পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रङ्ाब्रान्छे छौवन-टास्त्राज्र উদ্দেশ্য বকিতে পারিলেন, বকিয়া, রোধে গজিরা উঠিলেন। দ্রুত পদবিক্ষেপে সেই গহে క్డౌ লিঙ্গ বাহির হইতেছে। অনেকক্ষণ পর অন্ধমফট করে বলিলেন,-আরংজীব! শিবজীকে এখনও জান না, চতুরতায় আপনাকে অদ্বিতীয় মনে কর, কিন্তু শিবজীও সে বিদ্যায় বালক নহে। ༔ :་ একদি i পরি:ে क्षि করিব, সেদিন अग्रिक Iाठा হইতে হিন্দুস্থান পয fস্ত সমরাগ্নি প্রজবলিত

  1. , " অনেকক্ষণ চিন্তা করিয়া শিবজী বিশ্বস্ত মন্ত্রী রঘুনাথপন্থকে ডাকাইলেন। প্রাচীন ন্যায়শাস্ত্রী উপস্থিত হইলেন, নিঃশব্দে সম্মুখে উপবেশন করিলেন। শিবজী বলিলেন,— পণ্ডিতপ্রবর! আপনি আরংজীবের খেলা দেখিতেছেন, এই খেলা আমাদেরও খেলিতে হইবে, ஃே: রজনীতে সংবাদ পাইয়াছিলাম ! অনুচরবগকে প্রবে: ণ না আমার আত্মপরিত্রাণের ইচ্ছা নাই, সেই বিষয়ে আপনার উপদেশ কি ?

ন্যায়শাস্ত্রী অনেকক্ষণ চিন্তা করিয়া বলিলেন,—আপনার অনচেরদিগের সবদেশগমনের জন্য সম্রাটের নিকট অনুমতি প্রাথনা করন। এক্ষণে আপনাকে বন্দী করিয়াছেন, আপনার অনচেরসংখ্যা যত হ্রাস হয় তাহাতে সমাট আহমাদিত ভিন্ন দুঃখিত হইবেন না। আমি বিবেচনা করি, -অনুমতি চাহিলেই পাইবেন। শিবজী। মন্ত্রিবর, আপনার পরামশাই শ্রেয়ঃ, আমারও বোধ হয় ধত্তে আরংজীব এ বিষয়ে আপত্তি করিবে না। সেই মন্মে একখানি আবেদনপত্র প্রস্তুত হইল। শিবজী যাহা মনে করিয়াছিলেন, তাহাই তাহাদিগের যাইবার জন্য এক একখানি অনুমতিপত্র দান করিলেন। শিবজী কয়েকদিন মধ্যে সেই সমস্ত অনুমতিপত্র প্রাপ্ত হইলেন। মনে মনে বলিলেন,-মািখ ! শিবজীকে বন্দী রাখিবে ? এখন একজন অনুচরের বেশ ধরিয়া ইহার মধ্যে একখানি অনুমতিপত্র লইয়া দিল্লী ত্যাগ করিলে কি করিতে পার? যাহা হউক, অনুচরবগ এখন নিরাপদে যাউক, শিবজী আপনার জন্য উপায় উস্তাবন করিতে সক্ষম। পাঠক ! যিনি অসাধারণ চতুরতা, বৃদ্ধি-কৌশল ও রণনৈপণ্যে ভ্রাতৃগণকে পরাস্ত করিয়া, বদ্ধ পিতাকে বন্দী করিয়া, দিল্লীর ময়র-সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন, যিনি কাশমীর হইতে বঙ্গদেশ পৰ্য্যন্ত সমস্ত আৰ্য্যাবত্তের অধিপতি হইয়াও পুনরার দাক্ষিণাত্যদেশ জয় পবেক সমগ্র ভারতের একাধীশ্বর হইবার মহাসঙ্কল্প করিয়াছিলেন, যিনি অসামান্য চতুরতা দ্বারা মহাবীর সচেতুর শিবজীকেও বন্দী করিয়াছিলেন, চল একবার সেই কপটাচারী অদরদশী আরংজীবের প্রাসাদাভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়া তাঁহার মনের ভাবগুলি নিরীক্ষণ করি। রাজকায্য সমাধা হইয়াছে, আরংজীব “গোসলখানা” নামক একটী ঘরে উপবেশন করিয়া আছেন। সেটী মন্ত্রীদিগের সহিত গুপ্ত পরামশের স্থল, কিন্তু অদ্য আরংজীব একাকী বসিয়া চিন্তা করিতেছেন। কখন তাঁহার ললাটে গভীর চিন্তার রেখা দেখা যাইতেছে, কখন বা উক্তজবল নয়নে রোষ বা অভিমান বা দঢ়প্রতিজ্ঞার লক্ষণ দুষ্ট হইতেছে, কখন বা মন্ত্রণাসফলতা-জনিত সন্তোষে তাঁহার ওঠ-প্রান্ত হাস্যরেখায় অঙ্কিত হইতেছে। সম্রাট কি করিতেছেন ? আপন বদ্ধিবলে সমস্ত হিন্দুস্থানের একাধীশ্বর হইয়াছেন, সেই কথা স্মরণ করিতেছেন? হিন্দুধর্মের আরও অবমাননা অথবা রাজপত বা মহারাষ্ট্ৰীয়দিগকে আরও পদদলিত করিবার সঙ্কল্প করিতেছেন ? শিবজাঁকে বন্দী করিয়া মনে মনে উল্লাসিত হইতেছেন ? জানি না সম্রাটের কি চিন্তা, তাঁহার সভার মধ্যে, ভারতবষের মধ্যে কোনও মন্ত্রীকে সন্দিন্ধমনা আরংজীব কখন সম্পণে বিশ্বাস করিতেন না, মনের ভাব বলিতেন না। নিজের বৃদ্ধিপ্রাখয্যে সকলকে পত্তেলিকার ন্যায় চলাইবেন, সমগ্র দেশ সন্দের শাসন করবেন, আরংজীবের এই উদ্দেশ্য। বাসুকি যেরপে নিজের মস্তকে এই জগৎ ধারণ করিতেছেন. বিশ্রাম চাহেন না, কাহারও সহায়তা চাহেন না, , আরংজীব নিজের অসাধারণ মানসিক বলে সাম্রাজ্যের শাসনকাৰ্য্য একাকী বহন করিবার মানস করিয়াছিলেন, কাহারও পরামর্শ চাহিতেছেন না। অনেকক্ষণ উপবেশন করিয়াছিলেন, এরপে সময় একজন সৈনিক তসলীম করিয়া বলিল,— ミ次や