পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्राझणहज्र छौवन-नक्का অমাত্য বলিলেন,–হাঁ। এরুপ দলগ যদি নিকৃষ্ট ভূমিয়াদিগের হন্তে না থাকিয়া প্রকৃত ಬ್ಲ್'! দলেজীয়। ভূমিয়াগণ রণশিক্ষা করে 3. সময়ে সময়ে আপন দগে ও আবাসস্থল হস্ত হইতে রক্ষা করিতে যথোচিত সাহস প্রকাশ করে। অমাত্য। সত্য, কিন্তু বশাচালন অপেক্ষা লাঙ্গল চালনে অধিক তৎপর। সকলেই উচ্চহাস্য করিয়া উঠিলেন। আর একজন যোদ্ধা কহিলেন;–ভূমিয়া দাগ রক্ষা হইতে ভূমি রক্ষায় অধিক তৎপর। যোদ্ধা কখন কখন আপন দাগ চ্যুত হয়েন, কিন্তু ভূমিয়ার ভূমি পরষোনুক্রমে তাহার সন্তানসন্ততি ভোগ করে; শত্রতেও লইতে পারে না, রাণাও লইতে পারেন না । অমাত্য। ইন্দরে মত্তিকায় একবার প্রবেশ করিলে তাহাকে বাহির করা দুঃসাধ্য। পনেরায় সকলে হাস্য করিয়া উঠিলেন। যোদ্ধদল অনেকক্ষণ বিচরণ করিলেন। জঙ্গল, ঝোপ, পৰ্বত, গহবর, সমস্ত অন্বেষণ করিলেন; যে যে স্থানে পবে বৎসরে বরাহ দেখা গিয়াছিল, সমস্ত দটি করিলেন। নিবিড় অন্ধকারময় বন, সন্দের পন্বত তরঙ্গিণীর তীর, শান্ত শব্দশান্য প্রান্তর, সমস্ত বিচরণ করিলেন। প্রায় দ্বিপ্রহর হইয়াছে, কিন্তু কোনও বনচর পশর সন্ধান পাওয়া যায় নাই। পাইকগণ নিবিড় জঙ্গলের ভিতর হইতে ফিরিয়া আসিয়াছে, কিন্তু কেহই একটীও পশতু দেখিতে পায় নাই। সয্যের উত্তাপ ক্রমে বৃদ্ধি পাইয়াছে, যোদ্ধাগণ ললাটের বেদ মোচন করিয়া পরস্পরের দিকে চাহিতেছেন। অদ্য বন কি বরাহশন্যে ? একটী মাগও দেখিতে পাইলাম না! এ বৎসর কি সৰ্য্যেমহলের অমঙ্গলের জন্য ? এইরুপ নানা কথা হইতে লাগিল। ক্ষণেক চিন্তা করিয়া দতজয়সিংহ কহিলেন,—বন্ধগণ ! আমাদের অশ্ব শ্রান্ত হইয়াছে, আমরাও শ্রান্ত হইয়াছি। এক্ষণে আর ব্যথা অন্বেষণ আবশ্যক নাই; চল, অশ্বগণকে বিশ্রাম দি, আমরাও বিশ্রাম করি । পরে যদি এই প্রশস্ত বনপ্রদেশে একটী বরাহ লক্কোয়িত থাকে, দত্তেজয়সিংহ তাহা হনন করিবে, নচেৎ আর বশৰ্ণ ধারণ করিবে না। সকলেই এই কথায় সম্মতি প্রকাশ করিয়া একটী নিবিড় নিকুঞ্জবনের দিকে গমন করিলেন। সে স্থলটী অতিশয় রমণীয়। পাদপশ্রেণী এরপ নিবিড় পত্রপঞ্জে আবৃত রহিয়াছে যে দ্বিপ্রহরের সয্যেরশিম তাহা ভেদ করিতে পারিতেছে না; কেবল স্থানে স্থানে পত্ররাশির মধ্য দিয়া সয্যেরশিম যেন একটী সবেণরেখার ন্যায় ভূমি পৰ্য্যন্ত লম্বিত রহিয়াছে। ভূমি পরিচকুত হইয়াছে, নবদবোদল সেই শ্যামল সন্নিগ্ধ ছায়াতে অতিশয় কমনীয় রপে ধারণ করিয়াছে। সেই নিবিড় বনে শব্দমাত্র নাই, দ্বিপ্রহর দিবায় সেই নিকুঞ্জবন শান্ত, শব্দশনা, নিস্তব্ধ। এরপ নিস্তব্ধ যে ব্যক্ষ হইতে দুই একটী শাকপত্র পতিত হইলে তাহার শব্দ শুনা যাইতেছে, দুই একটী বনবিহঙ্গিনীর দ্বিপ্রহরের স্তিমিত রব শনা যাইতেছে, এবং আদরে একটী নিঝরিণীর সন্দের সঙ্গীত ধীরে ধীরে কণে পতিত হইতেছে। শ্রান্ত যোদ্ধাগণ ক্ষণেক নিস্তব্ধ হইয়া সেই স্থানের শোভা সম্পদশন করিলেন। বোধ হইল, যেন কোন বনদেবীর প্রজার জন্য প্রকৃতি অনন্ত স্তম্ভসারস্বরপে পাদপশ্রেণী দ্বারা এই শান্ত হরিদ্বর্ণ মন্দির প্রস্তুত করিয়াছেন, নিঝরিণী স্বয়ং বীণাবাদ্য করিতেছেন। যোদ্ধগণ অশ্ব হইতে অবরোহণ করিয়া সেই শ্যামল দাবাদলের উপর উপবেশন করিলেন। ক্ষণেক শ্রমদরে করিয়া নিঝরের জলে হস্তমখ প্রক্ষালন করিলেন। কিছু ফলমলের আয়োজন করা হইয়াছিল, দাগেশ্বর ও তাঁহার যোদ্ধগণ আনন্দে তাহা আহার করিতে বসিলেন। পরাতন রীতি অনুসারে দাগেশ্বর সহসা যোদ্ধাদিগকে “দোনা", অর্থাৎ আপন পাত্র হইতে আহার পাঠাইলেন, তাঁহারাও এই সম্মানচিহ্ন সাদরে গ্রহণ করিলেন। নানারাপ কথা ও হাস্যধৰ্মনিতে বন ধৰনিত হইল। পবেঘিটনার, পবেষিদ্ধের কথা হইতে লাগিল। কিরাপে উপস্থিত যোদ্ধাগণ দাগ-প্রাচীর উল্লঙ্ঘন করিয়াছিলেন, কিরাপে শত্রকে হনন করিয়াছিলেন, সালমাত্রাপতির প্রতিভাজন হইয়াছিলেন, স্বয়ং রাণার সাধুবাদ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, সেই সমস্ত কথা হইতে লাগিল। এবার মেওয়ার প্রদেশের বহর শহর, স্বয়ং দিল্লীশ্বর আসিতেছেন। মাড়ওয়ার, অম্বর, বিকানীর ও বন্দির রাজগণ লেচ্ছের সহিত যোগ দিয়া মেওয়ার আক্রমণে আসিতেছেন। কিন্তু রাণার অবশ্য জয় হইবে। অথবা যদি পরাজয় হয়, চন্দাওয়ৎকুল সেই যুদ্ধভূমিতে প্রাণ ミ&>