পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रटबध्न ब्रकबाबज* রাজ্ঞী। দেবি ! তোমার বাক্য আমার চিন্তিত হৃদয়ে শান্তি দান করিল, আর একটী কথা জিজ্ঞাসা করিব। চারণী। মহারাজ্ঞী যাহা আদেশ করিবেন, চারণী তাহা সানন্দে পালন করিবে । রাজ্ঞী। চারণী দেবি ! তোমাদিগের মুখে শুনিতে পাই, দিল্লীর সিংহাসন ও সমস্ত হিন্দুস্থান পাবে রাজপতদিগের ছিল। রাণা পন্থীরায় নাকি পাবে দিল্লীর অধীশ্বর ছিলেন, ৫০ বৎসর হইল রাণা সংগ্রামসিংহ নাকি দিল্লী অধিকার করিবার জন্য যঝিয়াছিলেন। পুনরায় কি আমরা কখনও দিল্লী অধিকার করিব ? হিন্দুস্থানের দরে ভবিষ্যতে কি আছে ? তুকীর বিজয়, না শিশোদীয়ের বিজয় ? চারণীদেবী অনেকক্ষণ চিন্তা করিলেন, তাঁহার ললাট মেঘাচ্ছন্ন হইল, ভ্র কুঞ্চিত হইল, দস্টিহীন স্থিরনয়ন অনেকক্ষণ উদ্ধৰ দিকে চাহিয়া রহিল। পরে গম্ভীরস্বরে কহিলেন;– মহারাজি ! আমার বয়স অধিক হইয়াছে, নয়ন ক্ষীণ, ভবিষ্যৎ আকাশে আমি বহন্দরে দেখিতে পাই না। অন্ধকারের পর নিবিড় অন্ধকার! রাজপত বহুদিন তুকীর সহিত যুঝিতেছে; তৎপরে রাজপত দক্ষিণাবাসী হিন্দরে সহিত যুঝিতেছে; তাহার পর এ কি ! মহাসমুদ্র হইতে শ্বেত তরঙ্গের উপর শ্বেত তরঙ্গ আসিয়া সমগ্র ভারতবষ প্লাবিত করিতেছে। বাদ্ধার নয়ন ক্ষীণ ! সে আর কিছু দেখিতে পায় না। - श८ब्राबिरल *ब्रिटन्छ्म * ऋषfiभइल बदश्न হাহাকারঃ সমভবৎ তত্র তর সহস্রশঃ । অন্যোহন্যং ছিন্দতাং শশৈত্ররাদিত্যে লোহিতায়তি ॥ —মহাভারতম । কি জন্য ও কি অবস্থায় রাজ-পরিবার ভীল-গহবরে আশ্রয় গ্রহণ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন, এক্ষণে তাহা বর্ণনা করা আবশ্যক । মোগলদিগের সহিত যুদ্ধহেতু মহারাণা প্রতাপসিংহ সব্বদাই সপরিবারে কন্দরে ও পব্বতগহায় বাস করিতেন। মেওয়ারের মহারাজ্ঞী স্বামীর ন্যায় স্বদেশপ্রিয়া ছিলেন, ক্লেশবাতনা তুচ্ছ করিয়া প্রস্তরের উপর রজনীতে শয়ন করিতেন, স্বহস্তে রন্ধনাদি করিয়া শিশকে খাওয়াইতেন, বিপদের সময়ে পৰ্বত হইতে অন্য পব্বতে, কদর হইতে অন্য কন্দরে পলাইতেন, তথাপি সন্ধি প্রার্থনার জন্য স্বামীকে অনুরোধ করিতেন না। হিংস্ৰক জন্তুর আবাসস্থানে মহারাজ্ঞী আশ্রয় গ্রহণ করিতেন, শীতকালে পাহাড়ের উপর অগ্নি জালিয়া সন্তানদিগের শীত নিবারণ করিতেন, বর্ষাকালে কখন কখন পৰ্বতকদর ভাসিয়া যাইলে সিক্তবস্ত্রে সমস্ত রজনী শিশুক্রোড়ে দণ্ডায়মান থাকিতেন, তথাপি মোগলের নিকট সন্ধি প্রার্থনা করিতেন না। ক্ষেত্রের দবেীর রন্টী প্রস্তুত করিয়া শিশুদিগকে খাওয়াইতেন, কখন প্রস্তুত রটেী ত্যাগ করিয়া ক্ষুধাত্ত’ শিশুদিগকে লইয়া শত্রুভয়ে এক স্থান হইতে অন্য স্থানে, তথা হইতে পুনরায় আর এক স্থানে পলায়ন করিতেন, তথাপি মোগলের নিকট সন্ধি প্রার্থনা করিতেন না। এইরুপ অসহ্য কন্ট সহ্য করিয়াও মহারাণা মোগলদিগের সহিত প্রতি বৎসর যুদ্ধদান করিতে লাগিলেন। ক্রমে প্রায় সমস্ত দাগ, সমস্ত পৰ্বত, সমস্ত উপত্যকা শত্ৰহেস্তে পতিত হইল, প্রতাপসিংহ বিশাল মেওয়ার রাজ্যে মস্তক রাখিবার স্থান পাইলেন না। অবশেষে তিনি চন্দাওয়ৎ দন্জেয়সিংহের সৰ্য্যেমহলে আপন পরিবার রাখিলেন, স্বয়ং আপন অল্পসংখ্যক সৈন্য লইয়া শরদিগকে নানাদিক হইতে বারবার গোপনে আক্রমণ করিতে লাগিলেন। দন্জেয়সিংহ সসম্মানে রাজপরিবারকে আপন প্রাসাদ ছাড়িয়া দিলেন। অসংখ্য মোগল শত্ৰ আসিয়া সষামহল বেস্টন করিল। মেওয়ারের প্রধান যোদ্ধাগণ কেহ প্রতাপসিংহের সঙ্গে রহিলেন, কেহ বা সয"মহল রক্ষা করিতে লাগিলেন । তেজসিংহ সয"মহলেই রহিলেন; বিপদের সময় রাজপত রাজপতের ভ্রাতা! দতজয়সিংহ নিঃসঙ্কোচে তেজসিংহ ও তাঁহার রাঠোরগণকে সৰ্য্যেমহলে প্রবেশ করিতে দিলেন, কেননা তেজসিংহ রাজপতে, বিশ্বাসঘাতকতা জানেন না, রাজকাৰ্য্যসাধনাথ দগে প্রবেশ পাইয়া আপন OOO