পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

महाब्राष्ट्ठे खौबन-अखाड রটে হইলেন, কিন্তু রোষ গোপন করিয়া দিল্লী হইতে প্রস্থানের উপায় চিন্তা করিতে লাগিলেন । - শিবজীর চিরবিশ্বন্ত মন্ত্রী রঘুনাথপন্থ ন্যায়শাস্ত্রী সর্বদা শিবজীর সহিত এই বিষয় আলোচনা করিতেন ও নানারপে উপায় উদ্ভাবন করিতেন। অনেক যুক্তি করিয়া উভয়ে স্থির করিলেন যে প্রথমে দেশপ্রত্যাগমনের জন্য সমাটের নিকট অনুমতি প্রার্থনা করা বিধেয়, অনুমতি না দিলে অন্য উপায় উদ্ভাবন করা যাইবে। ন্যায়শাস্ত্রী পণ্ডিতপ্রবর ও বাকপটতায় অগ্রগণ্য, তিনি শিবজীর আবেদন রাজসদনে লইয়া BBBB BBB BBBB BBBBu BB BB BBB u DDDD DDDDDBBS তাহা বিস্তারিতরাপে লিখিত হইল। শিবজী মোগল-সৈন্যের সহায়তা করিয়া যে যে কাৰ্য্যসাধন করিয়াছিলেন, আরংজীব যে যে বিষয় অঙ্গীকার করিয়া শিবজীকে দিল্লীতে আহবান করিয়াছিলেন, তাহাও পল্টাক্ষরে দশিত হইল। তাহার পর শিবজী প্রার্থনা করিলেন যে,— আমি যে কাৰ্য্যসাধন করিতে অঙ্গীকার করিয়াছি, তাহা এখনও সাধন করিতে প্রস্তুত আছি, বিজয়পুর ও গলখন্দ-রাজ্য সম্রাটের অধীনে আনিতে যতদর সাধ্য সাহায্য করিব। অথবা যদি সম্রাট আমার সহায়তা গ্রহণ না করেন, অনুমতি দিলে আমি নিজের জায়গীরে প্রত্যাবত্তন করি, কেন না, হিন্দুস্থানের জলবায় আমার পক্ষে, আমার সঙ্গিগণ ও আমার সৈন্যগণের পক্ষে যৎপরোনাস্তি অস্বাস্থ্যকর, এদেশে আমাদের থাকা সম্ভব নহে। রঘুনাথ ন্যায়শাস্ত্রী এইরুপ আবেদনপত্র সম্রাট সদনে উপস্থিত করিলেন। সমাট উত্তর পাঠাইলেন, সে উত্তরে নানা কথা লিখা আছে, কিন্তু শিবজীর প্রত্যাবত্তনের অনুমতি নাই। শিবজী পল্ট বুঝিলেন তাঁহাকে চিরবন্দী করাই সমাটের একমাত্র উদ্দেশ্য। তখন দিন দিন পলায়নের উপায় চিন্তা করিতে লাগিলেন। উপরি উক্ত ঘটনার কয়েকদিন পর একদিন সন্ধ্যার সময় শিবজী গবাক্ষপাশ্বে চিন্তিতভাবে উপবেশন করিয়া আছেন। সয্যে অস্ত গিয়াছে, কিন্তু এখনও অন্ধকার হয় নাই, রাজপথ দিয়া লোকের স্রোত এখনও অবিরত বহিয়া যাইতেছে। কত দেশের লোক কতরপ পরিচ্ছদে কত কায্যে এই রাজধানীতে আসিয়াছে! কখন কখন দুই একজন শ্বেতাঙ্গ মোগল সদপে চলিয়, যাইতেছে, অপেক্ষাকৃত কৃষ্ণবর্ণ শত শত দেশীয় হিন্দ বা মসলমান সব্বদাই ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিতেছে এবং দুই একজন কৃষ্ণবর্ণ কাফ্রীও কখন কখন দেখা যাইতেছে। পারশ্য আরব, তাতার ও তুরস্ক দেশ হইতে বণিক বা মসোফের এই সমদ্ধ নগরীতে গমনাগমন করিতেছে, মুসলমান বা হিন্দ সেনাপতি, রাজা বা মনসবদার বহলোক সমন্বিত হইয়া মহা সমারোহে হস্তী বা অশ্ব বা শিবিকায় আরোহণ করিয়া যাইতেছে। সৈনিক পরষগণ হাস্যকৌতুক করিতে করিতে পথ অতিবাহন করিতেছে, বিক্রেতৃগণ আপন আপন পণ্যদ্রব্য মস্তকে লইয়া চীৎকার করিয়া যাইতেছে, এতস্তিন্ন অন্যান্য সহস্ৰ লোক সহস্র কাষ্যে জলের স্রোতের ন্যায় যাতায়াত করিতেছে। ক্রমে এই জনস্রোত হাস পাইতে লাগিল। দিল্লীর অসংখ্য দোকানদার আপন আপন দোকান বন্ধ করিতে লাগিল। নগরের অনস্ত কলরব ক্রমে ক্রমে থামিয়া গেল, দই একটী বাটীর গবাক্ষভিতর হইতে দীপশিখা দেখা যাইতে লাগিল, দীরস্থ অট্টালিকাগুলি ক্রমে অন্ধকারে আবাত হইতে লাগিল। আকাশে দুই একটী তারা দেখা দিল, পশ্চিমদিকে রক্তিমচ্ছটা আর নাই। শিবজী পাবদিকে চাহিলেন, দেখিলেন, শান্ত বিস্তীণ দিগন্তপ্রবাহিণী যমনানদী সায়ংকালের নিস্তব্ধতায় অনন্ত সাগরাভিমুখে বহিয়া যাইতেছে! সেই নিস্তব্ধতার মধ্যে জমা মসজীদ হইতে আজানের পবিত্র শব্দ উত্থিত হইল, যেন সে গম্ভীর শব্দ ধীরে ধীরে চারিদিকে বিস্তীণ হইতে লাগিল, যেন ধীরে ধীরে মানবের মন আকর্ষণ করিয়া গগনে উত্থিত হইতে লাগিল! শিবজী মহত্তের জন্য স্তন্ধ হইয়া সেই সায়ংকালীন সদরে-উচ্চারিত গম্ভীর শব্দ শ্রবণ করিতে লাগিলেন। অন্ধকারে পনরায় চাহিলেন, কেবল জন্মা মসজীদের শ্বেতপ্রস্তর-বিনিমিত গম্বুজগুলি সনেীল আকাশপটে অপস্ট দেখা যাইতেছে, কেবল প্রাসাদের, রক্তবর্ণ উন্নত, প্রাচীর দরে পশ্বতশ্রেণীর মত দন্ট হইতেছে। এতস্তিন্ন সমস্ত নগরী অন্ধকারে আচ্ছাদিত, নৈশ নিস্তব্ধতায় স্তন্ধ । রজনী গভীর হইল, কিন্তু শিবজাঁর চিস্তাসত্রে এখনও ছিন্ন হইল না, কেন না অদ্য পাব

  • >q