পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

प्रशाब्राष्घै छौवन-टाकाऊ छब्रच्छिरण नब्रिटऋन * श्रशब्राच् छौबन-धष्ठाङ స్గో চতুরঙ্গে রণরঙ্গে এ জবালা— এ বিষম জবালা যদি পারি রে ভুলিতে। —মধসদন দত্ত । রজনী একপ্রহর মাত্র আছে, এরপে সময়ে শিবজী রাজপত-শিবির ত্যাগ করিলেন। প্রাতঃকালের পন্বেই প্রধান প্রধান সেনানী ও অমাত্যদিগকে একর করিলেন, ক্ষণেক পরামর্শ করিলেন, পরে শিবিরের বাহিরে আসিয়া আপনার সমস্ত সৈন্য আহবান করিয়া বলিলেন, “বন্ধনগণ! প্রায় এক বৎসর হইল, আমরা আরংজীবের সহিত সন্ধিস্থাপন করিয়াছিলাম, আরংজীবের নিজের দোষে ও কপটাচারিতায় সে সন্ধি খণ্ডন হইয়াছে। অদ্য আমরা সে কপট আচরণের প্রতিশোধ দিব, মসলমানদিগের সহিত পুনরায় যুদ্ধ করিব। “যিনি আরংজীবের প্রধান সেনাপতি ছিলেন, ঈশানীদেবী ষাঁহার সহিত যুদ্ধ নিষেধ রাজা জয়সিংহ আরংজীবের অসদাচরণে প্রাণ বিসঙ্গজনি করিয়াছেন। সৈন্যগণ! দিল্লীতে আমার কারারোধ, হিন্দুপ্রবর জয়সিংহের মৃত্যু, এ সমস্ত এক্ষণে আমরা পরিশোধ করিব। “মন্ত্যুশয্যায় রাজা জয়সিংহের দিব্যচক্ষ উন্মীলিত হইয়াছিল, তিনি দেখিলেন, মোগলদিগের ভাগ্যনক্ষত্র অবনতিশীল, মহারাষ্ট্রদিগের ভাগ্যনক্ষত্র উন্নতিশীল, দিল্লীর সিংহাসন ত্বরায় শন্য ! বন্ধনুগণ অগ্রসর হও, পাথরোয়ের সিংহাসন আমরা অধিকার করিব। “পাবদিকে রক্তিমাচ্ছটা দেখিতে পাইতেছ, ও প্রভাতের রক্তিমাচ্ছটা। কিন্তু উহা আমাদের পক্ষে সামান্য প্রভাত নহে; মহারাষ্ট্ৰগণ ! অদ্য আমাদের জীবন-প্রভাত।” সমস্ত সেনানী ও সৈন্যগণ এই মহৎ বাক্য শুনিয়া গজিয়া উঠিল,—অদ্য আমাদের ক্তীবন-প্রভাত। क्लफूञ्चि९ञ्च 'ब्रिटझ्म : बिघ्राब्र পাতকের প্রায়শিচত্ত হইল উচিত। —কাশীরাম দাস । সেই দিবস সন্ধ্যার সময় রঘুনাথ একাকী নদীতীরে পদচারণ করিতেছিলেন। আপনার স্বাধীনতা, এরপ নতেন নতন বিষয়ের চিন্তায় তাঁহার হৃদয় উৎফুল্ল হইতেছিল। সহসা পশ্চাৎ হইতে একজন ডাকিলেন,—রঘুনাথ ! রঘুনাথ পশ্চাদিকে চাহিয়া দেখিলেন, চন্দ্ররাও জমেলাদার। রোষে তাঁহার শরীর নাও বাদল-নাথ! এ লতে তোমার ও আমার উজর হন নাই এজন মীরব । রঘুনাথ রোষ সম্বরণ করিয়া ধীরস্বরে বলিলেন,–চন্দ্ররাও ! কপটাচারী মিত্ৰহস্তা চন্দ্ররাও ! তোমার উপযুক্ত শাস্তি শিরশেছদন, কিন্তু রঘুনাথ তোমাকে ক্ষমা করিলেন, জগদীশ্বরের নিকট ক্ষমা প্রাথনা কর । চন্দ্ররাও । বালকের ক্ষমা গ্রহণ করা আমার অভ্যাস নাই । তোমার আর অধিক জীবিত থাকিবার সময় নাই, মন দিয়া আমার কথাগুলি শন। জন্ম অবধি তুমি আমার পরম শত্র, আমি তোমার পরম শত্র। বাল্যকালে তোমাকে আমি বিষচক্ষতে দেখিতাম, সহস্রবার প্রস্তরের উপর তোমার মস্তক আঘাত করিবার সঙ্কল্প মনে উদয় হইয়াছে। তাহা করি নাই, কিন্তু তোমার বিষয় নাশ করিয়াছি, তোমাকে দেশত্যাগী করিয়াছি, তোমাকে বিদ্রোহী বলিয়া অপমানিত ও দরীকৃত করিয়াছি ! চন্দ্ররাওয়ের ভীষণ জিঘাংসা তাহাতে কিয়ৎপরিমাণে শান্ত হইয়াছিল। R8ළු