পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रट्ञश्व ब्रध्नाबलाँ তোমার নিকট শিবজী শত অপরাধে অপরাধী, কিন্তু এই মহৎ আচরণে আমাকে যথেস্ট দণ্ড দিয়াছ। তোমাকে সন্দেহ করিয়াছিলাম, তোমাকে অবমাননা করিয়াছিলাম, সমরণ করিয়া হৃদয় বিদীণ হইতেছে। শিবজী যতদিন জীবিত থাকিবে তোমার গণ বিস্মত হইবে না, প্রণয় ও যত্নে যদি সে মহৎ ঋণ পরিশোধ করা যায়, তবে পরিশোধ করিবার চেস্টা করিবে। শান্ত নিস্তন্ধ রজনীতে উভয়ে পরস্পরের আলিঙ্গনসখে বিমন্ধে হইলেন। রঘুনাথের ব্রত অদ্য শেষ হইল, শিবজীর হৃদয়বেদনা অদ্য দরে হইল, বালকের ন্যায় উভয়ে অজস্র অশ্র বর্ষণ করিতে লাগিলেন। উনত্রিংশ পরিচ্ছেদ ঃ প্রাসাদে কি দারণ বকের ব্যথা। সে দেশে যাইব যে দেশে না শুনি পাপ পিাঁরতের কথা । সই ! কে বলে পিরিতি ভাল । হাসিতে হাসিতে পিরিতি করিয়া কাঁদিয়া জনম গেল ॥ কুলবতী হইয়া কুলে দাঁড়াইয়া যে ধনী পিরিতি করে। তুষের অনল যেন সাজাইয়া এমতি পড়িয়া মরে ॥ হায় বিনোদিনী, এ দুঃখে দুঃখিনী প্রেমে ছল-ছল আখি । চডিদাস কহে, সে গতি হইয়া, পরাণ সংশয় দেখি ॥ —চন্ডীদাস । নিশীথে সীতাপতি গোস্বামীর নিকট বিদায় লইয়া রাজপতবালা গহে আসিলেন, কিন্তু গহে আসিয়া সরয দেখিলেন হৃদয় শন্য! যে সবদেশীয় ষোদ্ধাকে প্রথম দশন করিয়াই সরয়া চকিত ও আনন্দিত হইয়াছিলেন, যাঁহাকে কয়েকমাস অবধি সরয হৃদয়েশ্বর বলিয়া বরণ করিয়াছিলেন, যাঁহাকে বদ্ধ জনান্দন বিবাহের বাক্যদান করিয়াছিলেন, সে রঘুনাথের আদর্শনে আজি সরযর হৃদয় শুন্য! সে দিন গেল, সপ্তাহ গত হইল, মাস অতিবাহিত হইল, সরয হৃদয়ের ধন আর ফিরিয়া পাইলেন না। অন্ধকার নিশীথে কখন কখন বালিকা একাকী গবাক্ষপাশ্বে উপবেশন করিয়া সন্ধ্যা হইতে দ্বিপ্রহর পর্য্যস্ত, দ্বিপ্রহর হইতে প্রাতঃকাল পৰ্য্যন্ত চিন্তা করিতেন। দিবসে প্রাতঃকাল হইতে সন্ধ্যা পয্যন্ত নীরবে সেই গবাক্ষ দিয়া পথপানে চাহিয়া থাকিতেন, সে পথ দিয়া রঘুনাথ আর আসিলেন না! কখন বা অপরাহুে একাকী সরষ আম্রকাননে ভ্রমণ করিতেন, ভ্রমণ করিতে করিতে কত কথা হৃদয়ে জাগরিত হইত ! তোরণ দগের কথা, কণঠমালার কথা, রায়গড়ে আগমনের কথা, বিদায়ের কথা। নীরবে সরযর গণ্ডস্থল দিয়া এক এক বিন্দ আশ্রম বহিত। কখন কখন রজনীতে সহসা হৃদয়ের দ্বার উদঘাটিত হইত, ভাদ্রমাসের নদীর ন্যায় শোক পারাবার উথলিয়া উঠিত। তখন কেহ দেখিবার নাই, সরযর প্রাণ ভরিয়া কাঁদিতেন, শ্রাবণ মাসের ধারার ন্যায় নয়ন হইতে অজস্র বারিধারা বহিতে থাকিত। রজনী প্রভাত হইত, প্রাতঃকালের রক্তিমাচ্ছটা পবেদিকে দেখা দিত। বালিকা তখনও শোকে বিবশা হইয়া লাণ্ঠিত থাকিত। প্রাতঃকালে পাপচয়ন করিতে উদ্যানে যাইতেন, প্রফুল্ল পক্ষপগুলি একে একে চয়ন করিতেন, হৃদয়ে স্থাপন করিতেন, আর কি, চিন্তা করিতেন কে বাবে ? চিন্তা করিতে করিতে পনেরায় পাপের দিকে চাহিতেন, পাচপদলগত প্রাতঃ-শিশির-বিন্দর সহিত দই একটী পরিকার স্বচ্ছ অশ্রুবিন্দ মিশাইয়। যাইত। সায়ংকালে বীণা হস্তে করিয়া কখন কখন গীত গাইতেন, 窓○8