, অথবা গজপতির সহিত যুদ্ধে যন্ধে ফিরিত। যখন চন্দ্ররাওয়ের বয়ঃক্রম পঞ্চদশবর্ষ মাত্র তখন গজপতি তাঁহার গভীর চিন্তা, দমদমনীয় তেজ এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞা দেখিয়া আনন্দিত হইলেন, নুিজ পত্র রঘুনাথের ন্যায় চন্দ্ররাওকে ভালবাসিতেন ও এই কোমল বয়সেই আপন অধীনে সৈনিক-কায্যে নিযুক্ত করেন। সৈনিকের ব্রত ধারণ করিয়া অবধিই চন্দ্ররাও দিন দিন যে বিক্রম প্রকাশ করিতে লাগিলেন, 'Sఫిa