পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

j अझाब्रान्छे झीवन-धकाउछ আপনার সঙ্গে থাকা ভিন্ন আমার আর অন্য অভিলাষ নাই। কিন্তু আমার ব্ৰত অলঙ্ঘনীয়, ব্রুদ্ধসাধনের জন্য নানা স্থানে নানা কায্যে যাইতে হয়, এখানে অবস্থিতি অসম্ভব। শিবজী ! এ কি অসাধারণ ব্রত জানি না, সীতাপতি ! এ কি কঠোর ব্রত ধারণ করিয়াছেন ? সীতাপতি। সমস্ত এক্ষণে কিরাপে বিস্তার করিয়া বলিব, সাধনের একটী অঙ্গ এই যে, দিবসে রাজদশন নিষিদ্ধ । শিবাজী। ভাল, এ রত কি উদ্দেশ্যে ধারণ করিয়াছেন ? ক্ষণেক চিন্তা করিয়া সীতাপতি বলিলেন,—আমার ললাটে একটী অমঙ্গল লিখিত আছে, আমার ইস্টদেবতা, যাঁহাকে আমি বাল্যকাল হইতে পজা করিয়াছি, যাঁহার নাম জপ করিয়া জীবন ধারণ করিয়াছি, বিধির নিবন্ধে তিনি আমার উপর বিমাখ। সেই অমঙ্গল খণ্ডনাথ* ব্ৰত ধারণ করিয়াছি। শিবজী। এ অমঙ্গল কে গণনা করিয়া আপনাকে জানাইল ? কেই বা আপনাকে অমঙ্গল খন্ডনাথ এ বিষম রত ধারণ করিতে বলিল ? সীতাপতি। কাৰ্য্যবশতঃ আমি স্বয়ংই এটী জানিতে পারিলাম, ঈশানী-মন্দিরে একজন আমাকে এই ব্ৰত ধারণ করিবার আদেশ করিয়াছেন। যদি সফল হই, সমস্ত আপনার নিকট নিবেদন করিব, যদি অকৃতাৰ্থ হই, তবে এ অকিঞ্চিৎকর জীবন ত্যাগ করিব। ষাঁহার পজোথ* জীবন ধারণ করিতেছি, তিনি বিমুখ হইলে এ জীবনে আবশ্যক কি ? শিবজী। সীতাপতি ! যাহা বলিলেন যথার্থ। যাঁহার জন্য প্রাণপণ করি, যাঁহার জন্য আত্মসমপণ করি, তাঁহার অসন্তোষ অপেক্ষা জগতে মৰ্ম্মভেদী দুঃখ আর নাই । সীতাপতি। প্রভু! আপনি কি এ যাতনা কখন ভোগ করিয়াছেন ? শিবজী। জগদীশ্বর আমাকে মাজ’না করন, আমি একজন নিন্দোষী বীরপরষকে এই যাতনা দিয়াছি। সে বালকের কথা মনে হইলে এখনও আমার সময়ে সময়ে হৃদয়ে বেদনা হয় । সীতাপতি । সে হতভাগার নাম কি ? শিবজী বলিলেন,—রঘুনাথজী হাবিলদার ! ঘরের দীপ সহসা নিব্বাণ হইল। শিবজী প্রদীপ জালিবার উদযোগ করিতেছিলেন, এমন সময় সীতাপতি বলিলেন,—দীপ অনাবশ্যক, বলন, শ্রবণ করিতেছি। শিবজী। আর কি বলিব ! তিন বৎসর অতীত হইয়াছে, সেই বালকবেশী বীরপরষে আমার নিকট আইসে ও সৈনিকের কাযে প্রবত্ত হয়। তাহার বদনমণ্ডল উদার, সীতাপতি ! আপনারই ন্যায় তাহার উন্নত ললাট ও উজ্জল নয়ন ছিল । বালকের বয়স আপনা অপেক্ষা অলপ। আপনার ন্যায় তাহার বৃদ্ধির প্রখরতা ছিল না, কিন্তু সেই উন্নত হৃদয়ে আপনার ন্যায়ই দন্দমনীয় বীরত্ব ও সাহস সব্বদা বিরাজ করিত! আপনার বলিষ্ঠ উন্নত দেহ যখন দেখি, আপনার পরিকার কন্ঠস্বর যখন শনি, আপনার বীরোচিত বিক্রম যখন আলোচনা করি, সেই বালকের কথা সব্বদাই হৃদয়ে জাগরিত হয়। সীতাপতি। তাহার পর ? শিবজী। সেই বালককে যেদিন প্রথম দেখিলাম, সেই দিন প্রকৃত বীর বলিয়া চিনিলাম, সেইদিন আমার নিজের একখানি অসি তাহাকে দান করিলাম, রঘুনাথ সে অসির অবমাননা করে নাই। বিপদের সময় সব্বদা আমার ছায়ার ন্যায় আমার নিকটে থাকিত, যুদ্ধের সময় দদািমনীয় তেজে শক্ররেখা ভেদ করিয়া অগ্রসর হইত। এখনও বোধ হয় তাহার সেই বীর আকৃতি, সেই গুচ্ছ গুচ্ছ কৃষ্ণ কেশ, সেই উজ্জল নয়ন আমি দেখিতে পাইতেছি! সীতাপতি। তাহার পর ? শিবজী। সেই বালক এক যুদ্ধে আমার জীবন রক্ষা করিয়াছিল, অন্য এক যুদ্ধে তাহারই বিক্রমে দগ'জয় হইয়াছিল, অনেক যুদ্ধে সে আপন অসাধারণ পরাক্রম প্রকাশ করিয়াছিল! সীতাপতি। তাহার পর ? শিবজী। আর জিজ্ঞাসা করেন কি জন্য ? আমি একদিন .মে পতিত হইয়া সেই চিরবিশ্বাসী অনাচরকে অবমাননা করিয়া কাৰ্য্য হইতে দরে করিয়া দিলাম। শেষ পৰ্য্যন্তও ミミ>