পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्राछत्रुङ छौवन-नक्का নিম্ফল না হয়। চারণদেব পনরায় বীণা লইলেন, উদ্ধবদিকে চাহিয়া ক্ষণেক চিন্তা করিলেন, পরে গীত আরম্ভ করিলেন। গীত। “যোদ্ধাগণ ! আট বৎসর হইল দিল্লীশ্বর চিতোর লইয়াছেন, কিন্তু দিল্লী ও শিশোদিয়ার এই প্রথম বিবাদ নহে। প্রায় তিন শত বৎসর প্রবে। আর একজন দিল্লীশ্বর আল্লাউদ্দীন আর একবার চিতোর লইয়াছিলেন; কিন্তু চিতোর শিশোদিয়ার কাঠমণি, চিতোর তুকী হস্তে কতদিন থাকে ? সেবার হামির এই কন্ঠরত্ন তুকীদিগের হস্ত হইতে কাড়িয়া লইয়াছেন; এবার প্রতাপসিংহ লইবেন । হামিরের জন্মকথা শ্রবণ কর, আহেরিয়ার একটী গীত শ্রবণ কর! “লক্ষমণসিংহের জ্যেষ্ঠপত্র উরসিংহ। যদুবরাজ উরসিংহ দগরক্ষার জন্য প্রাণদান করেন, তাহা শিশোদিয়ার মধ্যে কোন বীর না জানে ? চিতোর আক্রমণের কয়েক বৎসর পর্বে এই উরসিংহ একদিন আহেরিয়ায় বহিগত হইয়াছিলেন, শত যোদ্ধা তাঁহার সঙ্গে সঙ্গে মগয়ায় বহিগত হইয়াছিলেন। আহেরিয়ার তুল্য রাজপতের আর কি আনন্দ আছে ? “আন্দাওয়াকানন যবেকদিগের বীরনাদে প্রতিধৰনিত হইল, তাঁহারা একটী বরাহেব পশ্চাদ্ধাবন করিতেছিলেন। পব্বত ও নিঝর উত্তীণ হইয়া বরাহ ধাবমান হইল, মহানাদে যোদ্ধাগণ ধাবমান হইলেন। আহেরিয়ার তুল্য রাজপতের আর কি আনন্দ আছে ? “অনেকক্ষণ পর সেই বরাহ এক শস্যক্ষেত্রের ভিতর লকোইল, শস্য দ্বাদশ হস্ত উচ্চ, বরাহ আর দেখা গেল না। একজন মাত্র দরিদ্র রমণী একটী মঞ্চে দন্ডায়মান হইয়া শস্য রক্ষা করিতেছিলেন। রমণী বীরদিগের নৈরাশ দেখিয়া বলিলেন,—সম্বরণ করন, আমি বরাহ শস্যক্ষেত্র হইতে বাহির করিয়া দিতেছি ! "এ কি মানুষী না নগবালা মহিষমদিনী ? নারী-বাহতে কি এ বল সম্ভবে ? নারীহৃদয়ে কি এ বীৰ্য্য সম্ভবে ? রমণী একটী ব্যক্ষ উৎপাটন করিয়া তাহার অগ্রভাগ সচেীর ন্যায় শাণিত করিলেন, সেই অপব্ব বশ দ্বারা বরাহকে বিদ্ধ করিয়া যোদ্ধাদিগের সম্মুখে আনিয়া দিলেন। বিসিমত যোদ্ধাগণ বাক্যশান্য হইয়া রহিলেন। “বরাহ রন্ধন করিয়া যোদ্ধাগণ আহারে বসিয়াছেন, সহসা পাশ্বাস্থ একটী অশ্বের আত্তনাদ শুনিতে পাইলেন, দেখিলেন একটী পদ একেবারে ভগ্ন হইয়া গিয়াছে। সেই দরিদ্র রমণী মঞ্চোপরি দন্ডায়মান হইয়া শস্যক্ষেত্র হইতে মাত্তিকা নিক্ষেপ করিয়া পক্ষী তাড়াইতেছিলেন, তাহার এক টুকরা মাত্তিকা অশ্বপদে লাগিয়া অশ্ব আহত ও মতপ্রায় হইয়াছিল! “যোদ্ধাগণ আহারাদি সমাপন করিয়া সন্ধ্যার সময় গহে যাইতেছেন, দেখিলেন, সেই দরিদ্র রমণী মন্তকে দগ্ধপািণ পাত্র লইয়া যাইতেছেন, ও দই হন্তে দুইটী দমদমনীয় মহিষকে টানিয়া লইয়া যাইতেছেন। বিসিমত উরসিংহ রমণীর বল পরীক্ষার জন্য একজন যোদ্ধাকে সেই রমণীর দিকে বেগে অশ্বধাবন করিতে বলিলেন। অশ্ব তাঁহার উপর আসিয়া পড়িবে, রমণী বুঝিতে পারিলেন ; কিছুমাত্র ভীত না হইয়া, দগ্ধ মস্তক হইতে না নামাইয়া, কেবল একটী মহিষকে অশ্বের শরীরের উপর ঠেলিয়া দিলেন। মহন্তমধ্যে অশ্ব ও অশ্বারোহী ভূমিসাৎ হইল। “উরসিংহ অনুসন্ধানে জানিলেন যে সে কুমারী চোহানজাতির চন্দানবংশের এক দরিদ্র লোকের কন্যা। উরসিংহ সেই কন্যাকে বিবাহ করিলেন, সেই কন্যার পত্র বারুচড়ামণি হামির। আল্লাউদ্দীন যখন চিতোর অধিকার করেন, তখন যবেরাজ উরসিংহ প্রথমে জীবনদান করেন, পরে তাঁহার পিতা রাণা লক্ষ্যণসিংহ প্রাণদান করেন। দ্বাদশ বৎসর বয়স্ক হামির তখন মাতার সহিত মাতুলালয়েই ছিলেন, বয়ঃপ্রাপ্ত হইয়া হামির চিতোর উদ্ধার করিলেন। “বীরগণ! উরসিংহের আহেরিয়ার ফল চিতোর উদ্ধার। অদ্য দত্তেজয়সিংহ আহেরিয়ায় বহিচকুত হইয়াছেন, সকলে দঢ়হস্তে বশ ধারণ কর। আহেরিয়ায় সফল হও—পনরায় চিতোর উদ্ধারেও সফল হইবে।” লম্ফ দিয়া যোদ্ধগণ অশ্বে আরোহণ করিলেন, তাঁরবেগে শত যোদ্ধা ধাবমান হইলেন। এবার যোদ্ধাগণ নিরাশ হইলেন না, তিন চারিদণ্ড বন অন্বেষণ করিতে করিতে একটী ঝোপের ভিতর একটী প্রকাণ্ড বরাহ দেখা গেল। বরাহের বৃহৎ আকৃতি ও অসাধারণ বল দেখিয়া ミ&や