পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्राछन्...ड जौबन.णक्का চন্দাওয়ং ভর প্রদর্শন করিলেন, বালিকা কহিলেন,-“আমি রাঠোরকে সত্যদান করিয়াছি।’ চন্দাওয়ৎ বলপবেক বালিকার পাণিগ্রহণ করিতে চাহিলেন, বালিকা বলিলেন;–চন্দাওরৎবীর অপেক্ষা মন্ত্যু বলবান। রাজপতেবালিকা সত্য ভঙ্গ করে না।’ “রাঠোর কোথায় ? পৰ্বতগহবরে বাস করিতেছে, ভিক্ষালব্ধ অন্ন ভোজন করিতেছে, মহারাণার যুদ্ধ যুঝিতেছে । রাজপতনারী যদি সত্যবতী হয়েন, রাজপতেবীর অবশ্য জয়ী হইবেন । রাজপতনারী যদি সত্যবতী হয়েন, রাঠোর সত্য ভঙ্গ করবেন না। রাজপতেবালিকা কখনও সত্য ভঙ্গ করে না।” পপে এই গীত শ্রবণ করিয়া যেন স্তন্ধ হইয়া রহিলেন, যতক্ষণ বায়তে সেই সঙ্গীতের মিস্টত্ব লীন না হইল, ততক্ষণ স্তন্ধ হইয়া রহিলেন। সে গীতে যেন বালিকার হৃদয়তন্ত্রী বাজিয়া উঠিল, হৃদয়ের গঢ়েভাবসমহের উদ্রেক হইল। পাপ ধীরে ধীরে বক্ষের অন্তরাল হইতে বাহির হইলেন । চারণদেব সেই লাবণ্যময়ীর দিকে একবার নেত্রপাত করিলেন, পনরায় ভূমির দিকে নয়ন ফিরাইয়া কহিলেন-এ নিস্তন্ধ রজনীতে কি আমার অকিঞ্চিৎকর গীতে কুমারী পাপকে বিরক্ত করিলাম ? কাননবাসী চারণের শ্রোতা কেহ নাই, কুমারীও যদি বিরক্ত হইয়া থাকেন, আদেশ করিলে চারণ পুনরায় কাননে ফিরিয়া যাইয়া নিজনে বসিয়া আপন গীত গাইবে। আহা ! সঙ্গীত হইতেও চারণের এই নম্ন কথাগুলি মিস্ট ! বলিতে বলিতে চারণ ধীরে ধীরে বক্ষের অন্তরাল হইতে বাহির হইয়া আসিলেন, চন্দ্রালোকে তাঁহার অবয়ব দেখিয়া পাপ আরও বিস্মিত হইলেন। যৌবনের তেজঃপণ কাস্তিতে সে উন্নত বপুঃ পণ রহিয়াছে, দীঘ* বাহতে বীণা লম্বিত রহিয়াছে, উন্নত ললাটে ও উত্তজবল নয়নদ্বয়ে চন্দ্রকর পতিত হইয়াছে ! তথাপি সেই ললাট ও সেই নয়ন যেন পরিশ্রমে বা শোকে ঈষৎ ম্লান, ঈষৎ চিন্তাশীল। চারণ পনেরায় সেইরুপ ভূমির দিকে নয়ন ফিরাইয়া কহিলেন,–কুমারী আদেশ করিলে চারণ আপন নিজজন কাননে প্রত্যাবত্তন করবে। কুমারীর শ্রবণের উপযুক্ত গীত সে কোথায় পাইবে ? পপ আর সম্বরণ করিতে পারিলেন না, অবগাঠনের ভিতর হইতে অসফটম্বরে কহিলেন, —চারণদেব, এ গীত কোথায় শিখিলেন ? পব্বেবৎ ধীরে ধীরে চারণদেব কহিলেন;–গহবরে ও কাননে যাহার বাস, গহবরে ও কাননে তাহার নিকট শিখিয়াছি! পাপ। গহবরে ও কাননে কাহার নিবাস ? চারণ। যিনি পৈতৃক দগ হারাইয়াছেন, শিশুকাল অবধি বনে বনে বিচরণ করিতেছেন। পপ আর উদ্বেগ সম্বরণ করিতে পারিলেন না, এবার উচ্চতরস্বরে কহিলেন,—চারণদেব ! একজন অভাগিনী রাজপতবালার ধন্টতা মাজ’না করন, সে রাঠোরবীর কি জীবিত আছেন ? চারণ। হলদীঘাটার যন্ধে রাঠোরের খড়া দন্ট হইয়াছিল; পুনরায় লেচ্ছগণ আসিলে পুনরায় রাঠোরখড়া দন্ট হইবে ? সাশ্রনয়নে পাপকুমারী কহিলেন–জগদীশ্বর তাঁহাকে কুশলে রাখনে! চারণদেব তখন জিজ্ঞাসা করিলেন,—দেবি ! যদি চারণের ধর্ম্পটতা মাজ’না করেন, তবে জিজ্ঞাসা করি, সে রাঠোরকে কি কখনও আপনি দেখিয়াছিলেন ? যাহাকে জগৎ বিস্মত য়াছে, যাহাকে বন্ধবোন্ধব বিস্মত হইয়াছে, যে ভীল বা ভূমিয়াদিগের ভিক্ষাহারী নিবিড় কানন বা পৰ্বতকন্দরবাসী, এ জগতে কি একজনও তাহার চিন্তা করে ? চারণের সবর কম্পিত হইল, কণ্ঠ রুদ্ধ হইয়া আসিল, অতি কণ্টে শেষে কহিলেন-আমিও গহরবাসী, সেই রাঠোরের সহিত পুনরায় সাক্ষাৎ হইলেও হইতে পারে, কেবল এইজন জিজ্ঞাসা করি, তাহার নিকট কি কিছু বলিবার আছে ? পাপ। কেবল এইমাত্র বলিবার আছে, রাজপতরমণী সত্যপালন করিতে জানে, রাজপতবালা সত্যপালন করিবে ! চারণ। তবে কি সে রাঠের দেবীর পবে পরিচিত ? এবার পপ লজিতা হইলেন, ধীরে ধীরে কহিলেন—সে বীর এ অভাগিনীর অপরিচিত নহেন । ২৯৯