পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्राछणुङ छौबन-नक्का নদীর উপকলে মনুষ্যকৃতি দৃষ্ট হয় না, মনয্যেরব শ্রত হয় না। প্রতাপের সৈন্য দেখিয়া অরণ্যবিচারী পক্ষী কুলায় ছড়িয়া উচ্চশব্দে আকাশের দিকে উত্তীন হইল, অরণ্যবাসী জতুগণ দরে নিবিড় অরণ্যের মধ্যে পলাইল । যতদরে দটি হয়, যেন দৈবসম্পাতে এই মনষ্যের আবাসস্থল নিজান হইয়া গিয়াছে। কণ্টকময় বাবলবক্ষে ও জঙ্গলে এই বিস্তীণ জনপদ আচ্ছাদিত হইয়াছে। নিঃশব্দে এই বন বিচরণ করিয়া প্রতাপসিংহ প্রত্যাবত্তন করিতেন; বলিতেন,—সমগ্র ee ee BB BBB BB BB BBB BB BBB BB শুকত না হয়। রাণা সমস্তদিন যুদ্ধের আয়োজনে অতিবাহিত করিয়া সন্ধ্যার সময় আপন পৰ্বতকদরে প্রত্যাবত্তন করিতেন। দেখিতেন, পাটেশ্বরী স্বহস্তে অগ্নি জালিয়া রন্ধন করিতেছেন, পত্রগণ চারিদিকে হীনপরিচ্ছদে ক্রীড়া করিতেছে। রাণা রণপরিচ্ছদ ত্যাগ করিতে করিতে সস্নেহে কহিতেন,—জগদীশ্বর, যেন অমরসিংহ ও অমরসিংহের মাতা চিরকাল এই পব্বতকন্দরে বাস করে, কিন্তু তুকীর করপ্রদ হইয়া প্রাসাদে বাস না করে। এইরপে কয়েক মাস অতিবাহিত হইল। অবশেষে সম্রাট আকবরের পত্র যুবরাজ সলীম মানসিংহের সহিত অসংখ্য সৈন্য লইয়া মেওয়ার আক্রমণ করিতে আসিলেন। সাগরতরঙ্গের ন্যায় অসংখ্য সেনা মেওয়ারের বহিভাগ অধিকার করিল, সতক প্রতাপসিংহ কোন প্রতিরোধ করিলেন না। ক্রমে মোগলসৈন্য সরক্ষিত পৰ্বতপ্রদেশের নিকট আসিল, দেখিল সে দগম প্রদেশের দ্বার রদ্ধে। সেই দ্বার, সেই একমাত্র প্রবেশস্থল—হলদীঘাটা! দ্বাবিংশ সহস্র রাজপত সেই দ্বারের প্রহরী ! মানসিংহ চিন্তাকুল হইয়া নিকটে শিবির সন্নিবেশিত করিলেন, সমগ্র মোগলসৈন্য যুদ্ধাথে একীভূত ও প্রস্তুত হইল। পাঠক ! যুদ্ধের প্রাক্কালে চল, আমরা একবার মোগলশিবিরে প্রবেশ করি। যে মহাবীর অস্বরাধিপতি দিল্লীর দাসত্ব স্বীকার করিয়া দিল্লীর বিজয়পতাকা বঙ্গদেশ হইতে কাবলৈ পৰ্য্যন্ত উণ্ডীন করিয়াছিলেন, সেই বীরাগ্রগণ্য মহারাজ মানসিংহের সহিত সাক্ষাৎ করি। হায়! জ্ঞাতিবিরোধের ন্যায় আর বিরোধ নাই, জ্ঞাতিবিরোধের জন্য অদ্য রাজপতকুলতিলক মানসিংহ রাজ প্রতাপসিংহের ভীষণ শত্ৰ ! বহুসংখ্যক মোগলশিবির সন্নিবেশিত হইয়াছে, শিবিরের আলোকে সেই অন্ধকারময় পৰ্বতপ্রদেশ উদ্দীপ্ত হইয়াছে, স্থানে স্থানে সৈন্যগণ একত্র হইয়া কলরব করিতেছে। মেওয়ারীদিগের যেরপে প্রতিজ্ঞা, অবশ্যই ভীষণ যন্ধে হইবে, সে যুদ্ধ হইতে কয়জন পনরায় দর দিল্লী প্রদেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিবে ? এই শিবিরশ্রেণীর মধ্যে রক্তবসন্ত্ৰ-মন্ডিত অসংখ্য দীপ ও পতাকা-বিভূষিত যবেরাজের শিবির দন্ট হইতেছে। প্রশস্ত শিবিরের মধ্যে যবেরাজ সলীম প্রফুল্লচিত্তে গীত শুনিতেছেন, সমখে সরোপাত্র, নিকটে কলকণ্ঠা প্রৌঢ়যৌবনা কয়েকজন গায়িকা। যবেরাজের অবয়ব দীঘ* ও বলিষ্ঠ, ললাট প্রশস্ত ও সন্দের। কল্য যুদ্ধ হইবে, কিন্তু অদ্য সেই প্রশস্ত ললাট চিন্তাশন, সেই সন্দের আনন নিরদ্বেগ ও হাস্যরঞ্জিত। শিবির হইতে এখনও আনন্দের শব্দ উত্থিত হইতেছে, এরপে সময়ে একজন ভূত্য আসিয়া সংবাদ দিল—জাঁহাপনা, রাজা মানসিংহ আসিয়াছেন। বিশেষ প্রয়োজনবশতঃ সাক্ষাৎ করিতে ঢাহেন। m সকলকে বিদায় দিলেন। ক্ষণেক পর বীরশ্রেষ্ঠ অস্বরাধিপতি মানসিংহ শিবির প্রবেশ করিয়া যুবরাজকে তসলীম করিলেন । সহাস্যবদনে সলীম তাঁহাকে আহবানপবেক দ্বাররদ্ধে করিয়া দইজনে নিঃশব্দে উপবেশন করিলেন। মানসিংহ ও সলীম উভয়েই যবেক, উভয়েই সাহসী ষোদ্ধা, উভয়েই যৌবনোচিত উৎসাহে উৎসাহী। কিন্তু সলীম সম্রাট-পত্র, সতরাং সখেপ্রিয় ও বিলাসী, তাঁহার ন্যায় বিলাসী কখনও দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন নাই। তাঁহার স্বভাব সরল ও উদার, যৌবনেই কাৰ্য্যপ্রিয়তা অপেক্ষা সখেপ্রিয়তা প্রবল হইয়াছিল। পরে এই সখেপ্রিয়তা এরপে প্রবল হয় যে নজী হান ঐ রাজ্য শাসন করেন, দিল্লীশ্বর জাহাঙ্গীর বন্ধ ও অমাত্য, রমণী ও মদিরা লইয়া কালযাপন করিতেন। মানসিংহ অসাধারণ ধীসম্পন্ন, অসাধারণ স্থিরপ্রতিজ্ঞ ও কাষাপটন, অসাধারণ যোদ্ধা। ミやq