পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रट्ञश्च ब्रछनाबजनै হইয়াছিল। মন্দির-সম্মখে প্রস্তররাশি সোপানরপে খোদিত ছিল, নীচে একটী পৰ্বততরঙ্গিণী কুল কুল শব্দ করিয়া সেই সোপানের পদ প্রক্ষালন করিয়া বহিয়া ষাইত। পরোকাল হইতে অসংখ্য যাত্রী ও উপাসক এই পণ্যজলে স্নাত হইয়া সোপানারোহণ পবেক ঈশানীর পজা দিত, অদ্য পৰ্যন্তও মন্দিরের গৌরব বা যাত্রসংখ্যা হ্রাস প্রাপ্ত হয় নাই। মন্দিরের পৰ্য্যন্ত সেই বক্ষশ্রেণী ভিন্ন আর কিছুই দেখা যাইত না। দিবাভাগেও সেই বিশাল বক্ষশ্রেণী ঈষৎ অন্ধকার করিত, সেই সন্নিগ্ধ ছায়াতে ঈশানী মন্দিরের পজেক ও ব্রাহ্মণেরা নিজ নিজ কুটীরে বাস করিত। সেই পণ্যময় সন্নিগ্ধ স্থান দেখিলেই বোধ হয় যেন তথায় শাস্তিরস ভিন্ন অন্য কোন ভাবের উদ্রেক হয় নাই, ভারতবষের পবিত্র পুরাণকথা বা বেদমন্ত্র ভিন্ন অন্য কোন শব্দ সেই পরাতন পাদপবন্দ শ্রবণ করে নাই। বহ যুদ্ধ ও আহবে মহারাষ্ট্ৰদেশ ব্যতিব্যস্ত ও বিপৰ্য্যস্ত হইতেছিল, কিন্তু হিন্দ কি মসলমান কেহই এই ক্ষদ্র প্রশান্ত পৰ্বতমন্দির বিগ্রহের রবে কলুষিত করে নাই। রজনী এক প্রহরের সময় একজন পথিক একাকী সেই শাস্ত কাননের মধ্যে বিচরণ করিতেছিলেন। পথিকের হৃদয় উদ্বেগ পরিপণ, প্রশস্ত ললাট কুঞ্চিত, মুখমণ্ডল রক্তবণ", নয়ন হইতে উন্মত্ততার অস্বাভাবিক জ্যোতিঃ নিগত হইতেছিল। রোষে, জিঘাংসায়, বিষাদে, আদ্য রঘুনাথের হৃদয় একেবারে দন্ধ হইতেছিল। অনেকক্ষণ পদচারণ করিতে লাগিলেন, শরীর একেবারে অবসন্ন হইয়াছে, তথাপি হৃদয়ের উদ্বেগ নিবারণ হয় না। রঘুনাথ উন্মত্তপ্রায় ! এ ভীষণ চিন্তার আশু উপশম না হইলে রঘুনাথের বিবেচনাশক্তি বিচলিত বা লুপ্ত হইবে। প্রকৃতি ভীষণ চিকিৎসক ! এই বিষম ংসারে শেলসম যে দুঃখ হৃদয় বিদীণ করে, অগ্নিসম যে চিন্তা শরীর শোষণ ও দাহ করে, যে মানসিক রোগের ঔষধ নাই, চিকিৎসা নাই, প্রকৃতি চিন্তাশক্তি লোপ করিয়া তাহার উপশম করে! উন্মত্ততাই কত শত হতভাগার আরোগ্য ! কত সহস্ৰ হতভাগা এই আরোগ্য দিবানিশি প্রার্থনা করে, কিন্তু প্রাপ্ত হয় না! সেই পাদপের অনতিদরে কতকগুলি ব্রাহ্মণ প্রাণপাঠ করিতেছিলেন। আহা! সেই সঙ্গীতপণ পণ্যকথা যেন শান্ত নিশীথে শাস্ত কাননে অমত বষণ করিতেছিল, নক্ষত্র বিভূষিত নৈশগগনমণ্ডলে ধীরে ধীরে উত্থিত হইতেছিল। সেই পণ্যকথা শান্ত নৈশ কাননে প্রতিধৰনিত হইতে লাগিল, অচেতন পাদপকেও যেন সচেতন করিতে লাগিল। শাখাপত্ৰ যেন সেই গীত কুতাহলে পান করিতে লাগিল। বায় সেই গীত বিস্তার করিতে লাগিল, মানবহৃদয় শাস্তিরসে বিগলিত হইতে লাগিল। কত সহস্ৰ বৎসর হইতে এই পণ্যেকথা ভারতবষে ধৰনিত ও প্রতিধৰনিত হইতেছে। সন্দেম বঙ্গদেশে, তুষারপণ পৰ্বতবেটিত কাশমীরে, বীরপ্রস রাজস্থান ও মহারাষ্ট্র ভূমিতে, সাগর প্রক্ষালিত কণাট ও দ্রাবিড়ে, কত সহস্ৰ বৎসর অবধি এই গীত ধৰনিত হয়, আমরা যেন এ শিক্ষা কখনই বিস্মত না হই । গৌরবের দিনে এই অনন্ত গীত আমাদিগের পবেপরেষেদিগকে প্রোৎসাহিত করিয়াছিল, হস্তিনা, অযোধ্যা, মিথিলা, কাশী, মগধ, উজয়িনী প্রভৃতি দেশ বীরত্বে ও যশে প্লাবিত করিয়াছিল। দুদিনে এই গীত গাইয়া সমরসিংহ, সংগ্রামসিংহ, প্রতাপসিংহ ধন্মরক্ষাথ হৃদয়ের শোণিত দিয়াছিলেন, এই মহামন্ত্রে মন্ধে হইয়া শিবজী পুনরায় পরাকালের গৌরব প্রতিষ্ঠিত করিতে যত্ন করিয়াছিলেন। অদ্য ক্ষীণ দাবল হিন্দুদিগের আশ্বাসের স্থল এই পাব গীত মাত্র, যেন বিপদে, বিষাদে, দন্বেলতায় আমরা পন্বেকথা বিস্মত না হই, যতদিন জাতীয় জীবন থাকে, যেন হৃদয়-যন্ত্র এই গীতের সঙ্গে সঙ্গে ধর্মনিত হইতে থাকে। নব্য পাঠক ! তুমি ইলিয়দ ও ইনিয়দ পাঠ করিয়াছ, দান্তে ও সেক্সপীয়র, গেতে ও হিউগো পাঠ করিয়াছ, সাদী ও ফরদাসী পাঠ করিয়াছ, কিন্তু হৃদয় অন্বেষণ কর, হৃদয়ের অন্তরে কোন কথাগুলি সরসভাবপণ বোধ হয় ? হৃদয় কোন কথায় অধিকতর আলোড়িত, প্রোৎসাহিত B BBB BBBS BBBBB BBBB BBBSBBS DBBBB BBB BBBB BBBBB হিন্দ মাত্রেরই হৃদয়ের স্তরে স্তরে গ্রথিত রহিয়াছে, এ কথা যেন হিন্দজাতি কখনও বিস্মত না হয় ! পাঠক ! একত্র বসিয়া এক একবার দেশীয় গৌরবের কথা গাইব, আধুনিক ও প্রাচীন ఫిOఫి