পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्राह्मण ब्रध्नाबण" আপন আপন মনোনীত এক একটী কন্যাকে বাছিয়া লইয়া জঙ্গলে প্রবেশ করিয়া কয়েক দিন তথায় কালহরণ করে। পরে সন্ত্রীপরাষ গ্রামে ফিরিয়া আইসে। বাবার ভালদিগের দুইটী অসাধারণ গণ লক্ষিত হয়। তাহাদের উপকার করিলে তাহারা কদাচ তাহা বিস্মত হয় না, এবং তাহারা বাক্যদান করিলে কদাচ তাহা লঙ্ঘন করে না। छानभ श्रीब्रट्झन : क्लन७टप्ने स्नौज बार्गजका কা উশ ধস্যা ইত্তিআ জা ইমিণাং পরিমাগমাগা অত্তালঅং | —বিক্রমোবশী। যে পৰ্বতের নীচে তেজসিংহ হ্ৰদতটে এই নিস্তব্ধ সায়ংকালে এখনও বসিয়া আছেন, সেই পব্বতের চড়ায় ভীমচাঁদ নামক এক ভীল সম্প্রদর্শরের পাল ছিল। সেই পালের নিকটে একটী পৰ্বতগহবর ছিল, পাঠক দক্ষজয়সিংহের সহিত সেই গহবর একদিন দটি করিয়াছেন। হ্রদের তটে একটী তুঙ্গ প্রস্তররাশির উপর তেজসিংহ উপবেশন করিয়া আছেন। সহসা ' একটী ভীল-বালিকা করতালি দিয়া হাসিতে হাসিতে সেই স্থানে আসিয়া উপবেশন করিল, এবং বালোচিত চপলতার সহিত হ্রদের জল লইয়া তেজসিংহের গায়ে ছিটাইয়া দিল! তেজসিংহ সে বালিকাকে চিনিতেন। বালিকার হাত ধরিয়া নিকটে বসাইলেন, এবং অন্যমনস্ক হইয়া বালিকার কেশগুচ্ছ লইয়া খেলা করিতে লাগিলেন। ভীলকন্যা ভৗলদিগের ন্যায়ই কৃষ্ণবর্ণ, কিন্তু নয়ন দটী উত্তজবল, মখকান্তি মন্দ ছিল না। চঞ্চলা ভীল-বালিকা পৰ্বত আরোহণে বন্য বিড়াল অপেক্ষাও পট: আজন্ম অন্যান্য ভৗলদিগের ন্যায় চতুরতা ও সতকতা শিখিয়াছিল। একটী শব্দ, একটী ছায়া, একটী স্থানান্তরিত বস্তু দেখিলেই কারণ অনুভব করিত। মস্তকে কৃষ্ণকেশ সব্বদাই দলিতেছে, নয়ন দুইটী সব্বদাই চঞ্চল। বালিকা সব্বদাই চঞ্চল ও ক্রীড়াপটন, কখন উপলখণ্ড লইয়া খেলা করিত, কখন জল লইয়া ক্রীড়া করিত, কখন অপরের সব্বাঙ্গ ভিজাইয়া দিয়া খিল খিল করিয়া হাসিত। তথাপি তেজসিংহকে চিন্তাকুঁল দেখিলে আবার তাঁহার পাশ্বে কখন কখন দাইতিন দণ্ড পৰ্য্যন্ত নিশ্চেন্ট হইয়া বসিয়া ভালবাসিত। বালিকার কখন ধীর চিন্তাশীল ভাব, কখন অতিশয় চঞ্চলতা দেখিয়া সকলে বিস্মিত হইত। সকলেই বলিত,—মেয়েটী দেখিতে বালিকা, কিন্তু মনটী বালিকার মন নহে। তেজসিংহ কি চিন্তা করিতেছিলেন ? বর্ষাগমে শত্রগণ মেওয়ার ত্যাগ করিয়াছে, সতরাং তেজসিংহ যাদ্ধচিস্তা করিতেছিলেন না। বিদেশীয় শত্র থাকিতে গহকলহ নিষিদ্ধ, সতরাং তিনি সয"মহলের চিন্তা করিতেছিলেন না। তেজসিংহ কি চিন্তা করিতেছিলেন ? ভীল-বালিকা অনেকক্ষণ নিশ্চেন্ট হইয়া হ্রদের জলে আপন হস্ত সিক্ত করিতেছিল ও তেজসিংহের উরদেশে মস্তক রাখিয়া তেজসিংহের মখের দিকে চাহিয়া ছিল। অনেকক্ষণ তেজসিংহের মথের দিকে চাহিয়া বালিকা মদস্বেরে একটী গীত আরম্ভ করিল। বাল্যকালের স্বপ্ন কখন কখন হৃদয়ে জাগরিত হয়, বাল্যকালে দষ্ট মুখচ্ছবি কখন কখন নয়নপথে আবিভূত হয়, বাল্যকালের প্রেম-নিহিত অগ্নির ন্যায় কখন কখন জনলিয়া উঠে, এই মন্মের একটী সরল গীত বালিকা গাইতে লাগিল । তেজসিংহ সহসা চমকিত হইলেন। তিনি বাল্যকালের একটী স্বপ্ন চিত্তা করিতেছিলেন, ভীল-বালিকা কি তাঁহার মনের কথা জানিল ? বালিকার নাম ধরিয়া ডাকিলেন। বালিকা জলখেলা ছাড়িয়া তেজসিংহের দিকে চাহিল, কৈ বালিকার মুখে ত কোনও চিন্তার লক্ষণ নাই! তেজসিংহ বালিকার মুখ দেখিয়া বিচার করিলেন-বালিকা আমার মনের কথা কি জানিবে ? যে গীত জানে আপন মনে তাহাই গাইতেছে! · বালিকা খিল খিল করিয়া হাসিয়া উঠিল। তেজসিংহ সন্দিগ্ধমনা হইয়া পনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন-আচ্ছা, আমি বাল্যস্বপ্নের কথা ভাবিতেছিলাম, তোকে কে বলিল ? a切"O