পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼüᏧ• A) বাঙ্গালা সাহিত্য সম্বন্ধে আমাদের কথা হইল, আমি বঙ্কিমবাবর উপন্যাসগুলির প্রশংসা •করিলাম, তাহা বলা বাহুল্য। বঙ্কিমবাব জিজ্ঞাসা করিলেন, যদি বাঙ্গালা পুস্তকে তোমার এত ভক্তি ও ভালবাসা, তবে তুমি বাঙ্গালা লিখ না কেন ? আমি বিস্মিত হইলাম! বলিলাম— আমি যে বাঙ্গালা লিখা কিছুই জানি না! ইংরাজী বিদ্যালয়ে পণ্ডিতকে ফাঁকি দেওয়াই রীতি! ভাল করিয়া বাঙ্গালা শিখি নাই, কখনও বাঙ্গালা রচনা পদ্ধতি জানি না। গম্ভীরস্বরে বঙ্কিমবাব উত্তর করিলেন,—‘রচনা পদ্ধতি আবার কি, তোমরা শিক্ষিত যবেক, তোমরা যাহা লিখিবে তাহাই রচনা পদ্ধতি হইবে। তোমরাই ভাষাকে গঠিত করবে। এই মহৎ কথা আমার মনে বরাবর জাগরিত রহিল, তাহার তিন বৎসর পর আমার বাঙ্গলা ভাষায় প্রথম উদ্যম বঙ্গবিজেতা’ প্রকাশ করিলাম।” (নব্যভারত, বৈশাখ ১৩০১) রমেশচন্দ্র বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস’ নামক ইংরেজী গ্রন্থেও (পরিবত্তিত সংস্করণ, ১৮৯৫, পৃঃ ২২৬) বঙ্কিমচন্দ্রের নিকট হইতে প্রাপ্ত উপদেশ এবং অনুপ্রাণনার কথাও এইরুপ ব্যক্ত Ëkk * "You will never live by your writings in English,” said he on this or on another occasion, "look at others. Your uncles Govind Chandra and Sashi Chandra and Madhu Sudan Datta were the best educated men of the Hindu College in their day. Govind Chandra and Sashi Chandra's English poems will never live, Madhu Sudan's Bengali poetry will live as long as the Bengali language will live.” These words created a deep impression in me, and two years after this conversation, my first Bengali work, Banga Bijota, was out in 1874.” স্বরচিত কয়েকখানি ইংরেজী গ্রন্থ সম্পবন্ধে রমেশচন্দ্রের উচ্চ ধারণার কথা বন্ধবের বিহারীলাল গুপ্তকে লিখিত তাঁহার একখানি পত্র হইতে আমরা ইতিপবে জানিতে পারিয়াছি। কিন্তু তাঁহার বাঙ্গালা রচনাই যে স্থায়িত্ব লাভ করিবে এ সম্পবন্ধে রমেশচন্দ্রের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল। অগ্রজ ဇူ့• লিখিত একখানি পত্রে (আগস্ট ১৩, ১৮৭৭) ইহা জানা যায়। একথা স্থানান্তরে | পরবত্তীর্ণ জীবনে বিশেষ করিয়া সবদেশ সেবার তাগিদে গবেষণা ও আলোচনা ইংরেজী ভাষার মাধ্যমে পরিবেশন করিতে বাধ্য হইলেও রমেশচন্দ্র মাতৃভাষার অনুশীলনে কখনও বিরত হন নাই। তাঁহার বাঙ্গালা সাহিত্যানশীলন আমরা প্রধানতঃ দুইভাগে ভাগ করিতে পারি। (১) উপন্যাস-সাহিত্য এবং (২) মনন-সাহিত্য । মনন সাহিত্য সম্ভবন্ধে আগে বলি । মনন সাহিত্য : ‘মনন সাহিত্য’ কথাটি ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করিতেছি । রমেশচন্দ্রের মনন সাহিত্য আবার দুইভাগে ভাগ করা যায় : (১) অনুবাদ ও (২) মৌলিক। তাঁহার Three Years in Europe-এর অনুবাদ অন্যকৃত। একারণ তাঁহার পস্তেকাবলীর তালিকায় ইহার gTH HFI HAI:f5 S FIZg zfGEIỆ SIG FĪH I TIMEZ-HA A History of Civilisation in Ancient India গ্রন্থখানির বহুলাংশের বঙ্গানুবাদ ১২৯৭—১৩oo বঙ্গাব্দের ‘নব্যভারত’ পত্রিকায় বিভিন্ন সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। শ্রীনাথ দত্ত ইহার অনুবাদ করেন। রমেশচন্দ্র এই অনুবাদ দেখিয়া দিতেন এবং তাহারই নামে ইহা প্রকাশিত হইত।* রমেশচন্দ্রের অনুবাদ পুস্তকগুলির মধ্যে ঋগ্বেদ সংহিতা প্রথম স্থান অধিকার করিয়া আছে। ঋগ্বেদের প্রথম অস্টকের বঙ্গানবাদ ইহাতে তিনি দিয়াছেন। পস্তেকখানির প্রকাশ কাল ১৮৮৫ । প্রথম সংস্করণের পাঠা সংখ্যা ৫০২ ৷

  • অনুবাদের প্রথম কিস্তি প্রকাশকালে (নব্য ভারত ১২৯৭, পৌষ) সম্পাদক নিমনরপে মন্তব্য সংযোজিত করেন —শ্রদ্ধাপদ পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত রমেশচন্দ্র দত্ত মহাশয়ের হিন্দ-আর্য্যদিগেব প্রাচীন ইতিহাস নামক ইংরাজি পাস্তক, বিলাত প্রত্যাগত বন্ধবের শ্রীযুক্ত শ্ৰীনাথ দত্ত মহাশয় অনুবাদ করিতেছেন এবং তাহা শ্রীযুক্ত দত্ত মহোদয় সংশোধিত, পরিবত্তিত ও পরিবদ্ধিত করিয়া বক্তমান প্রস্তাব লিখিতেছেন। এই দুই মহাত্মা নব্যভারতের জন্য যে পরিশ্রম করিতেছেন, তাহা অতুলনীয়। বিধাতা ই‘হাদিগের সব প্রকার মঙ্গল করন। ন. স. ।