পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रटभश्च ब्रकनाबज* গোবৎসকে আহার দিতেছে, কেহ বা শিশকে স্তন দিতেছে, কেহ বা আহার প্রস্তুত করিতেছে, আবার কেহ বা এই যুদ্ধের সময়ে পালের কণ্টকবেস্টনে আরও কণ্টক রোপণ করিতেছে। পালের প্রত্যেক কুটীরে রন্ধনের অগ্নি জনলিতেছে, অগ্নির চতুদিকে বা গহের বাহিরে উলঙ্গ বাবর শিশুগণ খেলা করিতেছে। মনষ্যের বাসস্থান হইতে বহন্দরে, পাবতের শিখরে দাভেদ্য জঙ্গল-আবত ও কণ্টকবক্ষবেষ্টিত এই তস্করের উপনিবেশ কি বিস্ময়কর! সভ্য মনুষ্য তাহাদিগকে ঘৃণা করে, সভ্য মনুষ্য তাহাদিগের উষ্ণবরা ভূমি কাড়িয়া লইয়াছে, ভীলগণ তাহার প্রতিশোধ দিয়াছে। হিংস্ৰক পক্ষীর ন্যায় এই পৰ্বতবাসী ভৗলগণ শতবার লোকালয়ে অবতীর্ণ হইয়াছে, সভ্য মনষ্যের লুণ্ঠিত ধনে ভীলনারী ও ভীলশিশু পালিত হইয়াছে। ভীমচাঁদের কুটীরে অদ্য সেই পালের সমস্ত যোদ্ধা আসিয়া জড় হইয়াছে, এবং কুটীরের অগ্নিতে সেই ভীলদিগের বিকৃত মুখ ও বিকৃত অবয়ব অধিকতর বিকৃত বোধ হইতেছে। ভীমচাঁদের সমস্ত শরীর প্রায় উলঙ্গ, কেবল মধ্যদেশ ও বক্ষঃস্থল বসাবত, বহন ও পদদ্বয় অনাবত ও সবদ্ধ পেশী-বিজড়িত। মুখমণ্ডল দেখিলে ভয় হয়, নয়নদ্বয় উজৰল, শরীর দীঘ ও বলিষ্ঠ, কিন্তু বাল্যকাল অবধি নৃশংস আচরণে মনের সঙ্কুেমার কোমল প্রবত্তি সমস্ত শুকাইয়া গিয়াছে, পৰ্বত অপেক্ষাও ভীমচাঁদের সে হৃদয় কঠিন! তথাপি সেই কঠিন হৃদয়েও একটী গণের পরিচয় পাওয়া যাইত। বিপদের সময় ভীমচাঁদ যেরপে সাহসী, সেইরাপ উপায় উস্তাবনে তৎপর, তাহার তীক্ষা নয়ন বহদের হইতে বিপদের চিহ্ন লক্ষ্য করিতে পারিত। ভীমচাঁদ সবামিধৰ্ম্ম জানিত, মিত্রের মধ্যে সত্যপালন করিত। একমাত্র দহিতার জন্য সে কঠিন হৃদয়েও মমতা ছিল। ভীমচাঁদের উভয় পাশ্বে অন্যান্য যে ভীলগণ বসিয়াছিল, তাহাদিগের শরীর অনাবত; কেবল একখানি কেীপীন ভিন্ন অন্য বসত্র ছিল না। সেই ভীলপালে অদ্য দুই জন আগন্তুক উপস্থিত ছিলেন। পাহাড়জী ভূমিয়া ও চন্দ্রপরের গোকুলদাস আজি ভীমচাঁদ ও তেজসিংহের সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছিলেন। পাহাড়জী জাতিতে ভূমিয়া, ভূমিকষণ করা তাঁহার ব্যবসায়। নয়নে ও ললাটে যোদ্ধার দপ নাই, কিন্তু শরীর বলিষ্ঠ ও পরিশ্রমে দঢ়বদ্ধ। ভূমিয়াগণ সম্মুখযুদ্ধ জানে নাই, কিন্তু যুদ্ধকালে নিজ নিজ দাগ, নিজ নিজ ভূমি প্রাণপণে রক্ষা করিত, দেশের ভিতর শত্রর গতিরোধ ৷ ফলতঃ মেওয়ারের ভূমিয়া রাজপতগণ “মিলিশণীয়া” বিশেষ ও অন্যান্য রাজপতের ন্যায় বিদেশীয় আক্রমণ হইতে দেশরক্ষায় যৎপরোনাস্তি তৎপর থাকিত। গোকুলদাস একজন "বশী", পাঠক, পবেই তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলেন। অনেক বয়সে, অনেক ক্লেশে শরীর শীর্ণ হইয়াছে; কিন্তু নয়নের উত্তজবলতা বা হৃদয়ের উদ্যম ও উৎসাহ এখনও অপনীত হয় নাই। তাঁহার পত্র হত হইয়াছে: হত্যাকারীকেও দণ্ড দিবে, কেবল এই আশায় বদ্ধ জীবনধারণ করিয়াছে। ভীলকুটীরে অগ্নির আলোকের চতুদিকে এই সকল লোক বসিয়া আছেন, এরপে সময় • 5 శా కాగా కా సోడా జా శా সকলে তাঁহাকে আহবান l পরসপরে অনেক কথাবাত্ত হইতে লাগিল। মহারাণা প্রতাপসিংহের কথা হইল, হলদীঘাটার যুদ্ধের কথা হইল, দতেজয়সিংহ ও সয"মহলের কথা হইল। পরে তেজসিংহ কবে সয"মহল আক্রমণ করিবেন, সকলে তাহাই জিজ্ঞাসা করিল। পাহাড়জী নিজ ভূমিয়া সৈন্যসহিত, ভীমচাঁদ আপন ভৗলদিগের সহিত, গোকুলদাস বশীদিগের সহিত, তেজসিংহের সহায়তা করবেন। তেজসিংহ সকলকে ধন্যবাদ দিয়া ভীমচাঁদের বিশেষ সংখ্যাতি করিয়া কহিলেন—লোকালয় ত্যাগ করিয়া দশম বৎসর অবধি তিলকসিংহের পত্র পর্বতগহবরে বাস করিতেছে। সন্দার ভীমচাঁদের অনগ্রহে সে দলেজীয়সিংহের বিজাতীয় ক্রোধ হইতে লক্কোয়িত রহিয়াছে, সম্প্রদর্ণর ভীমচাঁদের অনগ্রহে সে এই আট বৎসর নিরালয়ে প্রতিপালিত হইয়াছে। ভীমচাঁদের পিতা আমাদের মহারাণার পিতা রাণা উদয়সিংহকে বিপদের সময় রক্ষা করিয়াছিলেন, তাহা আপনার অবগত আছেন; ভীমচাঁদ এক্ষণে আমাদিগের উপর সেই অনুগ্রহ প্রকাশ করিয়াছেন। ভীলগণ শত যন্ধে, শত বিপদে, রাজপতদিগের সহযোদ্ধা ও প্রকৃত বন্ধন। _ &b*