পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रट्यश्च ब्रध्नाबल* দন্জয়সিংহ কর্তৃক সন্য মহল অধিকার সময়ে সেই নৈশ যন্ধে তিলকসিংহের অধিকাংশ সৈন্য হত হইয়াছিল, কিন্তু সকলে হত হয় নাই। যাহারা অবশিষ্ট ছিল, তাহারা সে দাগত্যাগ করিয়া বহুদিন অবধি জঙ্গল ও পৰ্বতগুহায় বাস করিতে লাগিল, অবশেবে ভীমগড়ে দেবীসিংহের অধীনে কম করিতে লাগিল। তাহাদিগের মধ্যে কেহ কেহ বালক তেজসিংহকে সেই রজনীতে সস্তরণ দ্বারা হ্রদ পার হইতে দেখিয়াছিল, সতরাং বালক এখনও জীবিত আছে, এইরুপ স্থিরনিশ্চয় করিয়াছিল। অনেক বৎসর ব্যথা অনুসন্ধান করিয়া শেষে দুই একজন পরাতন ভূত্য ভৗলবেশধারী তিলকসিংহের পত্রকে চিনিল; সানন্দে সেই দরিদ্র ভীলভিক্ষাহারীকে প্রভু বলিয়া অভিবাদন করিল। তখন পরাতন সৈন্যগণ একে একে তেজসিংহের চতুদিকে জড় হইতে লাগিল ও বালককে BBBB BB BBBBB C DDBBBB BBB DDDBB BBBS BBB BBB L BBBB BBBBS সিংহের সমস্ত অনচেরদিগের মধ্যে রাষ্ট্র হইল। তাহারা সকলে বালককে পুনরায় পাইয়া একবাক্যে কহিল,—আমরা তিলকসিংহের লবণ আসবাদন করিয়াছি, আমাদের খড়গ, আমাদের জীবন তিলকসিংহের পত্রের! আদেশ করন, পনরায় সযর্গমহল অধিকার করিয়া আপনাকে পিতার গদিতে উপবেশন করাই । প্রাচীন যোদ্ধা দেবীসিংহ সানন্দে প্রভুপত্রকে আলিঙ্গন করিয়া ভীমগড়ে আসিয়া বাস করিবার অনুরোধ করিলেন। কিন্তু তেজসিংহ উত্তর করিলেন,—দনন্দিনে ভীলগণ আমাকে আশ্রয়দান করিয়াছেন, আমি যতদিন সয"মহল জয় না করি, ততদিন ভীলকুটীরেই থাকিব। আদ্য রজনীতে সেই রাঠোরগণ দগের উপর একটী প্রশস্ত স্থলীতে উপবেশন করিয়াছিল। নিকটে ব্যক্ষ বা ঘর নাই, পরিকার অন্ধকার নীল আকাশ চক্ষাতপের ন্যায় সেই বীরমণ্ডলীর উপর লবিত রহিয়াছিল। পরিস্কার আকাশে অসংখ্য তারা দেখা যাইতেছে, নীচে স্থানে স্থানে অগ্নি জলিতেছে, এক এক অগ্নির চতুদিকে দই চারি জন রাঠোর উপবেশন করিয়া অগ্নিসেবন করিতেছে। যোদ্ধাদিগের কথাবাত্তা বা হাস্যধৰনি বা গীতরব সেই নিশার নিস্তব্ধতায় বহন্দরে পয্যন্ত শ্রত হইতেছে। স্থানে স্থানে দুই একজন যোদ্ধা অগ্নিপাশ্বে শয়ন করিয়া রহিয়াছে, স্থানে স্থানে কোন চারণকে মধ্যবত্তী করিয়া চারিদিকে রাঠোরগণ চারণের গীত, রাঠোরের পবেগৌরব গীত শুনিতেছে। তিলকসিংহের পত্রকে সহসা দরে হইতে দেখিয়া সকলে গাত্ৰোখান করিল ও একেবারে পঞ্চশত রাঠোর উল্লাসে গজন করিয়া উঠিল। সে উৎসাহ দেখিয়া তেজসিংহ আনন্দিত হইলেন। অগ্নির আলোক সেই প্রাচীন যোদ্ধাদিগের ললাট ও মুখমণ্ডলের উপর পতিত হইয়াছে। বাল্যাবস্থা হইতে যুদ্ধব্যবসায়ে তাহাদিগের শরীর দঢ়বদ্ধ হইয়াছে, কাহারও ললাটে, কাহারও বদনমন্ডলে, কাহারও বক্ষঃস্থলে বা বাহতে খড়চিহ্ন অঙ্কিত রহিয়াছে। কেশপাল কাহারও শক্লে, কাহারও ঈষৎ শক্লে, নয়ন সকলেরই উজ্জল। সকলেই রাঠোরশ্ৰেষ্ঠ তিলকসিংহের অধীনে শতবার যুদ্ধ করিয়াছে, আকবর কত্ত্বক চিতোর ধবংস সবচক্ষে দেখিয়াছে, এক্ষণে তেজসিংহকে সেনাপতি করিয়া প্রথমে সয"মহল, তৎপরে চিতোর উদ্ধার করিবার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত। তেজসিংহ যখন পিতার প্রাচীন সেনাদিগকে আপনার চতুদিকে দেখিলেন, তাহাদিগের উল্লাসরব ও আনন্দধবনি শুনিলেন, যখন সেই প্রাচীন রাঠোরদিগের যন্ধোঙ্কিত বদনে ও উত্তজনল নয়নে কেবল সবামিধৰ্ম্মম ও উৎসাহের লক্ষণ পাঠ করিলেন, তখন তাঁহার হৃদয় উৎসাহে প্লাবিত হইল, তিনি সজল নয়নে পিতার যোদ্ধাদিগকে একে একে আলিঙ্গন করিলেন। তিলকসিং পত্রের এই সৌজন্য দেখিয়া পরাতন রাঠোরগণ পুনরায় উল্লাসে গন্জন করিয়া উঠিল। তেজসিংহ বলিলেন,—বীরগণ ! তোমরাই যথার্থ স্বামিধৰ্ম্ম প্রদর্শন করিলে, রাঠোরকুল তোমাদের স্বামিধমে গৌরবান্বিত হইবে, তেজসিংহ তোমাদের স্বামিধৰ্ম্মম বিস্মত হইবে না। রাঠোরগণ উত্তর করিল,—আমরা সবগীয় তিলকসিংহের প্রতিপালিত, আমাদিগের জীবন, আমাদিগের খড়া তেজসিংহের । প্রাচীন দেবীসিংহ বলিলেন,—(শুক্ল কেশে তাঁহার প্রশস্ত ললাট আবরণ করিয়াছে, কিন্তু নয়নের দীপ্তি আবত করিতে পারে নাই) এ দাস তিলকসিংহকে সয"মহলের গদিতে আরোহণ করিতে দেখিয়াছে, মৃত্যুর পবে তেজসিংহকে সেই গাঁদতে বসাইবার বাসনা করে। বন্ধের জীবনে অন্য আকাঙ্ক্ষা নাই । ミ切8