পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একমাত্র পুরাতন ভূত্য। পথিমধ্যে একদল দস্য সেই ভূত্যকে হত্যা করিয়া বালক-বালিকাকে মহারাষ্ট্র দেশে লইয়া যাইল। বালক অল্পবয়সেই তেজস্বী, রজনীযোগে দস্যদিগের শিবির হইতে পলায়ন করিল, বালিকাকে দস্যপতি বলপবেক বিবাহ করিলেন। তিনি চন্দ্ররাও ! তীক্ষাবৃদ্ধি চন্দ্ররাওয়ের মনোরথ কতক পরিমাণে পাণ হইল। গজপতির সংসার হইতে কিছ অথ’ আনিয়াছিলেন, বিস্তীণ জায়গীর কিনিলেন, মহারাষ্ট্র-দেশে একজন সমাদত সম্প্রাস্ত লোক হইলেন। চন্দুরাওয়ের বংশ এক পরাতন রাজপ্তবংশ হইতে উদ্ভূত, এ কথা কেহ অবিশ্বাস করিল না, তিনি প্রসিদ্ধনামা রাজপত গজপতি সিংহের একমাত্র দহিতাকে বিবাহ করিয়াছেন, সকলে দেখিতে পাইল। তাঁহার সাহস ও বিক্রম দেখিয়া শিবজী তাঁহাকে জন্মলাদারের পদ দিলেন, তাঁহার বিপলে অর্থ ও জায়গীর দেখিয়া সকলে তাঁহাকে সমাদর করিলেন। দিনে দিনে চন্দ্ররাওয়ের যশ বৃদ্ধি পাইতে লাগিল, এমন সময় কুক্ষণে বালক রঘুনাথ তাঁহার উন্নতির পথে আসিয়া পড়িল। জমলাদার অচিরে পথ পরিকার করিয়া লইলেন। ज्रष्प्लेोमश्र ब्रिट्झम 5 लक्रग्रीबाहे স্বামী বনিতার পতি, স্বামী বনিতার গতি, স্বামী বনিতার যে বিধাতা। স্বামী বনিতার ধন, স্বামী বিনা অন্যজন, কেহ নহে সখে মোক্ষদাতা ৷ —মুকুন্দরাম চক্লবত্তী । দ্বাদশ বষ বয়ঃক্রমের সময় রঘুনাথ দসমাবেশী চন্দ্ররাও দ্বারা আক্রান্ত হইয়া রাজস্থান হইতে মহারাষ্ট্ৰ-দেশে নীত হইয়াছিলেন। একদিন রজনীযোগে তিনি পলায়ন করেন, পব্বত-কন্দরে, বনমধ্যে, প্রাস্তরে বা গহন্থের বাটীতে কয়েকদিন লক্কোয়িত থাকেন। সন্দের অনাথ অল্পবয়স্ক বালককে দেখিয়া কেহই মটিভিক্ষা দিতে পরাজমখ হইত না। তাহার পর পাঁচ-ছয় বৎসর রঘুনাথ নানাস্থানে নানা কটে অতিবাহিত করিল। সংসারসরিপে অনন্ত সাগরে অনাথ বালক একাকী ভাসিতে লাগিল। নানা দেশে পয্যটন করিল, মানা লোকের নিকট ভিক্ষা বা দাসত্ববত্তি অবলম্বন করিয়া জীবন যাপন করিল। পবে গৌরবের কথা, পিতার বীরত্ব ও সম্মানের কথা বালকের মনে সব্বদাই জাগরিত হইত, কিন্তু অভিমানী বালক সে কথা, সে দুঃখ কাহাকেও বলিত না। কখন কখন দুঃখভার সহ্য করিতে না পারিলে নঃশব্দে প্রাস্তরে বা পর্বতশৃঙ্গোপরি উপবেশন করিয়া একাকী প্রাণ ভরিয়া রোদন করিত, বয়োবদ্ধির সহিত বংশোচিত ভাব হৃদয়ে যেন আপনিই জাগরিত হইতে লাগিল। অল্পবয়স্ক ভৃত্য গোপনে কখন কখন প্রভুর শিরস্ত্রাণ মস্তকে ধারণ করিত, প্রভুর অসি কোষে ঝলাইত! সন্ধ্যার সময় প্রান্তরে বসিয়া দেশীয় চারণদিগের গান উচ্চৈঃস্বরে গাইত, নৈশ পথিকেরা পর্বতগুহায় সংগ্রামসিংহ বা প্রতাপের,গীত শুনিয়া চমকিত হইত। যখন অন্টাদশ বৎসর বয়স তখন রঘুনাথ শিবজীর কীৰ্ত্তি, শিবজীর উদ্দেশ্য, শিবজীর বীয্যের কথা চিন্তা করিতেন। রাজস্থানের ন্যায় মহারাষ্ট্ৰদেশ স্বাধীন হইবে, শিবজী দক্ষিণ দেশে হিন্দ রাজ্য বিস্তার করবেন, এইরুপ চিন্তা করিতে করিতে বালকের হৃদয় উৎসাহে পণ হইল, তিনি শিবজীর নিকট যাইয়া একটী সামান্য সেনার কায্য প্রার্থনা করিলেন । শিবজী লোক চিনিতে অদ্বিতীয়, কয়েক দিনের মধ্যে রঘুনাথকে চিনিলেন, একটী হাবিলদার পদে নিযুক্ত করিলেন ও তাহার কয়েক দিবস পরে তোরণ দগে পাঠাইলেন। পথে রঘুনাথের সহিত আমাদের প্রথম সাক্ষাৎ হইয়াছিল। তাঁহার প্রকৃত নাম রঘুনাথসিংহ; কিন্তু মহুরাষ্ট্রদেশে হাবিলদারী কায পাওয়া অবধি সকলে তাঁহাকে রঘনাথজী হাবিলদার বলিয়া ১উীকত । 暈 রঘুনাথ হাবিলদারী পদ পাইয়াছিলেন বলা হইয়াছে। রঘুনাথের শিবজীর নিকট আগমনের সময় চন্দ্ররাও জমেলাদারের অধীনে একজন হাবিলদারের মৃত্যু হয়, তাহারই পদ పిపిపి