পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रzञश्व ब्रछनाबलौ সুফুল আল ভাল মাস লস অফ কাল লি মল তা সঙ্গিনী | রঘনাথের মস্তকে বজ্রাঘাত হইল। তখন তিনি লক্ষীর ভাব-পরিবত্তানের কারণ বুঝিতে পারিলেন, লক্ষীর শান্ত ভাবের হেতু বুঝিতে পারিলেন। লক্ষয়ী সহমরণে স্থিরসঙ্কল্প হইয়াছেন। তখন রঘুনাথ অনেকক্ষণ অবধি লক্ষনীর প্রতিজ্ঞাভঙ্গের চেষ্টা করিলেন, অনেক বুঝাইলেন, অনেক ক্ৰন্দন করিলেন, এক প্রহর রজনী পয্যন্ত লক্ষীর সহিত তক করিলেন। ধীর শাস্ত একই উত্তর,–হৃদয়েশ্বর আমাকে বড় ভালবাসিতেন, আমি তাঁহাকে ছাড়িয়া থাকিতে ठा । অবশেষে রঘুনাথ সজলনয়নে বলিলেন,-লক্ষী, একদিন আমার জীবন নৈরাশ্যে পর্ণ হইয়াছিল, আমি জীবন ত্যাগের সঙ্কপে করিয়াছিলাম। ভগিনি, তোমার প্রবোধে, তোমার স্নেহময় কথায় সে সঙ্কল্প ছাড়িলাম, পুনরায় কাৰ্য্যজগতে প্রবেশ করিলাম। লক্ষী, তুমি কি ভ্রাতার কথা রাখিবে না ? তুমি কি ভ্রাতাকে ভালবাস না ? লক্ষী পত্ৰবাবৎ শান্তভাবে উত্তর করিলেন,—ভাই, সে কথা আমি বিস্মত হই নাই, তুমি লক্ষয়ীকে ভালবাস, লক্ষীর কথা শুনিয়াছিলে, তাহা বিস্মত হই নাই। কিন্তু ভাবিয়া দেখ, পরুষের অনেক আশা, অনেক উদ্যম, অনেক অবলম্ববন, একটী যাইলে অন্যটী থাকে, একটী চেষ্টা নিচফল হইলে দ্বিতীয়টী সফল হয়। ভাই, তুমি সেদিন ভগিনীর কথাটী রাখিয়াছিলে, অদ্য তোমার কলঙ্ক দ্রীভূত হইয়াছে, ক্ষমতা বৃদ্ধি হইয়াছে, সযশ দেশদেশান্তরে বিস্তত হইয়াছে। কিন্তু অভাগিনী নারীর কি আছে ? অদ্য আমি যে নয়নের মণিটী হারাইয়াছি তাহা কি জীবনে আর পাইব ? যে মহাত্মা দাসীকে এত ভালবাসিতেন, এত অনুগ্রহ করিতেন, জীবিত থাকিলে তাঁহাকে কি আর পাইব ? ভাই! তুমি লক্ষয়ীকে বাল্যকাল হইতে বড় ভালবাসিয়াছ, অদ্য সদয় হও। লক্ষীর একমাত্র সখের পথে কণ্টক হইও না, যিনি দাসীকে এত ভালবাসতেন তাঁহার সহিত যাইতে দাও ! রঘুনাথ নিরস্ত হইলেন, স্নেহময়ী ভগিনীর অঞ্চলে মুখ লুকাইয়া বালকের ন্যায় ঝর ঝর আশ্রম বর্ষণ করিতে লাগিলেন। এ অসার কপট সংসারে ভ্রাতা ভগিনীর অখণ্ডনীয় প্রণয়ের ন্যায় পবিত্র স্নিগ্ধ প্রণয় আর কি আছে : স্নেহময়ী ভগিনীর ন্যায় অমল্য রত্ন এ বিস্তীর্ণ জগতে আর কোথায় যাইলে পাইব ? রজনী দ্বিপ্রহরের সময় চিতা প্রস্তুত হইল। চন্দ্ররাওয়ের শব তাহার উপর স্থাপিত হইল। হাস্যবদনা লক্ষয়ী সন্দের পট্টবস্ত্র ও অলঙ্কারাদি পরিধান করিয়া একে একে সকলের নিকট বিদায় লইলেন । লক্ষয়ী চিতাপাশ্বে আসিলেন, দাসীদিগকে অলঙ্কার, রত্ন, মুক্তা বিতরণ করিতে লাগিলেন, স্বহস্তে তাহাদিগের নয়নের জল মোচন করিয়া মধরে বাক্যে সান্তুনা করিতে লাগিলেন। জ্ঞাতি কুটুম্বিনীদিগের নিকট বিদায় লইলেন, গরদিগের পদধলি লইলেন। সকলের নয়নের জল অঞ্চল দিয়া মুছাইয়া দিলেন, মধ্যময় বাক্য দ্বারা সকলকে প্রবোধ দিলেন। শেষে লক্ষয়ী রঘুনাথের নিকট আসিলেন, বলিলেন-ভাই ! বাল্যকাল অবধি তোমার লক্ষয়ীকে বড় ভালবাসিতে, আদ্য লক্ষয়ী ভাগ্যবতী, অদ্য চিরসখিনী হইবে, একবার ভালবাসার কাজ কর, সস্নেহে কনিষ্ঠ ভগিনীকে বিদায় দাও, তোমার লক্ষয়ীকে বিদায় ロfs l রঘুনাথ আর সহ্য করিতে পারিলেন না, লক্ষীর দটী হাত ধরিয়া বালকের ন্যায় উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিয়া উঠিলেন । লক্ষীরও চক্ষনতে জল আসিল! সস্নেহে ভ্রাতার চক্ষর জল মছাইয়া লক্ষী বলিতে লাগিলেন--ছি ভাই, শুভকাষে চক্ষর জল ফেল কি জন্য ? পিতার ন্যায় তোমার সাহস, পিতার ন্যায় তোমার মহৎ অস্তঃকরণ, জগদীশ্বর তোমার আরও সমান বদ্ধি করিবেন, জগৎ তোমার যশে পণ্য হইবে । লক্ষীর শেষ বাসনা এই, জগদীশ্বর ষেন রঘুনাথকে সখে রাখেন ! ভাই, বিদায় দাও, দাসীর জন্য স্বামী অপেক্ষা করিতেছেন। কাতরস্বরে রঘুনাথ বলিলেন,-লক্ষয়ী, তোমা বিনা জগৎ তুচ্ছ জ্ঞান হইতেছে, জগতে আর ᎦᏬ8Ꮜ