পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

در اوج পরে রোয়ার মহোদয়গণ বেদের অতি অলপ অংশই ইংরাজিতে অনুবাদ করিয়াছিলেন, তাহার পর •যখন আচাৰ্য্য মক্ষমলের মলে ঋগ্বেদ সংহিতা সায়নের টীকা সহিত মল্লিত করিতে আরম্ভ করিলেন, তখন উইলসন মহোদয় তাহার একটি ইংরাজি অনুবাদ আরম্ভ করিলেন। মক্ষমলের পঞ্চবিংশতি বৎসর পরিশ্রম করিয়া (১৮৪৯ হইতে ১৮৭৪ খঃ অব্দে) সমস্ত ঋগ্বেদ সংহিতা ও সায়নের টীকা মাদ্রিত করিয়াছিলেন। জগতের মধ্যে ঐখানি ভিন্ন আর মুদ্রিত সটীক ঋগ্বেদ নাই। উইলসন সাহেব সায়নের টীকা অবলম্বন করিয়া অনুবাদ করিতেছিলেন এবং তাঁহার মৃত্যুর পর কাউয়েল সাহেব সেই কায্যের ভার লইয়াছিলেন। অনুবাদ অদ্ধেকের অধিক হইয়াছে, কিন্তু শেষ হয় নাই। বেনফে মহোদয় ঋগ্বেদের কতক অংশ জমান ভাষায় অনুবাদ করিয়াছেন এবং আচাৰ্য্য মক্ষমলের মরদ্যোন সম্বন্ধে মন্ত্রগুলি ইংরাজিতে অনুবাদ করিয়াছেন। তাঁহার এই অনুবাদ তিনি সায়নাচায্যের ব্যাখ্যা অবলম্বনে করেন নাই। বোম্ববাই নগরের বেদাথাযত্ন প্রণেতাগণ ঋগ্বেদের অনেকদরে ইংরাজিতে ও মহারাষ্ট্ৰীয় ভাষায় অনুবাদ করিয়াছেন, তাঁহারাও সায়নাচাৰ্য্যকে সকল স্থানে অবলম্ববন করেন নাই। ইহা ভিন্ন ইউরোপের সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত মাত্রেই ঋগ্বেদ সম্প্রবন্ধীয় অনেক আলোচনা করিয়াছেন ও করিতেছেন। অদ্বিতীয় ফরাসী পণ্ডিত বণীফ ঋগ্বেদ ও ইরাণীয় জেন্দ-অবস্থা তুলনা করিয়া যে সকল ঐতিহাসিক আবিস্কার করিয়া গিয়াছেন তাহা জগদ্বিখ্যাত। মক্ষমলের ও রোথ তাঁহার ছাত্র ছিলেন, এবং ইহারা উভয়ে ঋগ্বেদ সম্বন্ধে অনেক সারগভ আলোচনা করিয়াছেন। কেবল কি আমরা এই আয্য জাতির আদিগ্রন্থ, এই হিন্দী ধমের মল গ্রন্থের পরিচয় গ্রহণে অসমথ থাকিব ? এটি আমাদের পৈতৃক ধন, কেবল কি আমরাই এই ধনের সম্ভোগে বঞ্চিত থাকিব ? ঋগ্বেদের মন্ত্রগুলি সরল, সন্দের ও প্রকৃতির আলোকে আলোকপাণ, জগতের আৰ্য্য জাতিদিগের মধ্যে কেবল কি আমরাই এই অপব্ব কাব্য রসাসবাদনে বঞ্চিত থাকিব ? এই অসহ্য চিন্তায় ব্যথিত হইয়া আমি এই গরের কায্যে হস্তক্ষেপ করিয়াছি। যদি তাহাতে ধন্টতা হইয়া থাকে সহৃদয় পাঠকগণ তাহা মাতজনা করিবেন।” ঋগ্বেদ সংহিতা রচনার কয়েক বৎসরের মধ্যেই বিভিন্ন হিন্দু শাস্ত্রগ্রন্থের সারাংশের বঙ্গানবাদ প্রকাশে রমেশচন্দ্র অভিনিবিল্ট হইলেন। ঋগ্বেদ অনুবাদ কালে তিনি যেমন বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট হইতে উপদেশ ও অনুপ্রেরণা লাভ করিয়াছিলেন, হিন্দু শাস্ত্র গ্রন্থগুলির অনুবাদ প্রকাশে তিনি তেমনি বঙ্কিমচন্দ্রের নিকট হইতেও বিশেষ প্রেরণা প্রাপ্ত হন। বঙ্কিমচন্দ্র স্বয়ং এ বিষয়ে তাঁহাকে যথোচিত সাহায্যদানেরও প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলেন। রমেশচন্দ্রেরই ভাষায়—“যে ক্ষণজন্মা লেখক ও উৎসাহী সহদের সহযোগিতার উপর নিভীর করিয়া আমি হিন্দু শাস্ত্র সঙ্কলন কায্যে ব্ৰতী হইয়াছিলাম, সেই অসামান্য প্রতিভাসম্পন্ন বঙ্কিমচন্দ্র স্বয়ং এই মহাভারত অংশ সঙ্কলন করিবেন মানস করিয়াছিলেন।” (হিন্দুশাস্ত্ৰ, ৭ম ভাগ, ‘মহাভারত’-এর ভূমিকা)। রমেশচন্দ্র এই অনুবাদ কায্যে স্বয়ং ব্ৰতী হইয়াছিলেন এবং তৎকালীন সবিজ্ঞ পণ্ডিতগণকেও ইহাতে ব্রতী করান। নিম্নোদ্ধত তালিকায় বিভিন্ন শাস্ত্রগ্রন্থ এবং অনুবাদকের নাম সন তারিখসহ পাওয়া যাইবে: হিন্দশাস্ত্র, (১৮৯৩-৯৭) مسا: ته چاه ع ১ম ভাগ—বেদসংহিতা—সত্যব্রত সামশ্রমী ও রমেশচন্দ্র দত্ত ২য় ভাগ-ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদ-— ঐ ৩য় ভাগ—শ্রেীত, গাহ্য ও ধম্মীসন্তে--- લે ৪থ ভাগ—ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ—কৃষ্ণকমল ভট্টাচায্য ৫ম ভাগ-বড়দশন—কালীবর বেদান্তবাগীশ छिफौम्न थण्छ : ৬ষ্ঠ ভাগ—রামায়ণ—হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন ৭ম ভাগ্ৰ-মহাভারত—দামোদর বিদ্যানন্দ ৮ম ভাগ-শ্ৰীমদ্ভগবদ্গীতা—দামোদর বিদ্যানন্দ ৯ম ভাগ—অষ্টাদশ পরাণ—আশুতোষ শাস্ত্রী ও হৃষীকেশ শাস্ত্রী