পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अहाब्राख्ने छौवन-sाझाङ লক্ষীবাইয়ের চার নয়ন, সন্দীঘ কেশভার, কোমল বাহন্ধেয় ও কোমল দেহলতার মক্তোর লাবণ্য আছে, কিন্তু হীরকের উজ্জল কিরণ নাই। একদিন চন্দ্ররাও লক্ষনীকে জানাইয়াছিলেন যে, তোমার ভ্রাতা আমার অধীনে হাবিলদার হইয়াছে ও যশোলাভ করিয়াছে। কথাটী সাঙ্গ হইলে চন্দ্ররাওয়ের ললাট মেঘাচ্ছন্ন হইয়াছিল, তাহা দেখিয়া লক্ষীর মনে সন্দেহ হইয়াছিল। আর একদিন স্বামীর দই-একটী মিস্টবাক্যে প্রোৎসাহিত হইয়া লক্ষয়ী স্বামীর পদযুগলের নিকট বসিয়া বলিলেন,—দাসীর একটী নিবেদন আছে, কিন্তু বলিতে ভয় করে। চন্দ্ররাও শয়ন করিয়া তাম্বলে চন্দ্রবণ করিতেছিলেন,৬নম্নমুখীকে সল্পেহে চুম্বন করিয়া বলিলেন,-কি বল না। তোমার নিকট আমার আদেয় কি আছে ?

  • লক্ষমী বলিলেন,—আমার ভ্রাতা বালক, অজ্ঞান।

চন্দ্ররাওয়ের মুখ গম্ভীর হইল। লক্ষী। সে আপনার ভূত্য, আপনারই অধীন। চন্দ্ররাও । না, সে আমা অপেক্ষাও সাহসী বলিয়া পরিচিত। বৃদ্ধিমতী লক্ষী বুঝিতে পারলেন, তিনি যাহা ভয় করিতেছিলেন তাহাই ঘটিয়াছে, চন্দ্ররাও রঘুনাথের উপর যৎপরোনাস্তি ক্রুদ্ধ! ভয়ে কম্পিত হইয়া বলিলেন,—বালক যদিও দোষ করে, আপনি না মাজ’না করিলে কে করিবে ? চন্দ্ররাওয়ের ললাটে আবার সেই মেঘচ্ছায়া দেখা গেল। লক্ষমী স্বামীকে জানিতেন, সে কথা আর উল্লেখ করিলেন না । তাহার পর চন্দ্ররাও অদ্য প্রথমে বাটী আসিয়াছেন। রঘুনাথের যাহা ঘটিয়াছে লক্ষয়ী তাহা জানেন না, কিন্তু তাহার হৃদয় চিন্তাকুল। তিনি মুখ ফুটিয়া কোন কথা জিজ্ঞাসা করিতে পারেন না, রজনীতে স্বামী নিদ্রিত হইলে ভূতাদিগের নিকট ভ্রাতার সংবাদ লইবেন মনে স্থির করিয়াছিলেন। চন্দ্ররাওয়ের আহার সমাপ্ত হইল, তিনি শয়নাগারে যাইলেন, লক্ষয়ী তাম্বল হস্তে তথায় যাইলেন। দেখিলেন স্বামীর ললাট চিন্তাযুক্ত। লক্ষসী তাম্বল দিয়া ধীরে ধীরে ঘর হইতে বাহিরে যাইলেন, চন্দ্ররাও সতকভাবে দ্বার রদ্ধে করিলেন। ধীরে ধীরে একটী গুপ্তস্থান হইতে চন্দ্ররাও একটী বাক্স বাহির করিলেন, সেটী খলিলেন, একখানি পনস্তক বাহির করিলেন, দেখিতে হিসাবের পস্তেক। প্রায় দশ বৎসর পাবে গজপতি কত্ত্বক যেদিন সভায় অবমানিত হইয়াছিলেন, সেদিন সেই পাস্তকে একটী ঋণের কথা লিখিয়াছিলেন, সেই পাতা খলিলেন, সন্দের পস্ট হস্তাক্ষর সেইরুপ দেদীপ্যমান রহিয়াছে – পরিশোধ........................তাঁহার শোণিতে ; তাঁহার বংশের অবমাননায় ।” একবার, দুইবার এই অক্ষরগুলি পড়িলেন, ঈষৎ হাস্য সেই বিকট মুখমণ্ডলে দেখা দিল, সেই স্থানে লিখিলেন, “অদ্য পরিশোধ হইল।” তারিখ দিয়া পুস্তক বন্ধ করিলেন। দ্বার উদঘাটন করিয়া লক্ষয়ীকে ডাকিলেন, লক্ষয়ী ভক্তিভাবে স্বামীর নিকটে আসিলেন । চন্দ্ররাও লক্ষয়ীর হস্ত ধারণ করিয়া ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন,—অনেক দিনের একটী ঋণ আদ্য পরিশোধ করিয়াছি। লক্ষয়ী শিহরিয়া উঠিলেন। উনবিংশ পরিচ্ছেদ : ঈশানী-মন্দিরে হেরিলা আদরে সরোবর, কলে তার চণ্ডীর দেউল । —মধসঙ্গেন দত্ত । পরাক্রাস্ত জায়গীরদার ও জন্মলাদার চন্দ্ররাওয়ের বাটী হইতে কয়েক ক্রোশ দরে ঈশানীর একটী মন্দির ছিল। অনতিউচ্চ একটী পৰ্বতশৃঙ্গে সেই মন্দির অতি প্রাচীনকালে প্রতিষ্ঠিত 象O>